শেষমেশ সত্যি হতে পারে সম্ভাবনা। অন্তত বিশেষজ্ঞদের পিচ রিপোর্টে তেমনটাই ইঙ্গিত। আমদাবাদের নদেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে ভারত-অস্ট্রেলিয়া বিশ্বকাপ ফাইনালের পিচে স্পিনারদের জন্য় পর্যাপ্ত সাহায্য থাকতে পারে বলে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল। পিচের সম্ভাব্য চরিত্রের হদিশ দিতে গিয়ে, ম্যাথু হেডেন, রবি শাস্ত্রী, হরভজন সিংরা ঠিক সেরকমই ইঙ্গিত দিলেন।
পিচ রিপোর্টে রবি শাস্ত্রী কী বলেন:-
আমদাবাদের যে পিচে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ খেলা হয়, ফাইনালের পিচ তার থেকে বিস্তর আলাদা। সেই পিচে জৌলুস ছিল। যার অর্থ, পিচে পর্যাপ্ত রোল করা হয়েছিল। সেই পিচ ব্যাটসম্যানদের জন্য তুলনায় সহজ ছিল। এই পিচে তেমন জৌলুস দেখা যাচ্ছে না। তার মানে খুব বেশি রোল করা হয়নি। সম্ভবত গত কয়েকদিনে রোল করা হয়েছে, তার আগে তেমন একটা রোলার টানা হয়নি এই পিচে। কয়েক জায়গায় পিচ অনেক আলগা দেখাচ্ছে। অর্থাৎ, স্পিনারদের জন্য সাহায্য থাকবে এই পিচে।'
পিচ রিপোর্টে হরভজন সিং কী বলেন:-
পিচের বিশেষ কয়েকটা জায়গায় বল পড়লে স্পিনারদের সামলানো মুশকিল হবে। পিচে হাত ঠুকলেই ২টি আওয়াজ আসছে। যার মানে সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে পিচে রিভার্স সুইংও দেখা যাবে। তবে এটা নিশ্চিত যে, যত খেলা গড়াবে, পিচ স্লো হতে থাকবে।
পিচ রিপোর্টে ম্যাথু হেডেন কী বলেন:-
শুকনো দেখাচ্ছে বাইশগজ। এই পিচে স্পিনারদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। অস্ট্রেলিয়াকে জিততে হলে অ্যাডাম জাম্পাকে বড় ভূমিকা পলন করতে হবে।
কত হতে পারে পর্যাপ্ত স্কোর:-
রবি শাস্ত্রী স্পষ্ট জানান যে, এই পিচে প্রথমে ব্যাট করে ২৭০-২৮০ রান তুললেই সেটা ভালো স্কোর হিসেবে বিবেচিত হবে। কেননা পরের দিকে পিচ স্লো হলে রান তোলা মুশকিল হবে। শিশির পড়লেও রান তাড়া করা সহজ হবে না এই পিচে।
পিচে স্পিনারদের জন্য সাহায্য থাকলেও ভারত অবশ্য বাড়তি স্পিনার নিয়ে মাঠে নামার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেনি। উল্লেখ্য, চেন্নাইয়ে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে লিগের প্রথম ম্যাচে ভারত একজন বাড়তি স্পিনার নিয়ে মাঠে নামে। সেই ম্যাচে রবিচন্দ্রন অশ্বিনকে খেলায় টিম ইন্ডিয়া। যদিও তার পরে আর অশ্বিনকে একটিও ম্যাচে মাঠে নামায়নি টিম ইন্ডিয়া। ফাইনালেও অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে অশ্বিনকে খেলাতে পারে ভারত, এমন গুঞ্জন শোনা যায়। শেষমেশ সেই সম্ভাবনা বাস্তবের রূপ নেয়নি।