প্রথম ইনিংসে নিউজিল্যান্ডের হয়ে রাচিন রবীন্দ্র একা যত রান করেছেন, দক্ষিণ আফ্রিকার সকলে মিলে সেই রানকে টপকাতে পারেনি। স্বাভাবিকভাবেই বে ওভালে সিরিজের প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে নিউজিল্যান্ডের থেকে বিশাল ব্যবধানে পিছিয়ে পড়ে দক্ষিণ আফ্রিকা।
প্রকৃতপক্ষে দক্ষিণ আফ্রিকা ফলো-অনই বাঁচাতে পারেনি। তবে সুযোগ পেয়েও প্রোটিয়াদের ফলো-অনের লজ্জা থেকে মুক্তি দেয় নিউজিল্যান্ড। বদলে নিজেরাই দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামে। আপাতত তৃতীয় দিনের শেষে দক্ষিণ আফ্রিকার থেকে বিরাট ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছে কিউয়িরা।
কেন উইলিয়ামসনের ১১৮ ও রাচিন রবীন্দ্রর ২৪০ রানের অসাধারণ ২টি ইনিংসের সুবাদে নিউজিল্যান্ড প্রথম দফায় ৫১১ রান তোলে। পালটা ব্যাট করতে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকা দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ করে ৪ উইকেটে ৮০ রান তুলে। তৃতীয় দিনে তার পর থেকে খেলা শুরু করে দক্ষিণ আফ্রিকা তাদের প্রথম ইনিংসে অল-আউট হয় মাত্র ১৬২ রানে। অর্থাৎ, তারা একা রাচিন রবীন্দ্রর রানকেই টপকাতে পারেনি।
দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে সব থেকে বেশি ৪৫ রান করেন কিগান পিটারসেন। ১৩২ বলের ইনিংসে তিনি ৬টি চার মারেন। এছাড়া এডওয়ার্ড মুর ২৩, জুবাইর হামজা ২২, ডেভিড বেডিংহ্যাম ৩২ ও দুয়ান অলিভিয়ের অপরাজিত ১৫ রান করেন।
নিউজিল্যান্ডের হয়ে ম্যাট হেনরি ও মিচেল স্যান্টনার প্রথম ইনিংসে ৩টি করে উইকেট দখল করেন। ২টি করে উইকেট নেন কাইল জেমিসন ও রাচিন রবীন্দ্র। উইকেট পাননি ক্যাপ্টেন টিম সাউদি।
প্রথম ইনিংসের নিরিখে ৩৪৯ রানের বিশাল ব্যবধানে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামে নিউজিল্যান্ড। তারা তৃতীয় দিনের শেষে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ৪ উইকেটের বিনিময়ে ১৭৯ রান তোলে। অর্থাৎ, নিউজিল্যান্ডের হাতে এখনই লিড রয়েছে ৫২৮ রানের।
কেন উইলিয়ামসন প্রথম ইনিংসের মতো দ্বিতীয় ইনিংসেও সেঞ্চুরি করেন। তিনি ১২টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ১৩২ বলে ১০৯ রান করে আউট হন। রাচিন রবীন্দ্র ১২ রান করে সাজঘরে ফেরেন। ২৯ রান করে আউট হন ডেভন কনওয়ে। টম লাথাম মাত্র ৩ রান করে আউট হন। তৃতীয় দিনে ডারিল মিচেল ১১ ও টম ব্লান্ডেল ৫ রান করে নট-আউট থাকেন। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে ক্যাপ্টেন ব্র্যান্ড দ্বিতীয় ইনিংসে ৫২ রান খরচ করে ২টি উইকেট নিয়েছেন।