টানা সাড়ে তিন মাস ধরে সওয়াল – জবাবের পর শেষ হল SSC নিয়োগ দুর্নীতি মামলার শুনানি। বুধবার বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি সাব্বির রশিদির ডিভিশন বেঞ্চে মামলার শুনানি শেষ হয়। তবে রায়দান স্থগিত রেখেছে আদালত। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুসারে রায়দানের জন্য এখনও প্রায় আড়াই মাস সময় রয়েছে হাইকোর্টের হাতে।
গত ডিসেম্বরে নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলা কলকাতা হাইকোর্টে ফেরত পাঠিয়ে শুনানির জন্য বিশেষ বেঞ্চ গঠনের নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। এর পর ৯ ডিসেম্বর বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি সব্বির রশিদির বিশেষ বেঞ্চে ওই মামলাগুলির শুনানি হবে বলে জানান কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম। সেই থেকে শুরু হয় মামলার শুনানি। রোজ নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলার শুনানি হয়েছে বিশেষ বেঞ্চে। সওয়ালে নিজেদের বক্তব্য তুলে ধরেছে মামলাকারীরা, CBI ও SSC. বুধবার শেষ হল মামলার শুনানি।
আরও পড়ুন: 'তিনজনই চোর, এটা তো হওয়ারই ছিল'- বেআইনি বহুতল ভেঙে পড়ায় অবাক নয় গার্ডেনরিচ
এই মামলার শুনানিতে দুর্নীতির বহর দেখে গোটা নিয়োগপ্রক্রিয়াই বাতিল করে দেওয়া হতে পারে বলে মন্তব্য করেছিলেন বিচারপতি বসাক। এদিনের শুনানিতে শূন্যপদের থেকে নিয়োগ বেশি হয়েছে বলে তুলে ধরেন মামলাকারীদের আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, ‘২০১৬ সালে নমব - দশমে ১১,৪২৫ জনকে নিয়োগের সুপারিশ করেছিল SSC. সেখানে নিয়োগ হয়েছে ১২,৯৬৪ জন। অর্থাৎ ১,৫৩৯ জনকে অতিরিক্ত নিয়োগ করা হয়েছে। একাদশ – দ্বাদশে ৫,৫৫৭ জনকে নিয়োগের সুপারিশ করেছিল SSC. নিয়োগ হয়েছে ৫,৭৫৬ জন। অর্থাৎ ১৯৯ জনকে অতিরিক্ত নিয়োগ করা হয়েছে।’ এর পর বিচারপতি বলেন, ‘এই নিয়োগপ্রক্রিয়ায় ভালো কিছু খুঁজে বার করা মুশকিল। অবিলম্বে অতিরিক্ত নিয়োগ বাতিল করা উচিত।’
বিকাশবাবু বলেন, ‘এটা সুপরিকল্পিত দুর্নীতি। এদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। নইলে এই ধরণের সংগঠিত অপরাধ বন্ধ করা যাবে না।’