
Betvisa
6.88% Weekly Cashback on 2025 IPL Sports
পাল্লেকেলেতে এশিয়া কাপ ২০২৩-এর দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে সম্মুখসমরে নামে টুর্নামেন্টের যুগ্ম আয়োজক দেশ শ্রীলঙ্কা। বি-গ্রুপের প্রথম ম্যাচে টসভাগ্য সঙ্গ দেয় বাংলাদেশ দলনায়ক শাকিব আল হাসানের। টস জিতে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ শুরু থেকে নিয়মিত অন্তরে উইকেট খোয়াতে থাকে। একপ্রান্ত আঁকড়ে একা লড়াই চালান নাজমুল হোসেন শান্ত। তবে বাকিরা আউট হওয়ার মিছিলে নাম লেখান। মাথিসা পথিরানার আগুনে বোলিংয়ের সামনে মাথা নত করে বাংলাদেশ কোনও রমকে ১৬০ রানের গণ্ডি টপকে অল-আউট হয়ে যায়। ছোটখাটো লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে নেমে শ্রীলঙ্কা শুরুতেই পরপর উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায়। তবে সাদির সমরাবিক্রমে ও চরিথ আসালঙ্কার জোড়া অর্ধশতরানে ভর করে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নদের জয় তুলে নিতে বিশেষ অসুবিধা হয়নি।
এশিয়া কাপ ২০২৩-এর গুরুত্বপূর্ণ গ্রুপ ম্যাচে শ্রীলঙ্কা কার্যত একতরফাভাবে হারিয়ে দেয় বাংলাদেশকে। এই জয়ের সুবাদে শ্রীলঙ্কা সুুপার ফোরের টিকিট কার্যত নিশ্চিত করে ফেলে। প্রবল চাপে পড়ে যায় বাংলাদেশ। শাকিবদের বিরুদ্ধে শ্রীলঙ্কার জয়ের বিস্তারিত বিবরণে চোখ রাখতে দেখে নিন সম্পূর্ণ এই ব্লগ। লাইভ ব্লগটি এখানেই শেষ করা হল।
আগামী ৩ সেপ্টেম্বর (রবিবার) লাহোরে গ্রুপে নিজেদের শেষ ম্যাচে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। সুপার ফোরে জায়গা করে নিতে হলে সেই ম্যাচ জিততেই হবে শাকিবদের। হারলে এবারের মতো বিদায় নিতে হবে এশিয়া কাপ থেকে।
৭.৪ ওভারে ৩২ রানের বিনিময়ে ৪টি উইকেট নিয়ে ম্যাচের সেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার জেতেন শ্রীলঙ্কার তরুণ পেসার মাথিসা পথিরানা। উল্লেখ্য, পথিরানার ওয়ান ডে তথা আন্তর্জাতিক কেরিয়ারের এটাই সেরা বোলিং পারফর্ম্যান্স। এমনকি ঘরোয়া ক্রিকেটেও এত কম রানের বিনিময়ে আগে কখনও ৪ উইকেট নেননি মাথিসা। অর্থাৎ, সব ফর্ম্যাটে ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক মিলিয়ে সিনিয়র ক্রিকেট কেরিয়ারে এটি পথিরানার সেরা বোলিং পারফর্ম্যান্স।
এই প্রথমবার টানা ১১টি ওয়ান ডে ম্যাচে জয় তুলে নেয় শ্রীলঙ্কা। এর আগে ২০০৪ সালে এবং ২০১৩ থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে মোট ২ বার টানা ১০টি করে ওয়ান ডে জেতে শ্রীলঙ্কা। এবার নিজেদের পুরনো রেকর্ড ভেঙে দেয় দ্বীপরাষ্ট্র।
বাংলাদেশের ১৬৪ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে শ্রীলঙ্কা ৩৯ ওভারে ৫ উইকেটের বিনিময়ে ১৬৫ রান তুলে ম্যাচ জিতে যায়। ৬৬ বল বাকি থাকতে ৫ উইকেটের জয়ে এশিয়া কাপ ২০২৩ অভিযান শুরু করে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা। ৫টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ৯২ বলে ৬২ রান করে অপরাজিত থাকেন চরিথ আসালঙ্কা। ১টি বাউন্ডারির সাহায্যে ২১ বলে ১৪ রান করে নট-আউট থাকেন দাসুন শানাকা। শাকিব আল হাসান ১০ ওভারে ২টি মেডেন-সহ ২৯ রান খরচ করে ২টি উইকেট তুলে নেন। ১টি করে উইকেট নেন তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম ও মেহেদি হাসান। উইকেট পাননি মেহেদি হাসান মিরাজ ও মুস্তাফিজুর রহমান।
৩৮তম ওভারে মেহেদি হাসানকে ১টি ছক্কা মারেন চরিথ আসালঙ্কা। ম্যাচের প্রথম ছক্কা এটি। ৩৮ ওভার শেষে শ্রীলঙ্কার স্কোর ৫ উইকেটে ১৫৮ রান। জয়ের জন্য ১২ ওভারে ৭ রান দরকার শানাকাদের। শানাকা ১২ ও আসালঙ্কা ৫৭ রানে ব্যাট করছেন।
৪টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৮৫ বলে ব্যক্তিগত অর্ধশতরান পূর্ণ করেন চরিথ আসালঙ্কা। ৩৭ ওভার শেষে শ্রীলঙ্কার স্কোর ৫ উইকেটে ১৫০ রান। জয়ের জন্য শেষ ১৩ ওভারে ১৫ রান দরকার দ্বীপরাষ্ট্রের। আসালঙ্কা ৫০ ও শানাকা ১১ রানে ব্যাট করছেন।
৩৫ ওভার শেষে শ্রীলঙ্কার স্কোর ৫ উইকেটে ১৪৩ রান। সুতরাং, জয়ের জন্য শেষ ১৫ ওভারে মাত্র ২২ রান দরকার তাদের। ৭৮ বলে ৪৮ রান করেছেন চরিথ আসালঙ্কা। মেরেছেন ৪টি চার। ১১ বলে ৬ রান করেছেন দাসুন শানাকা।
৩০.৬ ওভারে শাকিব আল হাসানের বলে বোল্ড হয়ে মাঠ ছাড়েন ধনঞ্জয়া ডি'সিলভা। ৭ বলে ২ রান করে মাঠ ছাড়েন তিনি। শ্রীলঙ্কা ১২৮ রানে ৫ উইকেট হারায়। ব্যাট করতে নামেন দাসুন শানাকা।
২৯.১ ওভারে মেহেদি হাসানের বলে সাদিরা সমরাবিক্রমেকে স্টাম্প-আউট করেন মুশফিকুর রহিম। ৬টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৭৭ বলে ৫৪ রান করে মাঠ ছাড়েন সাদিরা। শ্রীলঙ্কা দলগত ১২১ রানের মাথায় ৪ উইকেট হারায়। ব্যাট করতে নামেন ধনঞ্জয়া ডি'সিলভা।
৬টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৫৯ বলে ব্যক্তিগত হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন সাদিরা সমরাবিক্রমে। ২৪ ওভার শেষে শ্রীলঙ্কার স্কোর ৩ উইকেটে ১১৪ রান। সাদিরা ৫০ ও আসালঙ্কা ৩১ রানে ব্যাট করছেন।
২২তম ওভারে দলগত ১০০ রানের গণ্ডি ছুঁয়ে ফেলে শ্রীলঙ্কা। ২২ ওভার শেষে দ্বীপরাষ্ট্রের স্কোর ৩ উইকেটে ১০০ রান। সমরাবিক্রমে ৪৩ ও আসালঙ্কা ২৬ রানে ব্যাট করছেন।
২০ ওভার শেষে শ্রীলঙ্কার স্কোর ৩ উইকেটে ৯০ রান। ৪৫ বলে ৩৯ রান করেছেন সাদিরা সমরাবিক্রমে। তিনি ৫টি চার মেরেছেন। ৩৮ বলে ২০ রান করেছেন চরিথ আসালঙ্কা। তিনি ১টি চার মেরেছেন।
১৪.৫ ওভারে শাকিবের বলে আসালঙ্কার বিরুদ্ধে ব্যাট-প্যাড ক্যাচের আবেদন জানায় বাংলাদেশ। আম্পায়ার আউট দেননি। তড়িঘড়ি রিভিউ নেন শাকিব। তবে আল্ট্রা এজে দেখা যায় বল ব্যাটের কানা ছোঁয়নি। ফলে রিভিউ খোয়ায় বাংলাদেশ। ১৫ ওভার শেষে শ্রীলঙ্কার স্কোর ৩ উইকেটে ৬১ রান। সমরাবিক্রমে ২৬ ও আসালঙ্কা ১০ রানে ব্যাট করছেন।
৯.২ ওভারে শাকিব আল হাসানের বলে বোল্ড হয়ে মাঠ ছাড়েন কুশল মেন্ডিস। শাকিবের ওয়ান ডে কেরিয়ারের এটি ৩০৬ নম্বর উইকেট। ১টি বাউন্ডারির সাহায্যে ২১ বলে ৫ রান করে মাঠ ছাড়েম মেন্ডিস। শ্রীলঙ্কা ৪৩ রানে ৩ উইকেট হারায়। ব্যাট করতে নামেন চরিথ আসালঙ্কা। প্রথম পাওয়ার প্লে-র ১০ ওভার শেষে শ্রীলঙ্কার স্কোর ৩ উইকেটে ৪৪ রান। ১৯ রানে ব্যাট করছেন সমরাবিক্রমে।
ইনিংসের অষ্টম ওভারে প্রথমবার বল হাতে নেন শাকিব আল হাসান। নিজের প্রথম ওভারে মাত্র ৩ রান খরচ করেন বাংলাদেশ দলনায়ক। ৮ ওভার শেষে শ্রীলঙ্কার স্কোর ২ উইকেটে ৩৬ রান। ১৪ বলে ১৭ রান করেছেন সমরাবিক্রমে। মেরেছেন ৩টি চার। ১৮ বলে ১ রান করেছেন কুশল মেন্ডিস।
৩.৩ ওভারে শরিফুল ইসলামের বলে মুশফিকুর রহিমের দস্তানায় ধরা দিয়ে সাজঘরে ফেরেন পাথুম নিশঙ্কা। ১টি বাউন্ডারির সাহায্যে ১৩ বলে ১৪ রান করে মাঠ ছাড়েন তিনি। শ্রীলঙ্কা ১৫ রানে ২ উইকেট হারায়। ব্যাট করতে নামেন সাদিরা সমরাবিক্রমে।
শুরুতেই বাংলাদেশকে সাফল্য এনে দিলেন তাসকিন আহমেদ। ২.১ ওভারে তাসকিনের বলে বোল্ড হয়ে মাঠ ছাড়েন দিমুথ করুণারত্নে। ৩ বলে ১ রান করে মাঠ ছাড়েন তিনি। শ্রীলঙ্কা ১৩ রানে ১ উইকেট হারায়। ব্যাট করতে নামেন কুশল মেন্ডিস।
শ্রীলঙ্কার হয়ে ওপেন করতে নামেন পাথুম নিশঙ্কা ও দিমুথ করুণারত্নে। বাংলাদেশের হয়ে বোলিং শুরু করেন তাসকিন আহমেদ। তৃতীয় বল ২ রান নিয়ে খাতা খোলেন নিশঙ্কা। প্রথম ওভারে কোনও উইকেট না হারিয়ে ৪ রান সংগ্রহ করে শ্রীলঙ্কা।
৪২.৪ ওভারে মাথিসা পথিরানার বলে এলবিডব্লিউ হয়ে মাঠ ছাড়েন মুস্তাফিজুর রহমান। ২ বল খেলে খাতা খুলতে পারেননি তিনি। বাংলাদেশ মাত্র ১৬৪ রানে অল-আউট হয়ে যায়। ৫ বলে ২ রান করে নট-আউট থাকেন শরিফুল। পথিরানা ৩২ রানে ৪টি উইকেট নেন। থিকসানা ১৯ রানে ২টি উইকেট দখল করেন। এছাড়া ১টি করে উইকেট নেন ধনঞ্জয়া ডি'সিলভা, দাসুন শানাকা ও দুনিথ ওয়েলালাগে। জয়ের জন্য শ্রীলঙ্কার দরকার ১৬৫ রান।
৪২.২ ওভারে মাথিসা পথিরানার বলে থিকশানার হাতে ধরা পড়েন তাসকিন আহমেদ। ২ বল খেলেও খাতা খুলতে পারেননি তিনি। বাংলাদেশ ১৬৪ রানে ৯ উইকেট হারায়। ব্যাট করতে নামেন মুস্তাফিজুর রহমান।
৪১.২ ওভারে মাহিশ থিকশানার বলে বোল্ড হয়ে মাঠ ছাড়েন নাজমুল হোসেন শান্ত। নিশ্চিত শতরান মাঠে ফেলে আসেন তিনি। ৭টি বাউন্ডারির সাহায্যে ১২২ বলে ৮৯ রান করে সাজঘরে ফেরেন নাজমুল। বাংলাদেশ ১৬২ রানে ৮ উইকেট হারায়। ব্যাট করতে নামেন শরিফুল ইসলাম।
৪০.৫ ওভারে দুনিথ ওয়েলালাগের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে মাঠ ছাড়েন মেহেদি হাসান। রিভিউ নিয়েও বাঁচেননি তিনি। ১৬ বলে ৬ রান করেন মেহেদি। বাংলাদেশ ১৬২ রানে ৭ উইকেট হারায়। ব্যাট করতে নামেন তাসকিন।
৩৯.১ ওভারে থিকশানার বলে মেহেদি হাসানকে স্টাম্প-আউট করার সুযোগ হাতছাড়া করেন কুশল মেন্ডিস। ব্যক্তিগত ৩ রানে জীবনদান পান মেহেদি। ৪০ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ৬ উইকেটে ১৬০ রান। ৮৮ রানে ব্যাট করছেন নাজমুল হোসেন শান্ত।
৩৬.৩ ওভারে রান-আউট হয়ে মাঠ ছাড়েন মেহেদি হাসান মিরাজ। দুই ব্যাটসম্যান ক্রিজের একই প্রান্তে দাঁড়িয়ে ছিলেন। ডি'সিলভার ছোঁড়া বল ধরে ধীরে সুস্থে স্টাম্প ভেঙে দেন বোলার রজিথা। ১১ বলে ৫ রান করে সাজঘরে ফেরেন মেহেদি। বাংলাদেশ ১৪১ রানে ৬ উইকেট হারায়। ব্যাট করতে নামেন আরও এক মেহেদি হাসান। ৩৭ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ৬ উইকেটে ১৪৫ রান। ৮০ রানে ব্যাট করছেন নাজমুল হোসেন শান্ত।
৩২.৪ ওভারে মাথিসা পথিরানার বলে করুণারত্নের হাতে ধরা পড়েন মুশফিকুর রহিম। ১টি বাউন্ডারির সাহায্যে ২২ বলে ১৩ রান করে মাঠ ছাড়েন তিনি। বাংলাদেশ ১২৭ রানে ৫ উইকেট হারায়। ব্যাট করতে নামেন মেহেদি হাসান মিরাজ।
৩০.২ ওভারে মাথিসা পথিরানার বলে উইকেটকিপার মেন্ডিসের দস্তানায় ধরা পড়েন মুশফিকুর রহিম। তবে আম্পায়ার আউট দেননি। বোলার আবেদন করলেও আবেদন করেননি কিপার। শ্রীলঙ্কার কাছে রিভিভ বেঁচে নেই। তাই তারা ডিআরএসের আবেদন জানাতে পারেনি। তবে আল্ট্রা এজে দেখা যায় যে, বল মুশফিকুরের ব্যাটের কানায় লেগেছিল। ব্যক্তিগত ১২ রানের মাথায় জীবনদান পান মুশফিক।
৩০ ওভারের খেলা শেষ। বাংলাদেশের স্কোর ৪ উইকেটে ১২১ রান। ৮৮ বলে ৬৪ রান করেছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। মেরেছেন ৫টি চার। ১৬ বলে ১২ রান করেছেন মুশফিকুর। মেরেছেন ১টি চার।
২৬তম ওভারে দলগত ১০০ রানের গণ্ডি টপকে যায় বাংলাদেশ। ২৬ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ৪ উইকেটে ১০২ রান। নাজমুল হোসেন শান্ত ৫৫ ও মুশফিকুর রহিম ৪ রানে ব্যাট করছেন।
২৩.৬ ওভারে দাসুন শানাকার বলে এলবিডব্লিউ হয়ে মাঠ ছাড়েন তৌহিদ হৃদয়। আম্পায়ার প্রাথমিকভাবে আউট দেননি। তবে রিভিউ নিয়ে সাফল্য পায় শ্রীলঙ্কা। ৪১ বলে ২০ রান করে আউট হন তৌহিদ। তিনি কোনও বাউন্ডারি মারতে পারেননি। বাংলাদেশ ৯৫ রানে ৪ উইকেট হারায়। ব্যাট করতে নামেন মুশফিকুর রহিম।
৪টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৬৬ বলে ব্যক্তিগত হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন নাজমুল হোসেন শান্ত। ২৩.৪ ওভারে শানাকার বলে চার মেরে ৫০ রানের গণ্ডি টপকে যান নাজমুল। ওয়ান ডে ক্রিকেটে এটি তাঁর চতুর্থ অর্ধশতরান।
চতুর্থ উইকেটের জুটিতে ৫০ রান যোগ করেন নাজমুল হোসেন শান্ত ও তৌহিদ হৃদয়। ২৩ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ৩ উইকেটে ৮৮ রান। শান্ত ৪৫ রানে ব্যাট করছেন। ২০ রান করেছেন তৌহিদ।
২০ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ৩ উইকেটে ৭৫ রান। সুতরাং ওভার প্রতি ৩.৭৫ রান সংগ্রহ করেছে তারা। নাজমুল হোসেন শান্ত ৫৭ বলে ৪০ রান করে অপরাজিত রয়েছেন। ২৭ বলে ১২ রান করেছেন তৌহিদ হৃদয়। নাজমুল ৩টি চার মেরেছেন।
১৬.১ ওভারের পরে বৃষ্টির জন্য মাঠ ঢাকার তোড়জোড় করছিলেন মাঠকর্মীরা। ক্রিকেটাররা মাঠ ছাড়ছিলেন। তবে বৃষ্টি থেমে যাওয়ায় ফের মাঠে নামেন ক্রিকেটাররা। ১৮ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ৩ উইকেটে ৬৯ রান। ৩৬ রানে ব্যাট করছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। ১০ রান করেছেন তৌহিদ হৃদয়।
১৫ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ৩ উইকেটে ৬২ রান। তারা ১৩তম ওভারে দলগত ৫০ রানের গণ্ডি টপকায়। আপাতত নাজমুল হোসেন শান্ত ব্যক্তিগত ৩১ রানে ব্যাট করছেন। ৪৪ বলের ইনিংসে তিনি ৩টি চার মেরেছেন। ১০ বলে ৮ রান করেছেন তৌহিদ হৃদয়।
বল হাতে নিয়েই বড় সাফল্য পেলেন মাথিসা পথিরানা। ১০.৪ ওভারে পথিরানার অফ-স্টাম্পের বাইরের বলে ব্যাট চালিয়ে উইকেটকিপার কুশল মেন্ডিসের দস্তানায় ধরা দেন বাংলাদেশ দলনায়ক। নিজের বাঁ-দিকে ঝাঁপিয়ে দুর্দান্ত ক্যাচ ধরেন মেন্ডিস। ১টি বাউন্ডারির সাহায্যে ১১ বলে ৫ রান করেন শাকিব। বাংলাদেশ দলগত ৩৬ রানে ৩ উইকেট হারায়। ব্যাট করতে নামেন তৌহিদ হৃদয়। ১১ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ৩ উইকেটে ৩৭ রান। ১৩ রানে ব্যাট করছেন নাজমুল। পথিরানা নিজের প্রথম ওভারে ৩ রান খরচ করে ১টি উইকেট তুলে নেন।
১. দশ ওভারের প্রথম পাওয়ার প্লে-তে বাংলাদেশ ২ উইকেটের বিনিময়ে ৩৪ রান সংগ্রহ করে। ২. টস জিতে শুরুতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ দলনায়ক শাকিব আল হাসান। ৩. ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে বল করতে এসে অভিষেককারী ওপেনার তানজিদ হাসান তামিমকে আউট করেন মাহিশ থিকশানা। ৪. অষ্টম ওভারে প্রথমবার বল হাতে নিয়ে অপর ওপেনার মহম্মদ নইমের উইকেট তুলে নেন ধনঞ্জয়া ডি'সিলভা।
অষ্টম ওভারে প্রথমবার বোলিং পরিবর্তন করে বাংলাদেশ। থিকশানার বদলে আক্রমণে আসেন আরও এক স্পিনার ধনঞ্জয়া ডি'সিলভা। থিকশানা নিজের প্রথম ওভারে উইকেট তোলেন। ধনঞ্জয়াও তাঁর প্রথম ওভারে উইকেট সংগ্রহ করেন। ৭.৪ ওভারে ডি'সিলভার বলে নিশঙ্কার হাতে ধরা দিয়ে মাঠ ছাড়েন মহম্মদ নইম। ৩টি বাউন্ডারির সাহায্যে ২৩ বলে ১৬ রান করে মাঠ ছাড়েন নইম। বাংলাদেশ দলগত ২৫ রানে ২ উইকেট হারায়। ব্যাট করতে নামেন শাকিব আল হাসান। ৯ রানে ব্যাট করছেন শান্ত।
৪.১ ওভারে কাসুন রজিথার বলে নাজমুল হোসেন শান্তর ক্যাচ ছাড়েন শ্রীলঙ্কা দলনায়ক দাসুন শানাকা। ক্যাচ ধরতে পারলে শান্ত ১০ বলে ২ রান করে সাজঘরে ফিরতেন। এখন দেখার যে জীবনদান পেয়ে নিজের ইনিংসকে কতদূর টেনে নিয়ে যেতে পারেন নাজমুল। ৫ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ১ উইকেটে ১২ রান। ১৩ বলে ৯ রান করেছেন নইম। ১৫ বলে ৩ রান করেছেন নাজমুল।
শ্রীলঙ্কা ম্যাচের দ্বিতীয় ওভারেই স্পিন আক্রমণ শানায়। নিজের প্রথম ওভারেই দলকে সাফল্য এনে দেন মাহিশ থিকশানা। ১.২ ওভারে থিকশানার বলে এলবিডব্লিউ হয়ে মাঠ ছাড়েন অভিষেককারী তানজিদ হাসান তামিম। ২ বল খেলে খাতা খুলতে পারেননি তিনি। বাংলাদেশ দলগত ৪ রানে ১ উইকেট হারায়। ব্যাট করতে নামেন নাজমুল হোসেন শান্ত। ওভারের শেষ বলে নাজমুলের বিরুদ্ধে এলবিডব্লিউর আবেদন জানায় শ্রীলঙ্কা। আম্পায়ার আউট দেননি। রিভিউ নিয়েও সাফল্য পায়নি শ্রীলঙ্কা। তারা শুরুতেই একটি রিভিউ খুইয়ে বসে। ২ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ১ উইকেটে ৪ রান। নিজের প্রথম ওভারে কোনও রান খরচ না করেই ১টি উইকেট নেন থিকশানা।
তানজিদ হাসান তামিমকে সঙ্গে নিয়ে ওপেন করতে নামেন মহম্মদ নইম। শ্রীলঙ্কার হয়ে নতুন বলে দৌড় শুরু করেন কাসুন রজিথা। চতুর্থ বলে চার মেরে খাতা খোলেন নইম। প্রথম ওভারে কোনও উইকেট না হারিয়ে ৪ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের সামনে সুযোগ ছিল ওপেনার হিসেবে এনামুলকে মাঠে নামানোর। তবে তারা তানজিদের উপরে বাজি ধরে প্রথম ম্যাচে। এনামুল চোট পেয়ে ছিটকে যাওয়া লিটনের বদলে স্কোয়াডে ঢোকেন। পাল্লেকেলেতে বাংলাদেশের সিনিয়র দলের হয়ে ওয়ান ডে অভিষেক হয় তানজিদের।
মহম্মদ নইম, তানজিদ হাসান তামিম, নাজমুল হোসেন শান্ত, তৌহিদ হৃদয়, শাকিব আল হাসান (ক্যাপ্টেন), মুশফিকুর রহিম (উইকেটকিপার), মেহেদি হাসান মিরাজ, তাসকিন আহমেদ, মেহেদি হাসান, শরিফুল ইসলাম ও মুস্তাফিজুর রহমান।
পাথুম নিশঙ্কা, দিমুথ করুণারত্নে, কুশল মেন্ডিস (উইকেটকিপার), সাদিরা সমরাবিক্রমে, চরিথ আসালঙ্কা, ধনঞ্জয়া ডি'সিলভা, দাসুন শানাকা (ক্যাপ্টেন), দুনিথ ওয়েলালাগে, মাহিশ থিকশানা, কাসুন রজিথা ও মাথিসা পথিরানা।
শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে এশিয়া কাপ ২০২৩-এর বি-গ্রুপের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে টস জিতল বাংলাদেশ। টস জিতে বাংলাদেশ দলনায়ক শাকিব আল হাসান শুরুতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন। সুতরাং, পাল্লেকেলেতে রান তাড়া করবে হোম টিম শ্রীলঙ্কা। শ্রীলঙ্কা দলনায়ক দাসুন শানাকা স্পষ্ট জানান যে, টস হেরে ভালোই হয়েছে।
এর আগে শ্রীলঙ্কায় আরও চারবার (১৯৮৬, ১৯৯৭, ২০০৪ ও ২০১০) এশিয়া কাপের আসর বসেছে। অর্থাৎ, শ্রীলঙ্কার মাটিতে অনুষ্ঠিত এটি (২০২৩) পঞ্চম এশিয়া কাপের আসর। ঘরের মাঠে এশিয়া কাপ আয়োজিত হলে শ্রীলঙ্কাকে অপ্রতিরোধ্য দেখায়। আগের চারবারই তারা নিজেদের দেশে আয়োজিত এশিয়া কাপের ফাইনালে ওঠে এবং তিনবার (১৯৮৬, ১৯৯৭ ও ২০০৪) চ্যাম্পিয়ন হয়। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, ২০১০ সালে যেবার শ্রীলঙ্কা ঘরের মাঠে এশিয়া কাপের ফাইনালে হারে, সেই একবার মাত্র টুর্নামেন্টের খেতাবি লড়াই কলম্বোয় অনুষ্ঠিত হয়নি। সেবার ফাইনাল আয়োজনের দায়িত্ব পায় ডাম্বুলা। এবার কিন্তু কলম্বোর প্রেমদাসা স্টেডিয়াম ফাইনাল আয়োজনের দায়িত্ব পেয়েছে। সুতরাং, ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি ঘটানোর হাতছানি শ্রীলঙ্কার সামনে।
এশিয়া কাপে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পারফর্ম্যান্স মন্দ নয়। তারা শেষ ৫টি এশিয়া কাপের মধ্যে ফাইনালে উঠে ৩ বার। যদিও তিনবারই তাদের রানার্স হয়ে মাঠ ছাড়তে হয়। বাংলাদেশ এশিয়া কাপের ফাইনালে ওঠে ২০১২, ২০১৬ ও ২০১৮ সালে। যদিও এখনও পর্যন্ত একবারও এশিয়া চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি তারা।
এখনও পর্যন্ত সব থেকে বেশিবার এশিয়া কাপের ফাইনালে উঠেছে শ্রীলঙ্কা। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার নিরিখে ভারতের থেকে খুব বেশি পিছিয়ে নেই দ্বীপরাষ্ট্র। তারা মোট ৬ বার এই আন্তঃমহাদেশীয় টুর্নামেন্টের খেতাব জেতে। শ্রীলঙ্কা এশিয়া চ্যাম্পিয়ন হয় ১৯৮৬, ১৯৯৭, ২০০৪, ২০০৮, ২০১৪ ও ২০২২ সালে। এছাড়া আরও ৬ বার এশিয়া কাপের ফাইনালে উঠে হেরে যায় শ্রীলঙ্কা। তারা রানার্স হয়ে সন্তুষ্ট থাকে ১৯৮৪, ১৯৮৮, ১৯৯০-৯১, ১৯৯৫, ২০০০ ও ২০১০ সালে। সুতরাং, মোট ১২ বার এশিয়া কাপের ফাইনালে ওঠে শ্রীলঙ্কা। ভারত সব মিলিয়ে ১০ বার এশিয়া কাপের ফাইনালে উঠে ৭ বার চ্যাম্পিয়ন হয়।
গতবার দুবাইয়ে এশিয়া কাপের ফাইনালে পাকিস্তানকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় শ্রীলঙ্কা। যদিও গতবার এশিয়া কাপ অনুষ্ঠিত হয় টি-২০ ফর্ম্যাটে। সেই নিরিখে এবার ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন হিসেবে লড়াই শুরু করছে শ্রীলঙ্কা। ওয়ান ডে ও টি-২০ ফর্ম্যাট মিলিয়ে শ্রীলঙ্কা এখনও পর্যন্ত মোট ৬ বার এশিয়া কাপের ট্রফি ঘরে তুলেছে। এবার সপ্তম খেতাব জয়ে চোখ রয়েছে সিংহলিদের। এখনও পর্যন্ত সব থেকে বেশি ৭ বার এশিয়া কাপ জিতেছে ভারত। সুতরাং, এবার ট্রফি জিতলে ভারতের রেকর্ডে ভাগ বসাবে দ্বীপরাষ্ট্র।
বৃহস্পতিবার এশিয়া কাপ ২০২৩-এর দ্বিতীয় লিগ ম্যাচে সম্মুখসমরে শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশ। ক্যান্ডির পাল্লেকেলে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হচ্ছে বি-গ্রুপের ম্যাচটি। গুরুত্বপূর্ণ এই লড়াইয়ের স্কোর-সহ যাবতীয় আপডেট পাবেন এই লাইভ ব্লগে। হিন্দুস্তান টাইমস বাংলার এই লাইভ ব্লগে আপনাদের স্বাগত। এশিয়া কাপ সংক্রান্ত যাবতীয় খবর ও তথ্য-পরিসংখ্যানে চোখ রাখতে ক্লিক করুন এখানে।
6.88% Weekly Cashback on 2025 IPL Sports