অনন্তপুরের এই পিচে রান তোলা সহজ নয়। সেটা বোঝা দিয়েছে উভয় দলের প্রথম ইনিংস দেখেই। তাই ক্রিজ আঁকড়ে পড়ে থেকে খুঁটে খুঁটে রান তোলার চেষ্টা যে বৃথা হবে, সেটা বুঝতে অসুবিধা হয়নি শ্রেয়স আইয়ারের। ইন্ডিয়া সি-দলের বিরুদ্ধে দলীপ ট্রফির ম্যাচে দ্বিতীয় ইনিংসে তাই আক্রমণকেই রক্ষণের সেরা রাস্তা বলে মনে হয় নাইট তারকার। তিনি দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট হাতে রীতিমতো ঝড় তোলেন। টি-২০ ক্রিকেটের ঢংয়ে ধ্বংসাত্মক হাফ-সেঞ্চুরি করে মাঠ ছাড়েন ইন্ডিয়া-ডি দলকে নেতৃত্ব দিতে নামে শ্রেয়স।
দলীপ ট্রফিতে মাঠে নামার আগে মুম্বইয়ের হয়ে বুচি বাবু আমন্ত্রণী টুর্নামেন্টের একটি ম্যাচে খেলতে নামেন শ্রেয়স আইয়ার। সেই ম্যাচের প্রথম ইনিংসে ৩ বলে ২ রান করে আউট হন তিনি। তামিলনাড়ুর বিরুদ্ধে বুচি বাবুর ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংসে ৭৯ বলে ২২ রান করে সাজঘরে ফেরেন আইয়ার। একটিও বাউন্ডারি মারেননি তিনি। এমন খোলসে ঢুকে থাকা শ্রেয়সকে আগে কখনও দেখা গিয়েছে কিনা সন্দেহ।
এবার অনন্তপুরে রুতুরাজ গায়কোয়াড়ের নেতৃত্বাধীন ইন্ডিয়া-সি দলের বিরুদ্ধে ইন্ডিয়া-ডি দলকে নেতৃত্ব দিতে নামেন শ্রেয়স। প্রথম ইনিংসে ইন্ডিয়া-ডি দল মাত্র ১৬৪ রানে অল-আউট হয়ে যায়। শ্রেয়স আইয়ার ১৬ বলে ৯ রান করে মাঠ ছাড়েন। মারেন ১টি চার।
পালটা ব্যাট করতে নেমে ইন্ডিয়া-সি দলও সস্তায় গুটিয়ে যায়। তারা প্রথম ইনিংসে অল-আউট হয় ১৬৮ রানে। সুতরাং, বুঝে নিতে অসুবিধা হয় না যে, অনন্তপুরের এই পিচে ব্যাট করা মোটেও সহজ নয়। দু'দলের প্রথম ইনিংসে অক্ষর প্যাটেল (৮৬) ও বাবা ইন্দ্রজিৎ (৭২) ছাড়া আর কেউই তেমন একটা প্রতিরোধ গড়তে পারেননি বোলারদের সামনে।
প্রথম ইনিংসের নিরিখে ৪ রানে পিছিয়ে থেকে শুক্রবার দ্বিতীয় দফায় ব্যাট করতে নামে ইন্ডিয়া-ডি দল। এবারও মাত্র ৪০ রানের মধ্যে দুই ওপেনারের উইকেট হারিয়ে বসে তারা। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে শুরু থেকেই ব্যাট চালাতে থাকেন শ্রেয়স আইয়ার।
শ্রেয়স তিন নম্বরে ব্যাট করতে নেমে ৯টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে মাত্র ৩৯ বলে ব্যক্তিগত হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। শেষমেশ ৪৪ বলে ৫৪ রানের আগ্রাসী ইনিংস খেলে সাজঘরে ফেরেন আইয়ার। শ্রেয়স যে মেজাজে ব্যাট করেন, দেখে বোঝা মুশকিল ছিল যে, আসন্ন টেস্ট সিরিজের আগে নির্বাচকদের খুশি করতে চাইছেন, নাকি আইপিএল রিটেনশনের আগে নাইট রাইডার্স শিবিরকে আস্বস্ত করতে চাইছেন তিনি।