বাড়ির আর্থিক অবস্থা ভালো ছিল না। হাজারও বাধার সম্মুখীন হয়েছিলেন সুমন্থ। কিন্তু, জীবনে বড় হওয়ার লক্ষ্যে তাঁর অদম্য জেদ, সুমন্থকে অনেকটা পথ এগিয়ে নিয়ে চলে এসেছে। তিনি এখন সারা দেশের অনুপ্রেরণা।
অন্ধ্র প্রদেশের নান্দিয়ালের ছেলে তিনি। পুরো নাম গনমদুলা নাগা সুমন্থ। বয়স মাত্র ২২ বছর। ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতক পাস করেই, চলতি বছরে আইআইএম লখনউতে ভর্তি হওয়ার স্বপ্ন পূরণ করেছেন সুমন্থ। সবচেয়ে আকর্ষণীয় বিষয় হল বাড়ির আর্থিক পরিস্থিতির সাথে লড়াই করেই এই অবস্থান অর্জন করেছেন তিনি। সুমন্থের বাবা সুব্বারায়ুডু গনমদুলা একজন ট্রাক চালক। মা জি আদি লক্ষ্মী একটি কেজি স্কুলের শিক্ষিকা।
ছোটবেলা থেকেই তিনি বাবাকে দেখেছে দিনরাত পরিশ্রম করতে। ধান ও তুলোর মৌসুমে ফসল পরিবহন করতে হয় বলে কয়েক সপ্তাহ বাড়ির বাইরেই থাকেন বাবা। কিন্তু ছেলের পড়াশোনায় কোনও বাধা আসতে দেননি তিনি। তাই, ছোট থেকে বাবাকে দেখে ছেলের মনে চেপে গিয়েছিল জেদ, অত্যন্ত ভালো কিছু করার জেদ, ভালো করে পড়াশোনায় করে নিজের বাড়ির পরিস্থিতি বদলাতে চেয়েছিলেন তিনি। পেরেওছেন।
সুমন্থ স্কলারশিপ নিয়ে লেখাপড়া করেছেন
আসলে, সুমন্থ আগাগোড়াই পড়াশোনায় ভালো। নিজের ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সের জন্যও বৃত্তি পেয়েছিলেন তাই। দশম শ্রেণীতে ৯.৮ গ্রেড এবং দ্বাদশ রাজ্য বোর্ড পরীক্ষায় ৮.৮ গ্রেড স্কোর করার পরে, তিনি ৮.৮ এর সিজিপিএ সহ আইআইএম শ্রীকাকুলাম থেকে বি.টেক সম্পন্ন করেছেন।
আরও পড়ুন: (Foxconn Job Controversy: বিবাহিত মহিলাদের চাকরি দিচ্ছিল না ফক্সকন? কেন্দ্র জিজ্ঞেস করতেই এল এই উত্তর)
কীভাবে আইআইএম লখনউতে নিজের জায়গা করে নিয়েছেন সুমন্থ
আইআইএম লখনউতে তাঁর যাত্রা শুরু হয়েছিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের শেষ বছরে, যখন তিনি আইআইটি মাদ্রাজের ডেটা সায়েন্স অ্যান্ড প্রোগ্রামিং কোর্সে ভর্তি হয়েছিলেন। এখানেই সুমন্থ কমন অ্যাডমিশন টেস্ট (ক্যাট) সম্পর্কে জানতে পেরে, ক্যাট প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছিলেন সুমন্থ। প্রতিদিন ১২ ঘণ্টা করে পড়াশোনা করতেন তিনি। ৯৭ শতাংশ নম্বর পেয়েছিলেন এই কঠিন পরীক্ষায়। সুমন্থের দাবি, গণিত আমার শক্তি ছিল। আমি প্রতি সপ্তাহ শেষে মক টেস্ট দিতাম। তবে, সুমন্থের এই এগিয়ে চলার পথে, তাঁর কাকাই তাঁকে আর্থিকভাবে সাহায্য করেছিলেন। তাই নিজের সাফল্যের কৃতিত্ব, নিজের কাকাকেই দেন সুমন্থ। তাঁর দাবি, কাকা সুমন্থকে সবসময় সমর্থন করেছেন এবং তাঁকে আইআইএমে পৌঁছানোর জন্য গাইডও করেছেন।