দেশের হয়ে তিনি কোনও চ্যারিটি ম্যাচ খেলছেন না। প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ খেলছেন। আর সেই ম্যাচে বাংলাদেশকে জেতাতে আবারও ‘টাইমড আউট’ করতে কখনও পিছপা হবেন না। শুধু তাই ‘টাইমড আউট’ বলে নয়, ক্রিকেটের আইনে বৈধ হলে অন্যভাবে আউটের আবেদনও করবেন। স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন বাংলাদেশের অধিনায়ক শাকিব আল হাসান। তথাকথিত ক্রিকেটের স্পিরিটের কচকচানির দূরে সরিয়ে রেখে বাংলাদেশের অধিনায়ক স্পষ্ট ভাষায় বলেন, ‘আই ওয়াজ অ্যাট আ ওয়্যার।’ আর তাতে তাঁর একটাই লক্ষ্য থাকে জয়। সোমবারও সেটা ছিল। তাই কে ঠিক বললেন, কে ভুল বললেন, সে বিষয়ে ছিঁটেফোটা পাত্তা দেন না তিনি। ক্রিকেটের আইনের মধ্যে থেকে সর্বোচ্চ পর্যায় পর্যন্ত যেতে রাজি আছেন।
সোমবার দিল্লিতে শ্রীলঙ্কা-বাংলাদেশ ম্যাচের পরে শাকিব বলেন, ‘আমাদের একজন ফিল্ডার আমায় এসে বলে যে তুমি যদি এখন আবেদন কর, তাহলে ও (ম্যাথিউজ) আউট হয়ে যাবে। তারপর আমি আবেদন করি। আম্পায়ার প্রশ্ন করেন যে আমি সত্যিই আবেদন করছি কিনা, আমি আমার আবেদন ফিরিয়ে নেব কিনা। তো আমি বলি যে আমি যদি এটা ক্রিকেটের আইনে থাকে এবং এটা যদি আউট হয়, তাহলে আমার আবেদন ফিরিয়ে নেব না। ঘটনার সময় ঠিক এটাই হয়েছে।’
আরও দৃঢ়ভাবে শাকিব বলেন, ‘এটা আইনের মধ্যে আছে। আমি জানি না যে এটা ঠিক নাকি ভুল। আমার মনে হয়েছিল যে আমি যুদ্ধের মধ্যে আছি। তাই আমায় এমন সিদ্ধান্ত নিতে হবে, যাতে আমার দলের জয় নিশ্চিত হয়। সেজন্য আমায় যা করতে হত, সেটা আমি করতাম। (আমি যেটা করেছি), সেটা ঠিক নাকি ভুল, সেটা নিয়ে বিতর্ক চলতে পারে। যদি ক্রিকেটের আইনে সেটা বৈধ হয়, তাহলে ওরকম সিদ্ধান্ত নিতে (ওরকম আউটের জন্য আবেদন করতে) পিছপা হব না।’
কীভাবে ম্যাথিউজের ‘টাইমড আউট’ হয়েছিল? সোমবার নয়াদিল্লিতে ২৫ তম ওভারে শ্রীলঙ্কার চতুর্থ উইকেট পড়ে যায়। তারপর ব্যাট করতে আসেন অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউজ। কিন্তু কিছুটা দেরিতে আসেন তিনি। তারপর ক্রিজে এসে ‘গার্ড’ নেওয়ার আগে দেখেন যে হেলমেটে কিছু একটা সমস্যা আছে। সটান হেলমেট পালটাতে চলে যান তিনি। ততক্ষণে ‘টাইমড আউট’-র আবেদন করেন শাকিব। বিষয়টা নিয়ে কিছুক্ষণ আলোচনা চলে। তারপর আম্পায়াররা আউট দেন। কারণ আইসিসির প্লেয়িং কন্ডিশন অনুযায়ী, কোনও ব্যাটার আউট হওয়ার পরে যদি দু'মিনিটের মধ্যে নয়া ব্যাটার স্ট্রাইক না নেন, তাহলে তাঁকে আউট দেওয়া হবে।