শুভব্রত মুখার্জি:- বেঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের ২২ গজ বরাবর ব্যাটারদের স্বর্গরাজ্য হিসেবেই পরিচিত। আইপিএল হোক কিংবা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট এই উইকেটে সাধারণত বড় স্কোর করতে দেখা গিয়েছে দলগুলোকে। রবিবার চলতি ওডিআই বিশ্বকাপে বেঙ্গালুরুতে মুখোমুখি হয়েছিল ভারত এবং নেদারল্যান্ডস দুই দল। ম্যাচে নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে প্রথমে ব্যাট করে ভারতীয় দল। তাদের ব্যাটিংয়ে ধরা পড়ে সেই আত্মবিশ্বাস। ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে ৪১০ রান করে ভারতীয় দল। আর এই রান করার ফলেই বিশ্বকাপের ইতিহাসে এক নজিরের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে এই ম্যাচ।
পুরুষদের ক্রিকেট বিশ্বকাপের ইতিহাসে এক ইনিংসে সর্বোচ্চ রানের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে এই ম্যাচ। আপাতত পঞ্চম স্থানে রয়েছে ভারত বনাম নেদারল্যান্ডসের এই ম্যাচ। ম্যাচে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ভারতীয় দল মাত্র চার উইকেট হারিয়ে ৪১০ রান করতে সমর্থ হয়। এই তালিকায় প্রথম স্থানে রয়েছে চলতি বিশ্বকাপের শ্রীলঙ্কা বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচ। এই ম্যাচে পাঁচ উইকেটে ৪২৮ রান করে দক্ষিণ আফ্রিকা দল। তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ২০১৫ সালের বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়া বনাম আফগানিস্তান ম্যাচ। নিজেদের দেশের মাটিতে এই ম্যাচে অজিরা ৬ উইকেট হারিয়ে ৪১৭ রান করেছিল। তালিকায় তৃতীয় স্থানে ফের রয়েছে ভারতীয় দল। ২০০৭ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে তারা বারমুডার বিরুদ্ধে পাঁচ উইকেট হারিয়ে করে ৪১৩ রান। তালিকায় চতুর্থ স্থানে রয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা বনাম আয়ারল্যান্ড ম্যাচ। ২০১৫ বিশ্বকাপের এই ম্যাচে ৪ উইকেটে ৪১১ রান করেছিল প্রোটিয়া বাহিনী।
রবিবার বেঙ্গালুরুতে জোড়া শতরান করেন ভারতীয় ব্যাটাররা। ব্যাটিং অর্ডারের প্রথম পাঁচ ব্যাটার অর্ধশতরান করেছেন। যা নিঃসন্দেহে এক নজির তো বটেই। ভারতের হয়ে শতরান করেছেন শ্রেয়স আইয়ার এবং কেএল রাহুল। চলতি বিশ্বকাপে দুই ব্যাটারের এটাই প্রথম শতরান। শ্রেয়স শেষ দুই ম্যাচে ৮২ এবং ৭৭ রান করে আউট হয়ে যাওয়ার পরে শতরান করেছেন তিনি। মাত্র ৯৪ বলে ১২৮ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি। তাঁর ইনিংস সাজানো ছিল ১০ টি চার এবং পাঁচটি ছয়ে।
কেএল রাহুল ৬৪ বলে ১০২ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন। হাঁকিয়েছেন ১১ টি চার এবং চারটি ছয়। এছাড়াও শুভমন গিল ৫১,রোহিত শর্মা ৬১ এবং বিরাট কোহলি ৫১ রান করে দলকে এক শক্ত ভিতের উপর প্রতিষ্ঠা করেন। যার উপর দাঁড়িয়ে শ্রেয়স আইয়ার এবং কেএল রাহুল দলকে রানের পাহাড়ে পৌঁছে দেন।