তৃণমূলের স্টলগুলির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে যুব সংগঠনের উপর। তবে শুধু কলকাতাতেই নয় শহরতলি এবং জেলাতেও বইয়ের স্টল দিয়েছে তৃণমূল। সব মিলিয়ে গোটা রাজ্যে তৃণমূলের প্রায় কয়েক হাজার বইয়ের স্টল বসেছে।
সিপিএমের বুক স্টল। ফাইল ছবি
প্রতিবছরই পুজোয় বিভিন্ন জায়গায় বইয়ের স্টল দিয়ে থাকে রাজনৈতিক দলগুলি। এবারও পুজোয় রাজনৈতিক দলগুলি বিভিন্ন জায়গায় বইয়ের স্টল দিয়েছে। তার মধ্যে এবার সব থেকে বেশি বইয়ের স্টল দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। কলকাতার সমস্ত ওয়ার্ডে বিশেষ বিশেষ পুজোতে এবার বইয়ের স্টল দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। সবমিলিয়ে কলকাতায় তাদের স্টলের সংখ্যা ১৫০ এর বেশি বলে জানা গিয়েছে। সেই তুলনায় সিপিএমের স্টলের সংখ্যা কম হলেও বিজেপি অনেকটাই পিছিয়ে।
তৃণমূলের স্টলগুলির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে যুব সংগঠনের উপর। তবে শুধু কলকাতাতেই নয় শহরতলি এবং জেলাতেও বইয়ের স্টল দিয়েছে তৃণমূল। সব মিলিয়ে গোটা রাজ্যে তৃণমূলের প্রায় কয়েক হাজার বইয়ের স্টল বসেছে। এই স্টলগুলি থেকে পাওয়া যাচ্ছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা বিভিন্ন ছড়া, কবিতার বই এবং অন্যান্য লেখালেখি। এর পাশাপাশি পাওয়া যাচ্ছে জাগো বাংলার বিভিন্ন সময়ের একাধিক সংখ্যা এবং চলতি বছরের পুজোবার্ষিকী। অন্যদিকে, পুজোয় স্টল বসানোর দৌড়ে সিপিএম তৃণমূলের থেকে পিছিয়ে থাকলেও তাদের স্টলের সংখ্যাটা কম নয়।
গতবারের তুলনায় এবার সিপিএমের বইয়ের স্টলের সংখ্যা বেড়েছে। শুধুমাত্র কলকাতায় এই সংখ্যাটি হল প্রায় ১০০ টি। আর গোটা জেলায় সেই সংখ্যাটা হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে বলেই সিপিএম সূত্রে জানা গিয়েছে। সেখানে সিপিএমের মুখপত্র গণশক্তির বিভিন্ন সংখ্যা থেকে শুরু করে লেলিন, কাল মার্কসের একাধিক বই রয়েছে। এছাড়াও দলের শাখা সংগঠনগুলির মুখপত্র থাকছে। এছাড়া থাকছে একাধিক দলের নেতাদের লেখা বই। তবে ফরওয়ার্ড ব্লকের স্টলের সংখ্যা মাত্র ৩টি। সেগুলি রয়েছে টালিগঞ্জ, যাদবপুর এবং শ্যামবাজারে। এর পাশাপাশি বাগবাজারে আরও একটি স্টল হওয়ার কথা। তবে বিজেপি স্টলের সংখ্যা সেই তুলনায় অনেক কম। মাত্র ২০টি বইয়ের স্টল বসিয়েছে বিজেপি। এছাড়া সিপিআই, আরএসপির নাম মাত্র কয়েকটি স্টল রয়েছে।