বিজেপির রাজ্য সভাপতি কে হবেন? এই প্রশ্নটা ঘুরছে বিজেপির অন্দরে। এবারের লোকসভা ভোটে বঙ্গ বিজেপি কার্যত ডাহা ফেল করেছে। সেক্ষেত্রে সামনেই ২০২৬ সালের মতো বড় ইভেন্ট। সেখানে লড়তে গেলে সংগঠনকে আরও মজবুত করতে হবে। কিন্তু কার হাতে দায়িত্ব দিলে ঠিকঠাক হবে? সেই প্রশ্ন ক্রমেই উঠতে শুরু করেছে।
আসলে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার কিছুদিন আগেই কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেন। সেক্ষেত্রে নতুন কাউকে দলের রাজ্য সভাপতি করতে হবে। কিন্তু তিনি কে?
কেন এত দেরি হচ্ছে? আসল সমস্যাটা ঠিক কোনখানে? সূত্রের খবর, আসলে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, বিজেপির রাজ্য সভাপতি কে হবেন সেটা অনেকটাই নির্ভর করে আরএসএসের উপর। আরএসএসের প্রতি নিষ্ঠাবান এমন মানুষকেই বিজেপির রাজ্য সভাপতি করার চেষ্টা করা হয়।
কিন্তু তিনি যখন বিজেপির রাজ্য সভাপতি হবেন তখন বিজেপিরও একটা মতামত থাকে। আর মূল সমস্যাটা হয়েছে এখানেই। রাজ্য সভাপতির মুখ নিয়ে বিজেপি ও আরএসএসের মধ্য়ে মতের অমিল হচ্ছে। কিছুতেই দুপক্ষের মত মিলছে না। আর এর জেরেই আটকে রয়েছে রাজ্য সভাপতি নিয়োগের কাজ থমকে গিয়েছে।
তবে এখানে বিভিন্ন মহলের তরফে একটি বিষয় নিয়ে নতুন করে চর্চা হচ্ছে। সেখানে যেটা মূলত দেখা যাচ্ছে আচমকাই শুভেন্দু অধিকারী উগ্র হিন্দুত্ববাদের দিকে ঝুঁকেছেন। তবে কি আরএসেসের মন পাওয়ার জন্যই কি এই পথ নিয়েছেন শুভেন্দু?
এদিকে সূত্রের খবর, বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের মত, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো শক্তিশালী নেত্রীকে কোণঠাসা করতে শক্তিশালী লড়াকু নারী মুখ খোঁজা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে ভোটের আগে থেকেই অগ্নিমিত্রা পালের নাম নিয়ে সাময়িক কিছু আলোচনা হয়েছিল। কিন্তু ভোটের ধরাশায়ী হওয়ার পরে ফের নতুন নাম নিয়ে আলোচনা চলছে। কিন্তু মমতার সঙ্গে লড়তে পারবে এমন মহিলা মুখ কোথায়?
তবে আরএসএসের মতের সঙ্গে মিলছে না বিজেপির মত। আরএসএস চাইছে তাদের পছন্দের মানুষকে এই পদে বসাতে। এর আগে দিলীপ ঘোষ ছিল সঙ্ঘ ঘনিষ্ঠ। সুকান্ত মজুমদার আরএসএসের পছন্দের মানুষ। এসবের নিরিখে রাজ্যসভার সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য, বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলার প্রাক্তন সভাপতি বিবেকানন্দ পাত্র ও বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেতা সচিন সিংহের নাম একাধিক বৈঠকে উঠে এসেছে।
সেই সঙ্গেই জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো, জগন্নাথ সরকার ও প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরীর নামও রয়েছে চর্চায়। তবে এখনও শীলমোহর পরেনি কোনও নামে।