আজ অর্থাৎ মঙ্গলবার হিমাচল প্রদেশের ধরমশালায় মুখোমুখি হয়েছে নেদারল্যান্ডস এবং দক্ষিণ আফ্রিকা। এদিন প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৮ উইকেট হারিয়ে ২৪৫ রান তোলে নেদারল্যান্ডস। যদিও এই ম্যাচ ৫০ ওভারের হয়নি। বৃষ্টির জন্য বেশ কিছুক্ষণ ম্যাচ বন্ধ থাকে এদিন। সেই কারণে ওভার কমিয়ে ৪৩ করা হয়। এই ৪৩ ওভারেই ২৪৫ রানে ডাচরা। দুর্দান্ত ব্যাটিং করেন স্কট এডওয়ার্ডস। মাত্র ৬৯ বলে করেন ৭৮ রান ১০টি বাউন্ডারি এবং ১টি ওভার বাউন্ডারির সৌজন্যে। এছাড়া বড় রান আর কেউ করতে পারেননি। এদিন দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে দুর্দান্ত বল করেন লুঙ্গি এনগিদি, মার্কো জানসেন এবং রাবাডা। এই তিন বোলারই ২টি করে উইকেট নেন। তবে এই তিন বোলারের মধ্যে জানসেন ভালো বোলিং করেন। ৮ ওভার বল করে ১টি মেডেন সহ ২৭ রান দেন তিনি।
জবাবে ব্যাট করতে নামে দক্ষিণ আফ্রিকা। এই ম্যাচে ডাচদের থেকে অনেকটাই এগিয়ে যাতে প্রোটিয়ারা। ম্যাচের শুরুটাও তারা বেশ ভালো করেন। বিশেষ করে অধিনায়ক বাভুমা এবং কুইন্টন ডি কক। এই দুই ওপেনার জয়ের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন দলকে। বলা ভালো এই ব্যাটারের দাপটে নিজেদের ছন্দ ধরে রাখে প্রোটিয়া শিবির। ৭.৬ ওভারের মাথায় দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম উইকেটের পতন ঘটে। ২২ বলে ২০ রান করে ফিরে যান কুইন্টন ডি কক। প্রথম উইকেটটি তুলে নেন অ্যাকারম্যান।
এরপরই পরিস্থিতি বদলাতে থাকে। এমন পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে হবে বুঝতেই পারেননি প্রোটিয়ারা। ক্রিকেট যে শেষ বলের খেলা তা যেন ফের একবার প্রমাণিত। ৯.১ ওভারের মাথায় দ্বিতীয় উইকেটের পতন ঘটে দক্ষিণ আফ্রিকার। এবার বাভুমাকে তুলে নেন ভ্যান ডের মেরওয়ে। এখানেই থেমে থাকেননি ডাচ বোলাররা। এডেন মার্করামকে তুলে নেন মিকেরেন। পরপর উইকেট হারিয়ে চাপে পড়তে থাকে দক্ষিণ আফ্রিকা। কিন্তু এখানেও চুপ করে বসে থাকেনি তারা। এবার ব়্যাসি ভ্যান ডার দাসেনকে তুলে নেন মাত্র ৪ রানে তুলে নেন ভ্যান ডের মেরওয়ে। মাত্র ৮ রানের মধ্যে ৪টি উইকেট হারিয়ে বসে দক্ষিণ আফ্রিকা। ম্যাচে কামব্যাক করে ডাচরা। এখন এটাই দেখায় এই ম্যাচ জিততে পারেনি কিনা ডাচরা।
প্রসঙ্গত, এবারের বিশ্বকাপে এখনও পর্যন্ত একটি ম্যাচে অঘটন ঘটেছে। ইংল্যান্ডকে হারিয়ে দিয়েছে আফগানিস্তান। স্বাভাবিক ভাবে এই ম্যাচ অর্থাৎ নেদারল্যান্ডস বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচও সেই পথে এগোচ্ছে। যদিও খেলা অনেকটাই বাকি রয়েছে। তবে এই ম্যাচে প্রোটিয়ারা যদি হারের মুখ দেখে তাহলে দ্বিতীয় অঘটন ঘটবে এবারের বিশ্বকাপে।