বিরাট কোহলির বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারে রেকর্ড, সাফল্যের ছড়াছড়ি। তবে বহু বাধাবিপত্তির মুখেও তাঁকে পড়তে হয়েছে। তবে, সেই সব কাটিয়ে নিজের রথ এগিয়ে নিয়ে গিয়েছেন বিরাট। সামনেই ২০২৩ আইসিসি বিশ্বকাপ। যেটা কোহলির কাছে নতুন চ্যালেঞ্জ। আর সেই চ্যালেঞ্জ জিততে মরিয়া প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১৫ বছর কাটানোর পরেও তিনি একই ভাবে বড় চ্যালেঞ্জ সামনে থাকলে তিনি উত্তেজনায় টগবগ করে ফুটতে থাকেন।
কোহলি একটি প্রচারমূলক অনুষ্ঠানে গিয়ে বলেছেন, ‘সামনে যে কোনও চ্যালেঞ্জই থাকুক না কেন, সেটার মুখোমুখি হওয়ার জন্য আমি অপেক্ষা করে থাকি। আর চ্যালেঞ্জ মানেই উত্তেজনা বেড়ে যায়। ভয় বা লজ্জা পেয়ে পিছিয়ে যাই না। ১৫ বছর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার পরেও কঠিন লড়াই সামনে এলে, আমি উত্তেজনা বোধ করি। নতুন কিছু করার চেষ্টা করি, যা আমাকে অন্য স্তরে পৌঁছে দেয়।’
আরও পড়ুন: আলুরে ভারতীয় শিবিরে দেখা মিলল পন্তের, নতুন কোনও আপডেট আছে নাকি?- ভিডিয়ো
কোহলি অস্বীকার করেননি যে, তাঁর এবং দলের উপর প্রত্যাশার বড় চাপ রয়েছে। তবে কোহলি সবাইকে মনে করিয়ে দিয়েছেন যে, খেলোয়াড়রা নিজেরাই বিশ্বকাপ জেতার জন্য সবচেয়ে বেশি মরিয়া হয়ে থাকেন।
তিনি বলেছেন, ‘চাপ সব সময়েই থাকে। ভক্তরা সব সময়ে আব্দার করে বিশ্বকাপ জেতার জন্য। তবে আমাদের চেয়ে বেশি ট্রফি জেতার বাসনা আর কারও নেই। সত্যি বলতে কি, আমি জানি প্রত্যাশা আছে এবং মানুষের আবেগও আকাশছোঁয়া। তবে সকলে এটা জেনে রাখুন যে, প্লেয়ারদের চেয়ে কেউ বেশি শিরোপা জেতার জন্য মরিয়া হতে পারে না।’
আরও পড়ুন: গত বিশ্বকাপে যে মানসিক স্থিতিতে ছিলাম সেখানে ফিরতে চাই, অকপট ফর্ম হাতড়ানো রোহিত
কোহলি এর আগে বিশ্বকাপ জয়ের স্বাদ পেয়েছে। মহেন্দ্র সিং ধোনির নেতৃত্বাধীন যে ভারতীয় দল ২০১১ সালে ৫০ ওভারের বিশ্বকাপ ঘরের মাঠে জিতেছিল, সেই দলের সদস্য ছিলেন কোহলি। এছাড়া তিনি ২০০৮ সালে আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জয়ে ভারতকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।
কোহলি বলেছেন, ‘২০১১ বিশ্বকাপ জয়টা আমার ক্যারিয়ারে বড় প্রাপ্তি। তখন আমার বয়স ২৩ বছর। সেই সময়ে আমি হয়তো এই ট্রফি জয়ের মাহাত্ম্য কতটা, ঠিক করে বুঝতে পারিনি। এখন আমার বয়স ৩৪। ইতিমধ্যে অনেকগুলো বিশ্বকাপে খেলে ফেলেছি। তবে আর শিরোপা জিততে পারিনি। তাই সেই দলের বিশ্বকাপ জয়ের অনুভূতি কেমন ছিল সেটা আমি এখন বুঝতে পারি।’
তিনি আরও যোগ করেছেন, ‘সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে সচিন তেন্ডুলকরের জন্য। কারণ ওর শেষ বিশ্বকাপ ছিল। তার আগে অনেক বিশ্বকাপে খেলেও ট্রফি হাতে তুলতে পারেনি। কিন্তু মুম্বইয়ে ওর নিজের শহরে বিশ্বকাপ জেতা, ব্যাপারটাই অন্য রকম। স্বপ্নের মতো।’