ভিনরাজ্যে ট্রেকিং করতে গিয়ে অভিযাত্রী দলের নার্সকে নিগ্রহের অভিযোগ উঠল এক যুবকের বিরুদ্ধে। উত্তরাখণ্ডে গিয়ে অভিযাত্রী দলেরই এক যুবকের হাতে নিগৃহীত হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন এসএসকেএমের নির্যাতিতা নার্স। কাঠগড়ায় অভিযাত্রী দলের ওই যুবক। কলকাতায় ফিরে এসে এই ঘটনায় সার্ভে পার্ক থানায় শ্লীলতাহানি, মারধর ও ভয় দেখানোর ধারায় অভিযোগ দায়ের করেছেন নিগৃহীতা তরুণী। তরুণীর অভিযোগ, অভিযাত্রী দলের মধ্যেই ছিলেন নির্মাল্য সেনগুপ্ত নামের অভিযুক্ত যুবক। সে তাঁকে শুধু মারধরই নয়, তাঁর শ্লীলতাহানিও করেছে বলেও অভিযোগ নির্যাতিতা তরুনীর। বাধা দিতে গেলে নির্মাল্য ওই তরুণীর চোখে আঘাত করেছে বলেও অভিযোগ। এখন এসএসকেএম হাসপাতালে ওই তরুণী চিকিৎসা চলছে। চোখে গুরুতর আঘাত রয়েছে তাঁর।জানা গিয়েছে, এসএসকেএমের অভিযোগকারিণী নার্স গত ১৪ অগস্ট ১৮ জনের দলের সঙ্গে উত্তরাখণ্ডে টেকিং করতে গিয়েছিলেন। নিগৃহীতা তরুণীর অভিযোগ, ২০ অগস্ট রাত ১১ টা নাগাদ তাঁরা যখন যোষিমঠে ছিলেন। সেই সময়ই অভিযুক্ত যুবক ওই তরুণীকে শারীরিকভাবে নিগ্রহ করেন বলে অভিযোগ। তিনি বলেন, ‘নিগ্রহের প্রতিবাদ করায় ঘন্টা দুয়েক পর পুনরায় ওই যুবক চড়াও হয় আমার উপর। মেরে আমার চোখ ফাটিয়ে দেয়।’ তরুণীকে নিগ্রহের প্রতিবাদ করতে গিয়ে আহত হন অভিযাত্রী দলের আরেক যুবক সায়ন্তনও। তরুণী জানিয়েছেন, তাঁর চোখের অবস্থা আশঙ্কাজনক। চোওয়ালে ও অসম্ভব যন্ত্রণা রয়েছে। শুধু তাই নয়, তিনি আংশিকভাবে দেখতে পাচ্ছেন না।এর পাল্টা অভিযুক্ত যুবকের দাবি, তিনি একা ট্রেকিংয়ে যাননি। সঙ্গে তার স্ত্রীও গিয়েছিলেন।ঘটনার রাতে ওই তরুণী ও তার বন্ধুর মধ্যে কথাকাটাকাটি হচ্ছিল। ঝগড়ার থামাতে গেলে তার স্ত্রীকে সায়ন্তন জানিয়েছে, আমি নাকি ওই তরুণীর শ্লীলতাহানি করেছি ।এ কথা শুনে মেজাজ হারিয়ে ওই যুবকের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয়েছিল। কিন্তু ওই তরুণী মাঝখানে ছাড়ানোর চেষ্টা করাতেই অনিচ্ছাকৃতভাবে আমার হাত তাঁর চোখে লেগে যায়। যদিও অভিযুক্ত যুবকের দাবি উড়িয়ে দিয়েছেন নির্যাতিতা। তাঁর অভিযোগ, টেকিংয়ের অন্যান্য সদস্যদের মিথ্যা কথা বলে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছেন ওই যুবক।