বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালের প্রথম দিনেই বোলাররা ১৪টা উইকেট তুলে নিয়েছিল। যখন মনে হচ্ছিল, এই ম্যাচটা হবে পুরোটাই বোলার কেন্দ্রিক,তখনই অস্ট্রেলিয়ার হয়ে দুরন্ত লড়াই দেন স্টিভ স্মিথ। লর্ডসের মাটিতে তাঁর লড়াকু ইনিংসে ভর দিয়েই সম্মানজনক স্কোরে পৌঁছয় ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া। ৩৬ বছর বয়সী এই তারকা ক্রিকেটার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে শামির দেওয়া ফুল টস বল মিস করার পরই অবসর জানিয়েছিলেন ওডিআই থেকে। কিন্তু টেস্টে আপাতত তিনি খেলছেন। আর টেস্টে তাঁর অভিজ্ঞতা কতটা দরকার ছিল অজিদের, সেটাই বোঝালেন তিনি ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালে। ৩৬ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার ১১২ বলে ৬৬ রানের ইনিংস খেলেন, মারেন ১০টি চার।
আর এই ইনিংসের সৌজন্যেই স্মিথ ছাপিয়ে যান সচিন তেন্ডুলকর, স্যার ডন ব্র্যান্ডম্যান, গ্যারি সোবার্সদের মতো কিংবদন্তিদের। লর্ডস বরাবরই যেন স্বপ্নের স্টেডিয়াম স্মিথের কাছে। এখআনে টেস্টে ছয় ম্যাচের ১০ ইনিংসে স্মইথ করেছেন ৫৯১ রান। লর্ডসের মাঠে তাঁর ব্যাটিং গড় ৫৯.১০। রয়েছে তিনটি অর্ধশতরান ও দুটি শতরান, এই মাঠে তাঁর সর্বোচ্চ স্কোর ২১৫। এই মাঠে বুধবার যখন স্মিথ ব্যাটিং করতে নামেন তখন তিনি বিদেশি ব্যাটারদের মধ্যে লর্ডসে রান করার নিরিখে চতুর্থ ব্যাটার ছিলেন। কিন্তু তাঁর ৬৬ রানের ইনিংসের পরই ওয়ারেন বার্ডসলি (৫৭৫), স্যার গ্যারি সোবার্স (৫৭১), স্যার ডন ব্র্যাডম্যানদের (৫৫১) ছাপিয়ে গেলেন তিনি।
এছাড়াও স্মিথ আইসিসির নকআউট ম্যাচে সব থেকে ৫০ বা তার বেশি স্কোরের নিরিখে ছাপিয়ে গেলেন সচিন তেন্ডুলকরকেও। আইসিসির নকআউট ইভেন্টে এটি ছিল স্মিথের সপ্তম পঞ্চাশোর্ধ্ব স্কোর। সচিন তেন্ডুলকরের ৬টি ফিফটি প্লাস স্কোর ছিল ১৫ ম্যাচে। তার মধ্যে একটি শতরানও ছিল মাস্টার ব্লাস্টার্সের।