পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনির ভীমপুর এলাকায় রাজ্য়ের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর একেবারে মেগা প্রচার। সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগে একেবারে ময়দানে নেমে পড়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। দফায় দফায় মিটিং মিছিল হচ্ছে। তার মধ্য়েই একেবারে তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা।
আচমকাই বাসে জানালা দিয়ে মুখ বের করলেন এক যুবক। আর তাঁকে দেখেই এগিয়ে গেলেন শুভেন্দু। হাতও মেলালেন। কে জানেন? তিনি হলেন, শিলাদিত্য। মনে পড়েছে ঝাড়গ্রামে মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের সভায় সারের দাম নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন শিলাদিত্য চৌধুরী। আর তারপরই তাঁকে মাওবাদী বলে দাগিয়ে দিয়েছিলেন মমতা। ২০১২ সালের ঘটনা। সেই ঘটনা দাগ ফেলেছিল বাংলার রাজনীতিতে।
বর্তমানে বাস কন্ডাক্টরের কাজ করেন শিলাদিত্য। এদিন শিলাদিত্য সংবাদ মাধ্যমে জানিয়েছেন, ২০১২ সালের মামলার বিষয়টি জানিয়েছি। সাহায্য চেয়েছি। উনি মাথা নেড়ে চলে গিয়েছেন। এর বেশি কথা হয়নি।
আসলে বেলপাহাড়ির সেই সভার পরে জীবনটাই যেন বদলে যায় শিলাদিত্যর। মাওবাদী তকমা জুটে গিয়েছিল শিলাদিত্যর। ২০১২ সালে বেলপাহাড়িতে সভা চলাকালীন বাংলার মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের কাছে সারের দাম নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন শিলাদিত্য। এরপর মমতা পালটা বলেছিলেন, মাওবাদীরা সভায় লোক ঢুকিয়েছে। এমনকী ধরপাকড়ের নির্দেশও দিয়েছিলেন তিনি।