৪০০র বেশি দিন পর ফের জাতীয় দলের জার্সিতে মাঠে নামবেন মেন ইন ব্লুজদের তারকা পেসার মহম্মদ শামি। চ্য়াম্পিয়ন্স ট্রফিতে বুমরাহ-শামি জুটি ক্লিক করে গেলে ভারতকে আর পিছন ফিরে তাকাতে হবে না। তাঁর আগে ইংল্যান্ড সিরিজেই নিজেকে ঝালিয়ে নেবেন ২০২৩ ওডিআই বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ উইকেটের মালিক। তবে টিম ইন্ডিয়ায় কামব্যাকের আগেই বোমা ফাটালেন এই পেসার।
ভারতীয় দলের তারকা পেসার মহম্মদ শামি জাতীয় দলের জার্সিতে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে কামব্যাক করতে চলেছেন। ১ বছরের বেশি সময় পর জাতীয় দলের জার্সিতে ফের মাঠে নামবেন বাংলার হয়ে খেলা এই পেসার। পায়ে অস্ত্রোপচারের জেতে তিনি এতদিন বাইরে ছিলেন দলের, নিয়ে যাওয়া হয়নি বর্ডার গাভাসকর সিরিজ খেলতে অস্ট্রেলিয়ায়।
বিস্ফোরক মহম্মদ শামি-
মহম্মদ শামি বলছেন, তাঁর কাছে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল এটা বোঝা, যে খারাপ সময়ে কে তার পাশে আছে, আর কে নেই। শামির কথায়, ‘আসল পরীক্ষা হচ্ছে বুঝতে পারা যে কে তোমার সঙ্গে খারার সময় রয়েছে। আমি ১ বছর অপেক্ষা করেছি, কঠোর পরিশ্রম করেছি। মনের মধ্যে একটা ভয় কাজ করত। এটা যে কোনও ক্রিকেটারের জন্যই খুব কঠিন ভালো ছন্দে থাকার সময় চোট পেয়ে ছিটকে যাওয়া, তারপর এনসিএতে গিয়ে রিহ্যাব করে ফের কামব্যাক করা ’।
আরও পড়ুন-রেস্তোরাঁয় একা শ্রেয়সকে দেখে ভক্তের অনুরোধ অটোগ্রাফের! খোশমেজাজে তুললেন সেলফিও
বিসিসিআইয়ের দেওয়া ভিডিয়ো-
শামি আরও বলছেন, ‘যখন আমরা ছোট থাকি, আমাদের বাবা-মারা শেখায় যে আমরা পড়ে গেলেও কীভাবে উঠে দাঁড়াতে হয়। যেন হাল না ছেড়ে দি। আমরা যতবারই ব্যর্থ হই না কেন, হাল ছাড়া চলবে না। এটা খেলার ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। চোট লাগলেও দেশের জন্য আর দলের জন্য কামব্যাক করতেই হবে’।
আরও পড়ুন-৯ বছরের দাবাড়ুর কাছে হার কার্লসেনের? বাংলাদেশের দাবাড়ুর দাবিতে তোলপার বিশ্ব
ঘুড়ি ওড়ালেন খোশমেজাজে থাকা শামি-
বিসিসিআইয়ের দেওয়া ভিডিয়োতে দেখা যায় শামিকে ঘুড়ি ওড়াতে। সেই প্রসঙ্গ টেনেই শামি বলছেন, ‘ঘুড়ি ওড়াও বা বোলিং করো কিনবা গাড়ি চালাও, যদি মনের মধ্যে দৃঢ় বিশ্বাস থাকে, তাহলে কোনও পার্থক্যই তৈরি করতে পারবে না কেউ। দেখ ১৫ বছর পরেও আমি ঘুড়ি ওড়াতে পারছি, এর থেকেই বোঝা যায় সব কাজেই আত্মবিশ্বাস প্রয়োজন। যখন তুমি রান করছ, উইকেট নিচ্ছ সকলেই তোমার সঙ্গে আছে। কিন্তু যখন কঠিন সময় আসবে, তখন কে তোমার পাশে রয়েছে সেটা বোঝাই আসল। যখন কোনও খেলায়াড় চোটের মধ্যে দিয়ে যায় তখন সে আরও ক্ষুরধার হয়ে ওঠে। কারণ মানসিকভাবে আরও শক্তিশালী হওয়ার পাশাপাশি একই জিনিসের বারবার অভ্যাস করা হয়। আমার মনে হয় আমি সেই কঠিন সময়টা কাটিয়ে এসেছি, যদি কঠোর পরিশ্রম করা যায়, তাহলে ফল আসবেই ’।