সন্দেশখালির বিজেপি নেত্রী পিয়ালি দাস ওরফে মাম্পির গ্রেফতারি মামলায় ফের একবার কলকাতা হাইকোর্টের চড় খেল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। শুক্রবার বিজেপি নেত্রীকে বিশেষ ক্ষমতা প্রয়োগ করে জামিন দিয়ে বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত আইন সম্পর্কে পুলিশের জ্ঞান নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। একই সঙ্গে যে জামিন অযোগ্য ধারায় মাম্পি দাসকে গ্রেফতার করা হয়েছিল তার ওপর তদন্তে স্থগিতাদেশ দেন বিচারপতি সেনগুপ্ত।
আরও পড়ুন: যে যত ব্যক্তি আক্রমণ করতে পারবে সে তত বড় তৃণমূল নেতা, কল্যাণকে কটাক্ষ মিঠুনের
পড়তে থাকুন: লোডশেডিং করিয়ে রেজাল্ট পাল্টে দিয়েছিল, আমি আজ না হোক কাল এর বদলা তো নেবই: মমতা
শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টে ছিল মাম্পি দাসের জামিনের মামলার শুনানি। বৃহস্পতিবারই মাম্পিকে রক্ষাকবচ দিয়েছিলেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। তবে বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত আদালতে উপস্থিত না থাকায় জামিনের আবেদন নিয়ো কোনও নির্দেশ দেননি তিনি।
এদিন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত ২ পক্ষের বক্তব্য শুনে বলেন, কী ভাবে এই মামলায় ১৯৫ এ-র মতো জামিন অযোগ্য ধারা প্রয়োগ করা হল বুঝতে পারছি না। এই ধারা কোথায় প্রয়োগ করতে হবে তা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ কি পুলিশ ও নিম্ন আদালতের বিচারক জানেন না? তিনি বলেন, এই কাজ কার মস্তিষ্কপ্রসূত জানতে চাই। এর পরই হাইকোর্টের বিশেষ ক্ষমতা প্রয়োগ করে মাম্পিদেবীকে ব্যক্তিগত বন্ডে মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ দেন তিনি। সঙ্গে বলেন ১৯৫ এ ধারা নিয়ে আপাতত কোনও তদন্ত করতে পারবে না পুলিশ। বাকি ধারাগুলিতে নিম্ন পুলিশ সুপারের নজরদারিতে তদন্ত চলবে। সঙ্গে জামিনযোগ্য ধারাগুলিতে তদন্ত শেষের পর রিপোর্ট নিম্ন আদালতে পেশের আগে তা হাইকোর্টে জমা দিতে হবে।
মাম্পি দাসের আইনজীবী আদালতকে জানান, ৭ মে মাম্পির বিরুদ্ধে একাধিক জামিনযোগ্য ধারায় মামলা করে পুলিশ। ৯ এপ্রিল মাম্পি আদালতে আত্মসমর্পণ করতে গিয়ে জানতে পারেন তাঁর বিরুদ্ধে ১৯৫ এ ধারা যুক্ত করা হয়েছে। তখনই তাঁর বাড়ি গিয়ে নোটিশ দিয়ে আসে পুলিশ। একথা শুনে বিচারপতি সেনগুপ্ত বলেন, এতো এজনকে টোপ দিয়ে ডেকে নিয়ে এসে গ্রেফতার করার ঘটনা। সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্টের নির্দেশ থাকার পরেও কী করে এই ব্যক্তিকে হেফাজতে পাঠাল নিম্ন আদালত?
আরও পড়ুন: সিপিএমের সঙ্গে আঁতাত করে নন্দীগ্রাম গণহত্যা করেছিল অধিকারী পরিবার: মমতা
মাম্পি দাসের জামিনের পর তৃণমূলের বিরুদ্ধে সুর আরও চড়িয়েছে বিজেপি। বিজেপির দাবি, আদালতের পর্যবেক্ষণে স্পষ্ট কী করে পুলিশকে ব্যবহার করে সন্দেশখালির নির্যাতিতাদের মুখ বন্ধ করতে চাইছে শাসকদল। এই ঘটনায় তৃণমূল কত বড় নারী বিরোধী দল তা প্রমাণ হল বলে দাবি তাদের।