শুভব্রত মুখার্জি: বিশ্ব ক্রিকেটের ইতিহাসে 'চোকার্স' তকমা একেবারে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে গিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা দলের সঙ্গে। ১৯৯৯ সালের ওডিআই বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল, ২০০৩ সালে নিজেদের দেশের বিশ্বকাপে ডাক ওয়ার্থ লুইস হিসেবের ভুলে গ্রুপ পর্যায় থেকে ছিটকে যাওয়া হোক কিংবা গতবারের টি-২০ বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বে নেদারল্যান্ডসের কাছে হেরে নক আউট থেকে ছিটকে যাওয়া-সবক্ষেত্রেই তিরে এসে তরী ডোবার নজির রয়েছে প্রোটিয়াদের। রবিবার অর্থাৎ ৫ নভেম্বর কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে মুখোমুখি হবে ভারত এবং দক্ষিণ আফ্রিকা। সেই ম্যাচের ঠিক আগেই দক্ষিণ আফ্রিকার এই চোকার্স তকমার বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল। যার সোজাসাপ্টা উত্তর দিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক তেম্বা বাভুমা। তাঁর জবাব ভারতের বিষয়েও এই এক জিনিস বলা হবে কিনা সন্দেহ রয়েছে।
চোকার্স তকমার বিষয়ে সরাসরি উত্তর দিতে গিয়ে তেম্বা বাভুমা বলেছেন, 'চোকার্স করার বিষয়ে প্রশ্ন করছেন? আমি সত্যিই জানি না এর ঠিক কী উত্তর দেব। যদি ভারতের বিরুদ্ধে ম্যাচে আমরা কোথাও আটকেও যাই তাহলেও আমার মনে হয় না এই আটকে যাওয়াকে চোক করে যাওয়া বলাটা ঠিক হবে বলে। আমার সন্দেহ রয়েছে আপনারা এই জিনিসটা (চোক) ভারতের বিরুদ্ধেও আপনারা করবেন কিনা। ভারত যদি আমাদের বিরুদ্ধে ম্যাচে কোথাও আটকেও যায় তাহলে আমি নিশ্চিত নই যে আপনারা ভারতও চোক করেছে এই কথাটা বলবেন কিনা!'
তেম্বা বাভুমা আরও যোগ করে বলেন, 'এই মুহূর্তে এই দুটো দল (ভারত এবং দক্ষিণ আফ্রিকা) অন্যতম সেরা দল। যারা একে অপরের বিরুদ্ধে খেলতে চলেছে। এই ম্যাচে কোন দল প্রথমে ব্রেক করবে তার উপর নির্ভর করছে ম্যাচের ফলাফল। একটা মুহূর্ত, একটা দুর্বলতা ম্যাচে ফারাক গড়ে দিতে পারে। আমি এটা জানি বিশ্বকাপ চলাকালীন এই চাপের মুহূর্তগুলো আসবেই। আর পেশাদার হিসেবে সেটা আমাদের সামলাতে হবে। আমরা যতটা সম্ভব ভালোভাবে পারি এই চাপের মোকাবিলা করব। তবে আমি নিশ্চিত এই কথাটা (চোকার্স তকমা) আমাদের অনুশীলনে এখনও আমাদের সামনে আসেনি।' উল্লেখ্য ভারত এবং দক্ষিণ আফ্রিকা দুই দল ইতিমধ্যেই সেমিফাইনালে চলে গিয়েছে। ভারত ইতিমধ্যেই সাত ম্যাচে সাতটি জিতে গিয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকা, নেদারল্যান্ডস ম্যাচ বাদ দিয়ে নিজেদের বাকি ছটা ম্যাচ জিতেছে। বেঙ্গালুরুতে পাকিস্তান দল নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে দেওয়ার পরেই দক্ষিণ আফ্রিকার সেমিফাইনালে যাওয়াটা নিশ্চিত হয়ে যায়।