চোটের কারণে খেলতে পারেননি মাথিশা পাথিরানার। তাঁর জায়গায় সিএসকে-র একাদশে জায়গা পান মুস্তাফিজুর রহমান। আর শুরুতেই চমকে দিলেন বাংলাদেশের তারকা পেসার। একাই চার উইকেট নিয়ে আরসিবি-র কোমর ভেঙে দেন মুস্তাফিজ।
২০২৪ আইপিএলের ওপেনিং ম্যাচেই ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন চেন্নাই সুপার কিংস শুক্রবার মুখোমুখি হয়েছিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। আর পাথিরানার জায়গায় সুযোগ পেয়েই, সেটাকে ভালো ভাবে কাজে লাগালেন মুস্তাফিজুর। চার ওভার বল করে ২৯ রান দিয়ে ৪ উইকেট তুলে দেন মুস্তাফিজুর। নিজের দুরন্ত স্পেলের হাত ধরে নির্বাচিত হন ম্যাচের সেরা। এটাই তাঁর আইপিএল ক্যারিয়ারে সেরা বোলিং পরিসংখ্যান। সেই সঙ্গে প্রথম বাংলাদেশি বোলার হিসেবে তিনি আইপিএলের এক ম্যাচে ৪ উইকেট নেওয়ার রেকর্ড গড়েছেন।
আরও পড়ুন: কারও জুতোয় পা গলাতে চাই না- ধোনির ছায়া থেকে বের হতে চান রুতুরাজ
মুস্তাফিজুর নিজের প্রথম ওভারে বল করতে এসেই সাজঘরে ফেরান ফ্যাফ ডু'প্লেসি (৩৫) এবং রজত পতিদারকে (০)। মাত্র ৪ রান দিয়েই তিনি তুলে নেন ২ উইকেট। এটি আরসিবি-র ইনিংসের পঞ্চম ওভার ছিল। ওভারের তৃতীয় বলে মুস্তাফিজের দুর্দান্ত এক কাটারে রাচিন রবীন্দ্রর হাতে ক্যাচ তুলে দেন ডু'প্লেসি। এর পর ওভারের শেষ বলে ফেরান পতিদারকে। ভালো লেংথের বলে রজত উইকেটের পিছনে মহেন্দ্র সিং ধোনির হাতে ক্যাচ দেন।
বাংলাদেশের তারকা বোলার বল করতে আসার আগে দাপটের সঙ্গে খেলছিল বেঙ্গালুরুর দলটি। ৪ ওভারে তারা বিনা উইকেটে ৩৭ রান করে ফেলেছিল। সেই সময়ে বল করতে এসে ম্যাচের রংটাই বদলে দেন মুস্তাফিজ। তিনি বেঙ্গালুরুর দলটির হাত থেকে ম্যাচের রাশ এনে দেন সিএসকে-র হাতে। এর পরে ইনিংসের ১২তম ওভারে তাঁকে আবার ফিরিয়ে আনেন রুতুরাজ গায়কোয়াড়। এই ওভারেও তিনি বিরাট কোহলির (২১) এবং ক্যামেরন গ্রিনকে (১৮) আউট করে ফের ধাক্কা দেন আরসিবি-কে। এই দুই ওভারেই ম্যাচের ভাগ্য কার্যত নির্ধারণ হয়ে যায়। পরের আরও ২ ওভার বোলিং করলেও, উইকেটের সংখ্যা বাড়াতে পারেননি তিনি। তবে শনিবার আরসিবি-র দাপটকে থামাতে কার্যকরী ভূমিকা নেন বাংলাদেশের তারকা বোলার।
এদিন চিদম্বরম স্টেডিয়ামে ২০২৪ আইপিএলের উদ্বোধনী ম্যাচেই কোহলিদের ৬ উইকেটে হারায় চেন্নাই সুপার কিংস। জয় দিয়ে শুরুটা করলেন নতুন অধিনায়ক রুতুরাজ গায়কোয়াড়। প্রথমে ব্যাট করে ৬ উইকেটের বিনিময়ে ১৭৩ রান তোলে আরসিবি। জবাবে ৮ বল বাকি থাকতে ১৮.৪ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে জয়সূচক রানে পৌঁছে যায় চেন্নাই। একমাত্র প্রথম আইপিএল ছাড়া চিপকে পাঁচ বারের চ্যাম্পিয়নদের কখনও হারাতে পারেনি আরসিবি।