সদ্য সমাপ্ত আইসিসি টি২০ বিশ্বকাপে বেশ ভালো পারফরমেন্স ছিল আফগানিস্তানের। সকলকে অবাক করে দিয়েই অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডের মতো কঠিন প্রতিপক্ষকেও হারিয়ে দিয়েছিল রশিদ খানের দল। এবারের টি২০ বিশ্বকাপে অন্যতম আকর্ষণ ছিল ফজলহক ফারুকি, রহমানউল্লাহ গুরবাজদের পারফরমেন্স। গত ওডিআই বিশ্বকাপেও ইংল্যান্ড, পাকিস্তানকে হারিয়েছিল আফগানরা। অর্থাৎ তাঁদের দেশের ক্রিকেট যে বেশ ভালোই উন্নতি করছে সেকথা বলাই বাহুল্য। ভারতও তাঁদের ক্রিকেটের উন্নতির জন্য ব্যাপক সাহায্য করছে। আফগানিস্তান দলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সদস্য মহম্মদ নবি। দলের নির্ভরযোগ্য অলরাউন্ডার তিনি। বয়স ৩৯ হলেও তাঁর পরিবর্ত এখনও খুঁজে পায়নি জোনাথন ট্রট, রশিদ খানরা। এখনই অবসরের কথা চিন্তাভাবনা করছেন না বলে জানিয়ে দিলেন আফগানিস্তানের এই অলরাউন্ডার।
আরও পড়ুন-বার্ষিক সম্মেলনের আগে পদত্যাগ দুই শীর্ষকর্তার! বিশ্বকাপের পিচ ইস্যুতে চাপে আইসিসি
২০০৯ সালে আফগানিস্তানের জার্সিতে অভিষেক হয় তাঁর। ক্রিকেটবিশ্বের তাঁর বিরল নজির রয়েছে বহু দেশের বিপক্ষে খেলার, বরাবরই নিজের ফিটনেস নিয়ে সচেতন আফগানিস্তানের এই অলরাউন্ডার। ৩৯ বছর বয়সে এসেও তাই ফিটনেসের দিক থেকে আফগানদেরই অনেককে হার মানাতে পারেন তিনি। আইপিএলেও সুযোগ পান প্রথম একাদশে খেলার। বয়স বাড়ছে, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে খেলার ধার কমা অনিবার্য, যদিও যতদিন ফিট থাকবেন খেলা চালিয়ে যেতে চান আফগানিস্তানের এই স্পিনার-অলরাউন্ডার। ইচ্ছা রয়েছে ২০২৬ টি২০ বিশ্বকাপে দেশের জার্সি গায়ে চাপানোরও।
আরও পড়ুন-অবসরের দিনেও তরতাজা জিমি! ম্যাচ শেষে চুটিয়ে ক্রিকেট খেললেন স্টোক্সের পুত্র-কন্যাদের সঙ্গেও
মহম্মদ নবি বলছেন, ‘জানি না কতদিন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলতে পারব, তবে এখনও শরীর ফিট রয়েছে, দৌড়াতে পারছি। এখনও বাউন্ডারি লাইনে ফিল্ডিং করি, ভালো ক্যাচ নিতে পারছি। বোলিংটাও করছি ঠিকঠাক। এখনও পর্যন্ত আমি ভালোই খেলছি, চেষ্টা করব যতদিন সম্ভব নিজেকে ফিট রাখার। এই মূহূর্তে আফগানিস্তান দলের আমাকে প্রয়োজন। ২০২৫ সালে এটা আমার শেষ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। এরপর হয়ত আর একবছর খেলব। টি২০ বিশ্বকাপে দল যদি আমায় সুযোগ দেয়, অবশ্যই নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করব ’।
আরও পড়ুন-১৮৮ টেস্ট,৭০৪ উইকেট! অ্যান্ডারসন যুগের অবসানের দিনে ফিরে দেখা পাঁচটি বিরল রেকর্ড
আফগান অলরাউন্ডার আরও বলেন, ‘আমি তো যুবক নই, কারণ আমার বয়স এখন প্রায় ৪০। তাও আমি চেষ্টা করি কঠোর অনুশীলন করতে। শরীরের ফিটনেসের জন্য খাওয়ার দাওয়ার বিষয় সচেতন থাকা খুব জরুরি, সেটাই থাকার চেষ্টা করি। যত সাদা মাটা, পরিস্কার খাবার খাওয়া যায়, ততই ফিট থাকা যায়। একটা কথা বলতে পারি, এবারের টি২০ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ওঠা আমাদের অনেক অভিজ্ঞতা বাড়িয়েছে, আমার এবং দলের বাকিদের। শেষ চারে ওঠার কাজটা কঠিন ছিল, আশা করব এই ধারা আমরা আগামী দিনেও বজায় রাখতে পারব। এটা আমার জীবনের একটা সেরা মূহূর্ত, যা সারাজীবন আমি মনে রাখব ’।