পার্থে প্রথম ইনিংসে শতরান করে নট আউট ছিলেন বিরাট কোহলি। সবাই ভেবেছিলেন এবার হয়তো সুদিন ফিরল এই তারকা ক্রিকেটারের। কিন্তু বাস্তবে তা দেখা গেল না। অ্যাডিলেডে দ্বিতীয় টেস্টে ডাহা ফেল হন বিরাট। বারবার অফ স্টাম্পের বাইরের বলে খোঁচা দিয়ে বিপদ ডেকে এনেছেন তিনি। ব্রিসবেনেও একই কায়দায় আউট হয়ে যান বিরাট। তাঁর যে চতুর্থ এবং পঞ্চম স্টাম্পের বল খেলতে সমস্যা রয়েছে তা এখন কারোর অজানা নয়। প্রতি ম্যাচে বোলাররা সেই একই জায়গায় টার্গেট করে সফল হচ্ছে। ব্রিসবেনে হেজেলউডের উইকেটের অনেক বাইরের বল খেলতে যান বিরাট। বল ব্যাটে চুমু খেয়ে সোজা চলে যায় উইকেটকিপারের হাতে। আর এই ভাবে বারবার রান না করতে পাড়ার প্রভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে বিরাটের ব্যাটিং গড়ে।
ব্রিসবেনে আউট হওয়ার পর বিগত ৮ বছরে টেস্টে সবচেয়ে কম ব্যাটিং গড় ছুঁয়ে ফেললেন কোহলি। এর আগে কোনও দিন এতো কম ব্যাটিং গড়ের মুখ দেখতে হয়নি বিরাটকে। বর্তমানে বিরাটের ব্যাটিং গড় ৪৭.৯০। এর আগে ২০১৬ সালে এর থেকে কম ব্যাটিং গড় ছিল তাঁর। তখন তাঁর অ্যাভারেজ ছিল ৪৭.৫৫। এর আগে বিরাট যখন ২০১৯-এর দিকে নিজের কেরিয়ারের সর্বোচ্চ শিখরে ছিলেন তখন তাঁর ব্যাটিং গড় ছিল ৫৫.১০। কিন্তু বিগত ৫ বছরে ক্রমাগত টেস্ট ক্রিকেটে ব্যর্থ হয়ে চলেছেন তিনি। এখনও পর্যন্ত বিরাট কোহলি ভারতের হয়ে ১২০টি টেস্ট ম্যাচ খেলেছেন, রান করেছেন ৯১৫৩। ব্যাটিং গড় ৪৭.৯০ এবং সর্বোচ্চ স্কোর ২৫৪ নট আউট। টেস্ট ক্রিকেটে ৩০টি সেঞ্চুরি এবং ৩১টি হাফ সেঞ্চুরি করেছেন বিরাট।
২০২৪ সালটা হয়তো বিরাট কোহলি নিজেও চাইবেন ভুলে যেতে। যদি টি-২০ বিশ্বকাপ জয়ের বিষয়টা সরিয়ে রাখা যায়, তাহলে সব ফরম্যাটেই ব্যাট হাতে এবছর ব্যর্থ হয়েছেন বিরাট। টেস্ট ক্রিকেটে এখনও পর্যন্ত ১৭ ইনিংস খেলেছেন, রান করেছেন ৩৭৬। ভারতের হয়ে মাত্র ১টি সেঞ্চুরি এবং ১টি হাফ সেঞ্চুরি করেছেন। গাব্বায় ব্যর্থতার পর তাঁর এবছরের ব্যাটিং গড় গিয়ে দাঁড়িয়েছে ২৫.০৬। এটি বিরাটের এক ক্যালেন্ডার বছরের সবচেয়ে খারাপ পরিসংখ্যান। এর আগে ২০২২ সালেও তাঁর ব্যাটিং গড় ছিল ২৫.০৬। ২০২২ সাল থেকে ভারত খুবই কম ওডিআই সিরিজ খেলেছে। তবে টি-২০ ক্রিকেটেও পরিসংখ্যান যথেষ্ট খারাপ বিরাটের। এই ফরম্যাটে এবছর ১০ ইনিংসে তাঁর ব্যাটিং গড় ১৮-র কাছাকাছি।