ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডে শীঘ্রই একটি বড় পরিবর্তন ঘটতে চলেছে। বর্তমান বিসিসিআই সভাপতি রজার বিনি ২০২৫ সালের ১৯ জুলাই ৭০ বছর পূর্ণ করবেন, এর পর বিসিসিআইয়ের নিয়ম অনুসারে তাঁকে তাঁর পদ থেকে সরে দাঁড়াতে হবে। সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, এই নিয়মের অধীনে, ৭০ বছর বয়সের পর বিসিসিআইয়ের সব কর্মকর্তাকে তাঁদের পদ ছেড়ে দিতে হবে। এমন পরিস্থিতিতে, রজার বিনির স্থলাভিষিক্ত হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে আছেন একজন অভিজ্ঞ কর্মকর্তাই। এই অভিজ্ঞ ব্যক্তি জুলাই মাসেই অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট হিসেবে এই দায়িত্ব নিতে পারেন।
রজার বিনির স্থলাভিষিক্ত হতে পারেন কে?
সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, বিসিসিআইয়ের সহ-সভাপতি রাজীব শুক্লা বর্তমান বিসিসিআই সভাপতি রজার বিনির স্থলাভিষিক্ত হতে পারেন। অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট হিসেবে, তিনি জুলাই মাসেই এই দায়িত্ব গ্রহণ করতে পারেন। রাজীব শুক্লা দীর্ঘ দিন ধরে ভারতীয় ক্রিকেট প্রশাসনের সঙ্গে যুক্ত। তিনি পূর্বে আইপিএলের চেয়ারম্যান ছিলেন এবং বিসিসিআই-এ অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।
একজন অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদ এবং প্রাক্তন সাংবাদিক হিসেবে, শুক্লার ক্রিকেট জগতে বিশাল অভিজ্ঞতা রয়েছে। ক্রিকব্লগার বিসিসিআইয়ের একজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে কোট করে দিয়ে দাবি করেছে যে, ‘রাজীব শুক্লা জুলাই মাসের প্রথম দিকে রজার বিনির স্থলাভিষিক্ত হতে পারেন এবং বোর্ড কর্মকর্তারা ইতিমধ্যেই তাঁর নাম নিয়ে আলোচনা করছেন।’
রজার বিনি ২০২২ সালে বিসিসিআই সভাপতি হন
প্রসঙ্গত, রজার বিনি ২০২২ সালে বিসিসিআই সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তিনি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের স্থলাভিষিক্ত হন। সেই সময়ে নিন্দুকেরা বলেছিলেন, রাজনীতির শিকার হয়েছেন সৌরভ। তাঁর ইচ্ছের বিরুদ্ধে গিয়েই প্রেসিডেন্টের পদ থেকে সরানো হয়েছিল বাংলার মহারাজকে। সেই সময়ে ‘রাবার স্ট্যাম্প’ সভাপতি হিসাবে বোর্ডের শীর্ষপদে বসেছিলেন রজার বিনি। বিসিসিআই-তে আসার আগে বিনি ছিলেন কর্ণাটক ক্রিকেট অ্যাসোসিশনের প্রধান। এছাড়া এর আগে সন্দীপ পাটিল নির্বাচক প্রধান থাকাকালীন জাতীয় নির্বাচকও ছিলেন রজার বিনি।
১৯৮৩ সালে ভারতের প্রথম বিশ্বকাপ জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন রজার বিনি। সেই টুর্নামেন্টে তিনি সর্বাধিক ১৮ উইকেট নিয়েছিলেন, যা ভারতকে ঐতিহাসিক শিরোপা জিততে সাহায্য করেছিল। বিনি তার মেয়াদে অনেক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, যার মধ্যে ছিল বিশ্বস্তরে ভারতীয় ক্রিকেটকে শক্তিশালী করা এবং প্রশাসনিক সংস্কার। তবে, বয়সসীমার নিয়মের কারণে, এখন তাঁকে এই পদ ছাড়তে হবে। যে কারণে রাজীব শুক্লাকে নতুন সভাপতি করার সম্ভাবনা রয়েছে।