মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় কি ইন্ডিয়া জোটের নেত্রী? নানা সময়ে এই চর্চাটা সামনে এসেছে। এবার এনিয়ে দীর্ঘ পোস্ট করলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি শুভঙ্কর সরকার। তিনি লিখেছেন, 'সম্প্রতি বাংলার মুখ্য়মন্ত্রী একটি সাক্ষাৎকারে ইন্ডিয়া জোটকে নেতৃত্ব দেওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করেছিলেন। জোট শরিকের মধ্যে যে কেউ এই নেতৃত্ব দিতে পারেন। তবে মমতা ব্যানার্জির কাজ বহু সময়ে বিজেপিকে অক্সিজেন দিয়েছে। যখন বিজেপির বিরুদ্ধে সংবিধান ভঙ্গের অভিযোগ, আদানির দুর্নীতি, ভোটে অনিয়ম তখন এভাবে ভাগাভাগির বিষয়কে সামনে আনার অর্থ হল বিজেপিকে সুবিধা করে দেওয়া। …'
'সকলকে মনে করিয়ে দিতে চাই, রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে কংগ্রেস বিজেপির বিরুদ্ধে লড়ছে। রাহুলজী দুটি যাত্রায় নেতৃত্ব দিয়েছিলেন,ভারত জোড়ো যাত্রা ও ন্যায় যাত্রা। …'
‘২০২৪ সালের ভোটে মানুষ কংগ্রেসের উপর আস্থা রেখেছিল। মানুষ রাহুল গান্ধীকে বিরোধী দলনেতা হিসাবে বেছে নিয়েছেন। তিনি সমস্ত ভারতবাসীর কথাকে পৌঁছে দিচ্ছেন সংসদে।’
এরপরই রাহুল গান্ধী কীভাবে নানা ইস্যুতে বিজেপির বিরুদ্ধে সুর চড়াচ্ছেন সেকথা উল্লেখ করেন।
‘তৃণমূল বিজেপির মুখোমুখি হয়ে প্রতি পাঁচ বছর অন্তর। একবার লোকসভা ভোটে আর একবার বিধানসভা ভোটে। আর কংগ্রেস রোজ লড়ছে বিজেপির বিরুদ্ধে। প্রতিটি বুথে, ব্লকে জেলায়…আদর্শের লড়াই…’
‘তৃণমূল বহু ইস্যুতে নীরব থাকে। উপরাষ্ট্রপতি ভোটের সময় তৃণমূল বিরত থাকল।ভোটের আগে মমতা ব্যানার্জির সঙ্গে জগদীপ ধনখড় ও হিমন্ত বিশ্বশর্মার মিটিংও হয়েছিল।’
তিনি লিখেছেন, ‘তৃণমূল গোয়া, উত্তরপূর্বে টাকা দিয়ে ভোটে জেতার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু সফল হয়নি তৃণমূল। বাংলাতেই সীমাবদ্ধ তৃণমূল। তৃণমূল কখনও একজোট হয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়তে চায় না। খালি কংগ্রেসের ভোট কাটে। গোটা দেশ ইভিএম,আদানি সেবি, কাস্ট সেনসাস নিয়ে প্রশ্ন তুলছে।’
তাঁর আবেদন,'বাংলার মুখ্য়মন্ত্রীর কাছে আবেদন, বাংলার ভেঙে পড়া আইনশৃঙ্খলার দিকে খেয়াল রাখুন। বেকারত্ব, অর্থনীতি নিয়ে চিন্তাভাবনা করুন। একাধিক শিল্প প্রতিষ্ঠান বাংলা ছেড়ে চলে যাচ্ছে। আরজি করের ঘটনার পরে বাংলার হাসপাতালে মাফিয়া রাজ সামনে এসেছে। …বাংলায় কংগ্রেস আর বামেদের ভোটের শতাংশ কমার অর্থ হল রাজ্যে বিজেপি বাড়ছে। সমস্ত গণতান্ত্রিক শক্তির একসঙ্গে আসা দরকার। সাম্প্রদায়িক বিজেপিকে থামাতে হবে।' দীর্ঘ পোস্ট কংগ্রেসের। কার্যত জাতীয় রাজনীতি নয়, বাংলায় নজর দেওয়ার আবেদন কংগ্রেসের। তবে কি জাতীয় রাজনীতিতে মমতার প্রাসঙ্গিকতায় আতঙ্কিত কংগ্রেস?