মেঘের রাজ্যে দিনের শুরুতে ভোটগণনায় বহু আসনে এগিয়ে থাকলেও দিনের শেষে সিঙ্গল ডিজিটে নেমে আসে তৃণমূল কংগ্রেস। তবু সর্বভারতীয় দল বিজেপির থেকে আসন বেশি পেল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। তাই মেঘালয়ে হাসি ফুটেছে। মেঘালয় বিধানসভা নির্বাচনে ৫টি আসনে জয়ী হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। আর দলের পক্ষ থেকে টুইট করে মেঘালয়বাসীকে বার্তা দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
ঠিক কী বার্তা দিয়েছেন অভিষেক? ফলপ্রকাশের পর টুইট করে মেঘালয়ের বাসিন্দাদের দিলেন শুভেচ্ছাবার্তা। শুভেচ্ছাবার্তা দিলেন দলীয় কর্মীদেরও। আর আগামীদিনে কোন পথে হাঁটবে তৃণমূল কংগ্রেস তাও ব্যক্ত করলেন। টুইট করে তিনি লেখেন, ‘আমি বিনীতভাবে মেঘালয়ের ভোটারদের ধন্যবাদ জানাই আমাদের এত ভালবাসা দেওয়ার জন্য। আমাদের প্রচেষ্টাকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ। আমি রাজ্য জুড়ে প্রতিটি দলীয় কর্মীকে ধন্যবাদ জানাতে চাই গত এক বছরে তাঁদের কঠোর পরিশ্রম এবং নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করার জন্য।’ মেঘালয়ে যদি এই পাঁচ বিধায়ককে ধরে রাখতে পারে তৃণমূল কংগ্রেস তাহলে আগামীদিনে আরও বড় সাফল্য আসতে পারে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
কেমন ছিল মেঘালয়ের নির্বাচন? যে পাঁচটি আসনে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থীরা জয় পেয়েছেন তার মধ্যে সবথেকে চর্চিত আসন হল দাদেংগ্রে কেন্দ্র। এই কেন্দ্রে রূপা এম মারাকের জয়ী হয়েছেন। রূপার প্রতিপক্ষ ছিলেন মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমার দাদা জেমস পাংসাং সাংমা। দাদেংগ্রে আসন থেকে গত তিনবার জয়ী হয়েছিলেন জেমস পাংসাং সাংমা। তাই রূপা এম মারাকের এই আসনে জয় খুব সহজ ছিল না। হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে জেমস পাংসাং সাংমার মতো পোড়খাওয়া রাজনীতিবিদকে মাত্র ৭ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করেছেন রূপা এম মারাক। এই জয় দিয়েই খাতা খুলেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। তারপর নংথিম্মাই আসন থেকে জয়ী হন চার্লস পিনগ্রোপ, সোংসক আসনে মুকুল সাংমা, রাজাবালা আসনে মিজানুর রহমান কাজি এবং আম্পাটি আসনে জয়ী হন মিয়ানি ডি শিরা।