কংগ্রেস সম্প্রতি সংসদে বিশেষ অধিবেশনের দাবি তুলেছিল। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার সে দাবিতে তেমন পাত্তা দেয়নি। বরং পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ নিয়ে অন্যান্য দেশে প্রচার করার জন্য বহুদলীয় সংসদীয় প্রতিনিধিদল পাঠিয়েছে মোদী সরকার। দেশের স্বার্থে তাতে সকলেই রাজি হয়েছেন। ইতিমধ্যেই নানা টিম ছড়িয়ে পড়েছে অন্যান্য দেশে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যে টিমে আছেন সেটি ইতিমধ্যেই জাপানে পৌঁছেছে। এই আবহে আজ শুক্রবার সংসদে বিশেষ অধিবেশন ডাকার অনুরোধ করলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আজ দুপুরে এই বিষয়ে এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। দেশের সাংসদ যাঁরা বিদেশে গিয়েছেন তাঁরা ফিরে এসে এই বিশেষ অধিবেশন সংসদে ডাকতে বলে অনুরোধ করেছেন তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো। পহেলগাঁও হামলার পর তার প্রতিশোধে ‘অপারেশন সিঁদুর’ অভিযান করা হয়। যার জেরে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় জঙ্গি ঘাঁটি। আর একাধিক জঙ্গি প্রশিক্ষণ শিবিরও গুঁড়িয়ে দেয় ভারত। তাতে চাপে পড়ে যায় পাকিস্তান। ২৬ জনের প্রাণের বদলা যেভাবে ভারত নিয়েছে তাতে বাধ্য হয়েছে পাকিস্তান স্বীকার করতে কত ক্ষতি হয়েছে।
আরও পড়ুন: একমাস পর বাড়ি ফিরছেন বিএসএফ জওয়ান পূর্ণম সাউ, ঘড়িতে চোখ রেখেছেন স্ত্রী রজনী
পাকিস্তানের প্রায় ৯০০ জঙ্গিকে নিকেশ করা হয়েছে। আর পাকিস্তান যত আক্রমণ করেছে তা বানচাল করে দিয়েছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। তারপরই ঠিক হয় পাকিস্তানের পর্দাফাঁস করতে পাঠানো হবে বহুদলীয় সংসদীয় প্রতিনিধিদল। তাঁরাই দেশের স্বার্থে মুখ খুলবেন পাকিস্তানের কার্যকলাপ নিয়ে। তাতে মুখ পুড়বে ইসলামাবাদের। তাই এখন অন্যান্য দেশে সফরে রয়েছে ভারতের প্রতিনিধিদল। কাজ সেরে তাঁরা ফিরে এলেই যাতে একটা বিশেষ অধিবেশন সংসদে ডাকা হয় তার জন্য আজ কেন্দ্রীয় সরকারকে দরবার করেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী।
ঠিক কী লিখেছেন মুখ্যমন্ত্রী? দেশের স্বার্থে পাশে থাকার বার্তা দেওয়ার পাশাপাশি এই প্রতিনিধিদলের অভিজ্ঞতা কেমন হল তা সবার সামনে আসুক চান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই আজ বাংলার মুখ্যমন্ত্রী এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, ‘সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের বিশ্বব্যাপী প্রচারের অংশ হিসেবে নানা দেশ সফরকারী সর্বদলীয় প্রতিনিধিদলকে দেখে আমি আনন্দিত। আমি যেমনটা বারবার বলেছি, জাতীয় স্বার্থে এবং আমাদের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় ভারত সরকারের যে কোনও পদক্ষেপের পিছনে তৃণমূল কংগ্রেস দৃঢ়ভাবে দাঁড়িয়ে আছে। প্রতিনিধিদলের নিরাপদ প্রত্যাবর্তনের পর সংসদের একটি বিশেষ অধিবেশন আহ্বান করার জন্য আমি কেন্দ্রীয় সরকারকে অনুরোধ করছি। কারণ আমি বিশ্বাস করি যে, এই মহান জাতির জনগণের সাম্প্রতিক সংঘাত এবং ক্রমবর্ধমান উন্নয়ন সম্পর্কে অবহিত হওয়ার সর্বাগ্রে অধিকার রয়েছে— অন্য কারও আগে।’