ইডেনে অবশেষে জয়ের দেখা পেয়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। বৃহস্পতিবার ইডেনে মনের মতো পিচ পাওয়ার পরই কিউরেটরের সঙ্গে সমস্যায় ইতি পড়ল ক্রিকেটের নন্দন-কাননে। আসলে আরসিবির বিপক্ষে হারের পর ইডেনে হোম অ্যাডভান্টেজ না পাওয়া নিয়ে খুবই বিরক্ত ছিল টিম ম্যানেজমেন্ট। আর মুম্বই ম্যাচে হেরে নাইটরা ছিল চাপের প্রেসার কুকারে। এই ম্যাচেও যদি পিচ তাঁদের মতো না হত, তাহলে তাঁরা আরও বিপদে পরতে পারত। তাই সানরাইজার্সের বিরুদ্ধে ৮০ রানে স্বস্তির জয়ের পর পিচের প্রশংসায় রাহানে-বেঙ্কটেশরা।
ইডেনে এই পিচেই খেলতে চান বেঙ্কটেশ
ম্য়াচ শেষে কেকেআরের নায়ক বেঙ্কটেশ আইয়ারকে প্রশ্ন করা হয়, ইডেনের পিচ নিয়ে। শুনেই বেঙ্কি বলেন, ‘আজকে আমরা যে পিচে খেললাম, এই পিচটা বেশ ভালো। তাই আমরা ভালো খেলতে ফেলেছি, চাইব যে এই পিচেই গোটা মরশুম খেলতে। তবে পিচকে খুব বেশি গুরুত্ব দিতে চাই না। পরিবেশ পরিস্থিতি বুঝে খেলতে হয়। এই উইকেটে তো সবাই ভালো পারফর্ম করেছে আজকে, বিশেষ করে আমাদের বোলাররা তো দুরন্ত খেলেছে, তাই আমি খুশি ’।
পিচ নিয়ে প্রশংসা রাহানের
ম্যাচ শেষে আজিঙ্কা রাহানেও পিচ কিউরেটরের সঙ্গে নাইট রাইডার্সের বোঝাপড়ার এক ইঙ্গিত দিয়ে দিলেন। তাঁকেও বলতে শোনা গেল, ‘আজকের পিচে খেলে আমরা খুশি। হোম সাইড হিসেবে সব দলই চায় একটু সুবিধাজনক উইকেট, আমাদের শক্তি হচ্ছে আমাদের স্পিনাররা, তাই এমন উইকেট পেয়ে আমাদের ভালো লাগছে, আশা করব এরকম উইকেটই আমরা আগামী দিনেও পাব ’।
দামি বলেই রোজ রান করব নাকি!
ম্যাচ শেষে বেঙ্কটেশ আইয়ারের দিকে উড়ে এল অপ্রিয় প্রশ্নটাও। প্রায় ২৪ কোটি টাকায় কেনার পর এতদিন রান পাচ্ছিলেন না বলে কি চাপে ছিলেন? উত্তরে বেঙ্কি বললেন, ‘দলের সব থেকে দামি ক্রিকেটার মানেই কি রোজ রোজ রান করব নাকি। তবে চাপে নিশ্চয় ছিলাম, কিন্তু এই ম্যাচে রান পাওয়ায় এখন অনেকটাই স্বস্তিতে আছি। ’
ব্যাটিং স্ট্র্যাটেজি বললেন বেঙ্কটেশ
এরপরই নিজেদের স্ট্র্যাটেজি সম্পর্কে রহস্য ফাঁস করেন বেঙ্কি। তাঁর কথায়, ‘হায়দরাবাদ হচ্ছে একটু ওভার অ্যাটাকিং দল, আর সাধারণত এরকম দল যেমন ভালো পারফরমেন্স করে, তেমনই ওদের ব্যাটারদের আউটও হওয়ারও প্রবণতা থাকে বেশি। তাই প্রথমে আমরা চেয়েছিলাম, এখানকার পার স্কোরের থেকে ২০টা রান অন্তত বেশি করতে। আর রাহানে অংকৃষ ওই পিচে খেলে এসেছে আমাদের বলেছিল, উইকেটে বল একটু আটকে আটকে যাচ্ছে, তাই সেট না হয়ে হিট করা উচিত হবে না। তাই আমি আর রিঙ্কু শুরুর দিকে একটু সময় নিচ্ছিলাম। একবার সেট হয়ে যেতে বড় শট খেলি। এই জয়ের জন্য রিঙ্কুরও অবদান আছে, কারণ আমি একা হিট করলে হত না। দুই দিক থেকেই রান ওঠা দরকার ছিল। আর আমাদের বোলাররা জানত যে ওরা আক্রমণে যাবে, সেই অনুযায়ী প্ল্যানিংয়েই ওদের ফাঁদে ফেলেছি ’।