শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এশিয়া কাপের ফাইনালের আগে টিম ইন্ডিয়াকে সতর্ক করেছেন পাকিস্তানের প্রাক্তন পেসার শোয়েব আখতার। শুক্রবার সুপার ফোরের ম্যাচে বাংলাদেশের কাছে হারটা ভারতের কাছে বড় ধাক্কা ছিল। শোয়েবের মতে, টিম ইন্ডিয়ার জন্য জেগে ওঠার বার্তা ছিল।
ভারত কি পারবে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন হতে?
পাকিস্তানের প্রাক্তন পেসার শোয়েব আখতার বলেছেন যে, রবিবার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২০২৩ এশিয়া কাপের ফাইনালের আগে ভারতকে কিন্তু নাড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ। ভারতকে এখান থেকে ঘুরে দাঁড়াতে হবে। এটা টিম ইন্ডিয়ার জন্য জেগে ওঠার বার্তা ছিল।
এশিয়া কাপের সুপার ফোরে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ম্যাচের আগেই ভারত ফাইনালে তাদের জায়গা নিশ্চিত করে ফেলেছিল। যে কারণে শুক্রবার কলম্বোতে টুর্নামেন্টের শেষ সুপার ফোরের ম্যাচে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে একাদশের পাঁচ ফুটবলারকে বিশ্রাম দিয়েছিল টিম ইন্ডিয়া। যাইহোক সেই ম্যাচে ভারতের হেরে যাওয়াটা নিঃসন্দেহে বড় ধাক্কা ছিল।
বিশ্বকাপের আগে সূর্যকুমার যাদব, তিলক বর্মা এবং প্রসিধ কৃষ্ণের মতো খেলোয়াড়দের ম্যাচ টাইম দিতেই বিরাট কোহলি, জাসপ্রীত বুমরাহ, হার্দিক পান্ডিয়া, কুলদীপ যাদব এবং মহম্মদ সিরাজকে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছিল। তবে সেই ভাবে কেউই সুযোগ কাজে নাগাতে পারেননি। একটা পর্যায়ে বাংলাদেশের ৫৯ রানে ৪ উইকেট ছিল, তখন দেখে মনে হচ্ছিল, ভারত ফের সহজ জয় ছিনিয়ে নেবে। কিন্তু বাংলাদেশ অধিনায়ক শাকিব আল হাসান (৮০) এবং তৌহিদ হৃদয় (৫৪) দলের হাল ধরেন। পঞ্চম উইকেটে শাকিব-তৌহিদ ১১১ রান যোগ করেছিল।
এছাড়া নাসুম আহমেদ (৪৪ বলে ৪৫), মেহেদি হাসান (২৩ বলে ২৯) এবং অভিষেক হওয়া তানজিম শাকিব (৮ বলে ১৪) গুরুত্বপূর্ণ রান যোগ করেছিলেন। যার ফলে বাংলাদেশ ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে ২৬৫ রান করে। কলম্বোর পিচের প্রকৃতি বিবেচনা করে, অনেকেই দাবি করেছিলেন, এটি জয়ের জন্য সঠিক লক্ষ্য ছিল।
নতুন বলে বাংলাদেশ শুরুটাও ভালো করে। তানজিম ইনিংসের দ্বিতীয় বলে রোহিত শর্মাকে শূন্য রানে আউট করেন। এবং তার পর অভিষেক হওয়া তিলক বর্মাকে ৫ রানে ফেরান। ২৬৬ রানের লক্ষ্য তখন ভারতের কাছে কঠিন হয়ে গিয়েছিল। তবে শুভমন গিল এবং কেএল রাহুলের ৫৭ রানের পার্টনারশিপ কিছুটা অক্সিজেন দেয় ভারতকে। মেহেদি হাসানের বলে রাহুল আউট হন। ইশান কিষাণ ক্রিজে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। পুরো ম্যাচে বাংলাদেশেরই আধিপত্য ছিল।