চলতি বর্ডার গাভাসকর ট্রফির তৃতীয় ম্যাচ শেষে অর্থাৎ গাব্বা টেস্টের পরেই আচমকা অবসর নিয়েছেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। ভারতীয় স্পিনারের এই ঘোষণায় অবাক হয়েছেন বহু ক্রিকেটার, বিশেষজ্ঞ ও সমর্থক। টেস্ট ক্রিকেটের অন্যতম সেরা বোলারদের তালিকায় থাকবেন ভারতীয় স্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিন। তবে ব্রিসবেন টেস্টের পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানানোর সিদ্ধান্তে খানিকটা চমকেই গিয়েছেনসকলে। রবিচন্দ্রন অশ্বিনের এই সিদ্ধান্তে অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক প্যাট কামিন্সও বেশ অবাক হয়েছেন।
কী বললেন প্যাট কামিন্স?
কোনও রাখঢাক না করেই কামিন্স জানিয়ে দেন, সিরিজের মাঝপথে অবসর ঘোষণার কথা কল্পনা করতে পারেননি তিনি। ম্য়াচের পরে সাংবাদিক সম্মেলনে এসে অশ্বিনের অবসর নিয়ে মুখ খোলেন প্যাট কামিন্স। তিনি বলেন, ‘আমি একটু অবাকই হয়েছি। ও ভারতের চ্যাম্পিয়ন প্লেয়ার। দশ বছরের ওপর একটানা খেলছে। অসাধারণ কেরিয়ার ওর। আমাদের ড্রেসিংরুম ওকে অত্যন্ত সম্মান করে।’
আরও পড়ুন… মহম্মদ শামির চোটের কী খবর? অস্ট্রেলিয়াতে কি যাবেন? NCA-র কোর্টে বল ঠেললেন রোহিত শর্মা
দেখুন কী বললেন প্যাট কামিন্স-
ব্রেট লি কী বললেন?
রবিচন্দ্রন অশ্বিনের প্রশংসা করেন অস্ট্রেলিয়ার আর এক কিংবদন্তি ব্রেট লি। ভারতের তারকা স্পিনারকে বিশ্ব ক্রিকেটের অন্যতম সেরা ক্রিকেটারের অ্যাখ্যা দিয়েছেন প্রাক্তন অজি পেসার। ব্রেট লি বলেন, ‘অশ্বিন হলেন ক্রিকেটের অন্যতম সেরাদের মধ্যে একজন। মনে হচ্ছে শেষবার সিরিজের মাঝপথে যদি কোনও স্পিনার অবসর নিয়ে থাকে, সেটা গ্রেম সোয়ান।’
আরও পড়ুন… ভিডিয়ো: তোমরা আমায় মেরে ফেলবে নাকি... অশ্বিনের অবসরের পর কেন এমন কথা বললেন রোহিত শর্মা?
অশ্বিনের সিদ্ধান্তে চটলেন গাভাসকর
তবে সিরিজের মাঝে অশ্বিনের অবসরের সিদ্ধান্তে একেবারেই খুশি নন সুনীল গাভাসকর। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালের ছাড়পত্র পেতে বাকি দুই টেস্ট খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। কিংবদন্তি মনে করেন, এর প্রভাব সিরিজে ভারতীয় দলের ওপর পড়তে পারে। ২০১৪-১৫ অস্ট্রেলিয়া সিরিজে একই কাজ করেছিলেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। বর্ডার-গাভাসকর ট্রফির মাঝপথে অবসর ঘোষণা করেছিলেন তিনি। প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক মনে করেন, দলের একজন গুরুত্বপূর্ণ প্লেয়ারের এমন সিদ্ধান্ত দলের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে।
আরও পড়ুন… ভিডিয়ো: ব্যাটে রান নেই, তাহলে কি এবার বিদায়ের পালা? খোলাখুলি উত্তর দিলেন রোহিত
কী বললেন সুনীল গাভাসকর ও হরভজন সিং-
সুনীল গাভাসকর বলেন, ‘ও বলতে পারত, এই সিরিজের পর আর আমি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলব না। ২০১৪-১৫ সিরিজে তৃতীয় টেস্টের পর অবসর নেন ধোনি। তাতে ক্ষতি হয় দলের। একটা নির্দিষ্ট লক্ষ্যে নিয়ে একটা বিদেশ সফরের দল বাছাই করা হয়। চোট, আঘাতের সমস্যা হলে রিজার্ভ দল থেকে প্লেয়ার নেওয়া যায়। সিডনির উইকেট থেকে স্পিনাররা সাহায্য পায়। সেখানে ভারত দু'জন স্পিনার নিয়ে খেলতেই পারত। অশ্বিনের খেলার সম্ভাবনা ছিল। মেলবোর্ন পিচ সম্বন্ধে আমার ধারণা নেই। সাধারণত সিরিজ শেষেই এই ধরনের সিদ্ধান্তগুলো নেওয়া হয়। সিরিজের মাঝপথে প্রত্যাশিত নয়।’ পার্থ, অ্যাডিলেড এবং ব্রিসবেন সাধারণত পেস সহায়ক। কিন্তু মেলবোর্ন এবং সিডনির পিচ থেকে সুবিধা পান স্পিনাররা। শেষ দুই টেস্টের আগে অশ্বিনের অবসর নিঃসন্দেহে রোহিতের হাতে বিকল্প কমিয়ে দেবে বলে মনে করা হচ্ছে। তাই তো অশ্বিনের অবসরে হরভজন সিংও অবাক হয়েছেন।