শুভব্রত মুখার্জি:- গত ওডিআই বিশ্বকাপের ফাইনালে পৌঁছে ছিল ভারতীয় দল। যদিও ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হারতে হয়েছিল রোহিত শর্মার নেতৃত্বাধীন ভারতীয় দলকে। ভারতের এই সাফল্যের পিছনে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে মহম্মদ শামির। ভারতীয় এই পেসার একার হাতে কার্যত ভারতকে ফাইনালে পৌঁছে দিয়েছিলেন। প্রথম চারটি ম্যাচে খেলেননি মহম্মদ শামি। মাত্র সাতটি ম্যাচ খেলে তিনি নিয়েছিলেন ২৪টি উইকেট। বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ উইকেট সংগ্রাহকও হয়েছিলেন তিনি। সেই মহম্মদ শামিকে ঘিরেই তৈরি হয়েছে আলাদা উন্মাদনা। তারকাকে একঝলক দেখতে এবার তাঁর উত্তরপ্রদেশের ফার্ম হাউসের সামনে রীতিমতো ভক্তদের লম্বা লাইন পড়ছে। পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছে গিয়েছে যে বাড়ানো হয়েছে তাঁর ফার্ম হাউসের নিরাপত্তাও।
উত্তরপ্রদেশের আমরোহা জেলার সাহসপুরে জন্ম মহম্মদ শামির। সেখানেই বেড়ে ওঠা এক মধ্যবিত্ত পরিবারে। এরপর বাংলায় এসে বাংলার প্রতিনিধিত্ব করা মহম্মদ শামির সেখান থেকেই শুরু তারকা হয়ে ওঠার পথ চলা। তারকা শামি ওডিআই বিশ্বকাপে তাঁর অনবদ্য পারফরম্যান্স করে হয়ে উঠেছেন মহাতারকা। আর মহাতারকাকে একঝলক দেখতেই তাঁর ফার্মহাউসের বাইরে জনতার ঢল নেমেছে। তারকাকে এক ঝলক দেখা থেকে তাঁর সঙ্গে সেল্ফি তুলতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করছেন ভক্তরা। সেই ছবি মহম্মদ শামি নিজের সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করেছেন। একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেছেন তিনি। যেখানে দেখা যাচ্ছে শয়ে শয়ে মানুষ জমায়েত হয়েছেন তাঁর ফার্মহাউসের বাইরে। উদ্দেশ্য অবশ্যই প্রিয় তারকার সঙ্গে একটি হলেও সেল্ফি তোলা।
প্রসঙ্গত মহম্মদ শামির যখন ১৪-১৫ বছর বয়স তখন তিনি উত্তরপ্রদেশ থেকে বাংলায় চলে আসেন। তাঁর কোচের পরামর্শেই তিনি বাংলাতে চলে আসেন। ময়দানে পরে থেকে রোদে পুড়ে, জলে ভিজে শুরু হয় তাঁর তারকা হয়ে ওঠার লড়াই। এরপর অরুণ লাল অ্যাকাডেমিতে যান তিনি। সেখানকার পিচ ছিল সিমেন্টের পিচ। যা দেখে যে মহম্মদ শামি নিজেও অবাক হয়েছিলেন তা জানিয়েছেন তিনি। যেখানে শামিকে দুপুরে কোন ভাত বা রুটি খেতে দেওয়া হত না। যাতে তাঁর ওজন বেড়ে না যায়। চিকেন স্টু থেকে স্যুপ অর্থাৎ তেল ছাড়া সেদ্ধ খাবার দেওয়া হত তাঁকে। এভাবেই দিনের পর দিন কসরত করেছেন ভারতীয় দলে তাঁর খেলার স্বপ্ন পূরণ করতে। সেই স্বপ্ন তো পূরণ হয়েছে। এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে তিনি বিশ্ব ক্রিকেটের অন্যতম সেরা পেসারও হয়ে উঠেছেন।ফলে তাঁকে নিয়ে এই আলাদা উন্মাদনা থাকাটাই স্বাভাবিক বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।