ভারতের মাটিতে টি-২০ সিরিজে বারবার স্পিনের বিরুদ্ধে সমস্যায় পড়ছে ইংল্যান্ড। রাজকোটে তৃতীয় ম্যাচেও একই ছবি ধরা পড়ে। ১ উইকেট হারিয়ে ৮৩ রান তোলার পর ব্যাটিং বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয়। ১২৭ রানে ৮ উইকেট হারিয়ে ফেলে ইংল্যান্ড। শেষের দিকের ব্যাটসম্যানরা যদি অবদান না রাখতেন তাহলে ১৫০-এর আগেই থামতে হতো তাঁদের। আদিল রশিদ এবং মার্ক উডের গুরুত্বপূর্ণ পার্টনারশিপের জন্য ৯ উইকেট হারিয়ে ১৭১ রান তুলতে সক্ষম হয় ইংল্যান্ড। বল হাতে অনবদ্য পারফরম্যান্স করেন বরুণ চক্রবর্তী। ৪ ওভার বল করে ২৪ রান দিয়ে ৫ উইকেট নেন তিনি। বরুণের বল বুঝতে কার্যত হিমশিম খায় ইংল্যান্ডের ব্যাটাররা। এছাড়াও ভারতের হয়ে ১টি করে উইকেট পান অপর দুই স্পিনার অক্ষর প্যাটেল এবং রবি বিষ্ণোই।
শুধু রাজকোট নয়, এর আগে ইডেনে এবং চেন্নাইয়ে একই সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছিল বাটলারদের। ভারতীয় স্পিনারদের সামনে অসহায় আত্মসমপর্ণ করতে হয়েছিল তাদের। ইডেনে মাত্র ১৩২ রানে অলআউট হয়ে গিয়েছিল ইংল্যান্ড। যেখানে ২৩ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়েছিলেন বরুণ। অক্ষর নিয়েছিলেন ২২ রান দিয়ে ২ উইকেট এবং উইকেট না পেলেও রান গলতে দেননি রবি। একই অবস্থা হয়েছিল চেন্নাইয়েও।
এরকম পরিস্থিতিতে আগামী বছর ভারতে আয়োজিত হবে টি-২০ বিশ্বকাপ। সেখানে জো রুটের খেলা উচিত বলে মনে করেন সদ্য আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানানো রবিচন্দ্রন অশ্বিন। ইংল্যান্ডের ব্যাটিং ব্যর্থতা দেখে তিনি নিজের এক হ্যান্ডেলে রুটের একটি ছবি পোস্ট করেছেন। ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘২০২৬-এ ভারতের টি-২০ বিশ্বকাপ আয়োজিত হবে এবং এই মুহূর্তে এই টুইটটি প্রাসঙ্গিক।’ ছবির উপরে জো রুটের সাম্প্রতিক স্কোরগুলি লেখা রয়েছে।
SA-২০তে পার্ল রয়্যালসের হয়ে দুরন্ত পারফরম্যান্স করে চলেছেন তিনি। প্রতিযোগিতায় এখনও পর্যন্ত ৫৫.৮০ গড়ে ২৭৯ রান করেছেন রুট। স্ট্রাইক রেট ১৪০। একমাত্র টুর্নামেন্টে রানের নিরিখে রুটের আগে রয়েছেন তাঁরই সতীর্থ লুহান ড্রে প্রিটোরিয়াস। তাঁর সংগ্রহ ৩০১ রান। ভারতের মাটিতে টি-২০ ক্রিকেটে রুটের পরিসংখ্যান বেশ উজ্জ্বল। ভারতের মাটিতে মোট ১৩টি ম্যাচে ৪৮.১২ গড়ে ৩৮৫ রান করেন। স্ট্রাইক রেট ১২৫.৮১। এই ১৩টি গেমের মধ্যে ১০টি খেলেছেন ইংল্যান্ডের জার্সিতে এবং ৩টি খেলেছেন ২০২৩ সালে রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে।
তবে টি২০-তে যেভাবে এখন ব্যাজবল খেলছে ইংল্যান্ড, সেই তুলনায় অনেকটাই ধীরস্থির ভাবে খেলেন জো রুট। সেই পরিপ্রেক্ষিতে যতই তিনি ফর্মে থাকুন না কেন, তাঁর দলে ডাক পাওয়ার সম্ভাবনা যে ক্ষীণ, সেটা বলাই যায়। কিন্তু যেহেতু উপমহাদেশে পরবর্তী বিশ্বকাপ, সম্ভাবনা যে একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যায় না, সেটাও সত্যি।