চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি থেকে আফগানিস্তানকে বয়কটের দাবি তুলেছিলেন ইংল্যান্ডের একদল রাজনীতিবিদ। আর সেই আফগানদের কাছে হেরেই ২০২৫ সালের আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি থেকে ছিটকে গেল ইংল্যান্ড। বুধবার লাহোরে রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে ইংল্যান্ডকে আট রানে হারিয়ে দিলেন রশিদ খান, ইব্রাহিম জারদানরা। আর সেই জয়টা যে ‘ফ্লুক’-এ (মেঠো ভাষায় ফোকটে) হয়ে গিয়েছে বলে যাঁরা মনে করছেন, তাঁদের বছরদেড়েক আগে ফিরে যেতে হবে। কারণ ২০২৩ সালের ৫০ ওভারের বিশ্বকাপেও ইংরেজদের হারিয়ে দিয়েছিলেন আফগানরা।
আফগানদের বয়কটের দাবি তোলা হয়েছিল কেন?
আর সেই আফগানদেরই আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি থেকে বয়কটের দাবি তুলেছিলেন ইংল্যান্ডের একগুচ্ছ রাজনৈতিক নেতা-নেত্রী। গত জানুয়ারিতে প্রায় ২০০ জন সাংসদের স্বাক্ষরিত একটি চিঠি পাঠানো হয়েছিল ইংল্যান্ড এবং ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ডের (ইসিবি) কাছে। তাতে দাবি করা হয়েছিল যে তালিবান শাসনে মহিলাদের অধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে। সেই পরিস্থিতিতে ইংল্যান্ড ক্রিকেট দল যাতে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে আফগানদের বিরুদ্ধে না খেলে, সেই আর্জি জানানো হয়েছিল।
আরও পড়ুন: Champions Trophy- ইংল্যান্ডকে হারিয়ে অজিদের হুঁশিয়ারি জাদরানের! বললেন 'আমাদের প্ল্যান থাকবে...'
যাঁরা সেই বয়কটের দাবি তুলেছিলেন, তাঁদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন লেবার পার্টির তনিয়া অ্যান্তোনিয়াজি। সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, তিনি বলেছিলেন যে একটা 'পরিবর্তন আনার' জন্য ইংল্যান্ডের খেলোয়াড়দের নিজেদের ‘ক্ষমতা’ ব্যবহার করা উচিত। যে ইংল্যান্ড ক্রিকেট দল ২০০৩ সালের একদিনের বিশ্বকাপে জিম্বাবোয়ে খেলতে যেতে চায়নি।
আরও পড়ুন: Champions Trophy- ফের ইংরেজদের দর্পচূর্ণ করল আফগানিস্তান! বের করে দিল চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি থেকে
আর্জি খারিজ করে দিয়েছিল ইসিবি
যদিও এবার ইংল্যান্ড বোর্ডের তরফে রাজনীতিবিদদের সেই আর্জি মেনে নেওয়া হয়নি। চলতি মাসের শুরুর দিকে বিষয়টি নিয়ে ইংল্যান্ড বোর্ডের বৈঠকে আলোচনা হয়েছিল। আর তারপর স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল যে আফগানদের বিরুদ্ধে খেলবেন জোস বাটলাররা। যে বাটলার নিজেও বলেছিলেন, ‘আমার মনে হয় না যে বয়কটের পথে হাঁটা উচিত নয়।’
বাটলাররা বয়কটের পথে হাঁটেননি। আর খেলে হেরেছেন। তবে এই প্রথম কোনও আইসিসি প্রতিযোগিতায় তথাকথিত কোনও বড় দলকে হারাল না আফগানিস্তান। ২০২৩ সালের বিশ্বকাপ থেকে পরপর তিনটি আইসিসি ইভেন্টে একাধিক বড় তথাকথিত বড় দলকে হারিয়ে দিয়েছে। যে তালিকায় অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ডের মতো দলও আছে।