পুরভোটে তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ হতেই জেলায় জেলায় বিক্ষোভ, অবরোধ শুরু হয়েছে। তৃণমূলের পক্ষ থেকে যে প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে তাতে একেবারেই সন্তুষ্ট নন বিভিন্ন পুর এলাকার নেতাকর্মীরা। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই অভিযোগ উঠেছে বিজেপি থেকে আসা নেতাদের টিকিট দেওয়া হচ্ছে। আবার বিজেপিতে থাকা নেতাকর্মীদেরও পক্ষ থেকে পুরভোটের টিকিট দেওয়া হয়েছে।
এই সমস্ত অভিযোগকে কেন্দ্র করে কোথাও টায়ার পুড়িয়ে আবার কোথাও রাস্তা অবরোধ করে চলছে তৃণমূলের কর্মী সমর্থকদের বিক্ষোভ। তৃণমূলে দলের অন্দরের অসন্তোষকে অবশ্য হাতছাড়া করতে চাইনি বিরোধীরা। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার থেকে শুরু করে সুজন চক্রবর্তী একের পর এক তৃণমূলকে নিশানা করেছেন।
সুকান্ত মজুমদারের কটাক্ষ, 'তৃণমূলের সমাপ্তি এগিয়ে এসেছে। আসলে তৃণমূলের যে লড়াই তা সেটা হল কাটমানি খাওয়ার লড়াই। অবৈধ ভাবে কীভাবে টাকা-পয়সা অর্জন করা যাবে তা নিয়ে লড়াই। তৃণমূলের সবাই কাটমানি খেয়ে আঙ্গুল ফুলিয়ে কলাগাছ করতে চাইছে। সেই সুযোগ কেউ হাতছাড়া করতে চাইছে না। আগামী দিনে তৃণমূলের অন্দরের অসন্তোষ আরও বাড়বে।'
সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী তৃণমূলের নীতি নিয়ে কটাক্ষ করেছেন। তিনি বলেন, 'তৃণমুল এখন এক পদ এক নীতি চালু করেছে। একই পরিবার থেকে একাধিক প্রার্থী হওয়া যাবে না। কোনও বিধায়ক প্রার্থী হতে পারবেন না। অথচ কলকাতাতে তা হামেশাই হচ্ছে। এখন মফস্বলের নেতাকর্মীরা ভাবছেন তাহলে সেখানে কেন হবে না। তাই নিয়ে তৃণমূলের বিক্ষোভ চলছে।'
প্রসঙ্গত, তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা নিয়ে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই পিকে টিমের দিকে অভিযোগের আঙ্গুল উঠেছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে তৃণমূলের ওয়েবসাইটে প্রার্থী তালিকা প্রকাশ হওয়ার পরে অবশ্য তা চূড়ান্ত তালিকা নয় বলে দলের তরফে জানানো হয়।