দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের রুদ্ধশ্বাস জয়ের পিছনে রোহিত শর্মার অবদানের কথা এই মুহূর্তে ভারতীয় ক্রিকেটের অন্যতম চর্চার বিষয়। রোহিত মুম্বইয়ের হয়ে ওপেন করতে নেমে ২টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ১২ বলে ১৮ রান করে সাজঘরে ফেরেন। মুম্বই তাঁর বদলে ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসেব মাঠে নামায় স্পিনার করণ শর্মাকে। সুতরাং, ব্যাট হাতে ম্যাচে রোহিতের অবদান বিশেষ ছিল না। আসলে হিটম্যান এক্ষেত্রে কৌশলগত যে ইনপুট দেন, তার জন্যই মুম্বই শেষমেশ ম্যাচ জিততে সক্ষম হন বলে দাবি করছেন বিশেষজ্ঞরা।
আসলে ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংসে ডাগ-আউট বসে থাকলেও বিশ্রামের মুডে ছিলেন না রোহিত। বরং নিজের মগজাস্ত্র কাজে লাগান তিনি। ম্যাচের মাঝে ক্যাপ্টেন হার্দিককে ইশারায় গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ দেন হিটম্যান। জাতীয় দলের ক্যাপ্টেনের নির্দেশ এক্ষেত্রে উড়িয়ে দেননি পান্ডিয়া। রোহিতের নির্দেশ মতো কাজ করতেই মেলে সাফল্য।
অথচ কোচ জয়াবর্ধনে রোহিতের সিদ্ধান্তের সঙ্গে একমত ছিলেন না। তিনি মানতে চাননি হিটম্যানের পরামর্শ। তবে যদি জয়াবর্ধনের পরিকল্পনা অনুযায়ী ম্যাচ এগিয়ে যেত, তাহলে ফের মুম্বইকে হারের মুখ দেখতে হতো বলে মত প্রকাশ করেন হরভজন সিং। ভাজ্জির দাবি, কখনও কখনও দলের হিতের জন্য কোচেদের নিজেদের ইগোকে দূরে সরিয়ে রাখতে হয়।
ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংসে ১৩ ওভারের শেষে রোহিত ডাগ-আউট থেকে হার্দিকের দিকে বল বদলের ইশারা করেন এবং তার পরে স্পিনার করণ শর্মাকে বল করতে পাঠাতে বলেন। হার্দিক রোহিতের পরামর্শ মতো আম্পায়ারদের কাছ থেকে বল বদলে নেন এবং রোহিতের পরামর্শ মতোই করণকে ফের আক্রমণে ফেরান পান্ডিয়া। তাতেই আসে সাফল্য। করণ কৃপণ বোলিংয়ের পাশাপাশি পরপর উইকেট তুলে মুম্বইকে ম্যাচে ফেরান এবং মুম্বই শেষমেশ ১২ রানে ম্যাচ জিতে মাঠ ছাড়ে।
উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, কোচ জয়াবর্ধনে রোহিতের বল বদল ও ইনিংসের শেষের দিকে স্পিনারদের দিয়ে বল করানোর সিদ্ধান্তের সঙ্গে একমত ছিলেন না। এই প্রসঙ্গে হরভজন তাঁর ইউটিউব চ্যানেলে বলেন, ‘রোহিত শর্মা মাস্টারস্ট্রোক খেলে। ও হেড কোচ মাহেলা জয়াবর্ধনকে স্পিনারদের ব্যবহার করার এবং করণ শর্মাকে আক্রমণে আনার জন্য বলেছিল। আমার মনে হয় মাহেলা জয়াবর্ধনে একমত ছিলেন না। যদি ওরা জয়াবর্ধনের কথা মেনে চলত, তাহলে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সও এই ম্যাচও হারত। রোহিত শর্মা ওখানে ছিল এবং সেরা চালটা চালে ও। রোহিত একজন ক্যাপ্টেন। ও সবসময় একজন ক্যাপ্টেনের মতোই চিন্তা-ভাবনা করে। একজন অধিনায়ক সবসময় অধিনায়কই থাকে। ওর কৌশলগত দক্ষতাই মুম্বইকে এই ম্যাচ জিততে সাহায্য করেছে।’