শুভব্রত মুখার্জি: চলতি আইপিএলের অন্যতম আবিষ্কার নিঃসন্দেহে বলা যায় লখনউ সুপার জায়ান্টস দলের ভারতীয় নবীন তারকা পেসার মায়াঙ্ক যাদবকে। তাঁর বলে রয়েছে আগুনে গতি। তিনি তাঁর আগুনে গতিতেই পরাস্ত করেছেন বিশ্বের তাবড় তাবড় ব্যাটরদের। ক্যামেরুন গ্রিন,গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের মতন ব্যাটারদের বারবার তাঁর গতিতে সমস্যায় ফেলেছেন মায়াঙ্ক। অভিষেক হওয়ার পর প্রথম দুই ম্যাচেই ম্যাচ সেরা হয়ে সকলের নজর কেড়েছিলেন তিনি। এর পরেই হঠাৎ করেই চোট পান মায়াঙ্ক। তাঁর তলপেটের মাংসপেশিতে টান ধরে গিয়েছিল। অর্থাৎ পেটের মাসেলের উপর অতিরিক্ত চাপ পড়ে এই ঘটনা ঘটেছিল। আর সেই কারণেই বেশ কয়েকটি ম্যাচে খেলা হয়নি তাঁর।নবীন ভারতীয় এই তারকা পেসারের চোটকে যেভাবে তাঁর ফ্র্যাঞ্চাইজি লখনউ সুপার জায়ান্টস দল হ্যান্ডেল করেছে, তাতে একেবারেই খুশি নন প্রাক্তন তারকা অজি পেসার ব্রেট লি।
গতকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার রাতে কয়েক ম্যাচ না খেলার পর ফের ২২ গজে ফিরেছিলেন মায়াঙ্ক যাদব। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে ম্যাচে তিনি লখনউ দলে ফিরলেও, সেই ভাবে ভালো পারফরম্যান্স করতে পারেননি। তিনি ৩.১ ওভার বল করে ৩১ রান দেন। পাশাপাশি নিয়েছেন একটি উইকেটও। তবে কোথাও যেন তাঁর বোলিংয়ে সেই ঝাঁজটা এদিন ছিল উধাও। ২১ বছর বয়সী এই তারকা পেসারের কামব্যাক নিয়ে বলতে গিয়ে ব্রেট লি দাবি করেছেন, টিম ম্যানেজমেন্টের তরফে বিষয়টিকে অত্যন্ত বাজে ভাবে হ্যান্ডেল করেছে। আর তার ফলেই ঘটেছে এই ঘটনা। ৭ এপ্রিল গুজরাট টাইটান্স দলের বিরুদ্ধে ম্যাচ খেলার সময়ে এই সমস্যার শুরু হয়েছিল। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে মাঠে ফিরলেও, গোটা ম্যাচ খেলতে পারেননি তিনি। তাঁর স্পেল শেষ না করেই তাঁকে মাঠ ছাড়তে হয়। এতে কিছুটা হলেও আতঙ্ক ছড়িয়েছে, মায়াঙ্কের ফের চোট পাওয়া নিয়ে। লখনউয়ের কোচ জাস্টিন ল্যাঙ্গার জানিয়েছেন, মায়াঙ্ক আগে যে জায়গায় চোট পেয়েছিলেন, সেই জায়গাতেই এবারও তিনি অসাড় অনুভব করছেন।
আরও পড়ুন: নেতৃত্ব ফিরে পেয়েই ICC T20I Rankings-এ বড় লাফ দিলেন বাবর, সূর্য ধরে রাখলেন এক নম্বর জায়গা
প্রসঙ্গত পুরনো চোটের কারণেই তিন সপ্তাহ মাঠের বাইরে থাকতে হয়েছিল মায়াঙ্ককে। সেই চোট সম্ভবত পুরো না সারিয়ে তিনি মাঠে ফেরাতেই ফের বিপত্তি ঘটেছে বলে মত বিশেষজ্ঞদের। বিশেষজ্ঞদের মতে ফের এক জায়গায় চোট লাগলে আবারও ছয় সপ্তাহের জন্য মাঠের বাইরে থাকতে হতে পারে মায়াঙ্ককে। আর এই ঘটনাকে সামনে রেখেই সুপার জায়ান্টস টিম ম্যানেজমেন্ট এবং তাদের মেডিকেল স্টাফদের একহাত নিয়েছেন ব্রেট লি। জিও সিনেমায় ব্রেট লি বলেছেন, ‘সাইড স্ট্রেন বলুন বা যাই বলুন, এটা থেকে সম্পূর্ণ ভাবে সেরে উঠতে অন্ততপক্ষে চার বা ছয় সপ্তাহ সময় লাগে। আমরা তো কেউই জানি না যে, চোটের গভীরতা কতটা। যারা জানে তাদের এই বিষয়ে আরও বেশি সতর্ক হওয়া উচিত। একজন বোলার যে ১৫০ কিমি প্রতি ঘন্টায় বল করছে তাঁর প্রতি আরও সতর্ক হওয়া উচিত ছিল ম্যানেজমেন্টের। এই ভাবে ম্যানেজমেন্ট করাটা একেবারেই ভালো নয়। আরও ভালো করে চোটটা ম্যানেজ করা উচিত ছিল।’