১৯৯৩ বউবাজার বিস্ফোরণকাণ্ডে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত অপরাধী খালিদের মুক্তির ওপর স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের বেঞ্চ। ওই ঘটনার মূল অভিযুক্ত রশিদ খানের ছায়াসঙ্গী ছিল খালিদ।
আরও পড়ুন: ফেক ভিডিয়ো তৈরির অভিযোগে ফের উত্তপ্ত সন্দেশখালি, TMC নেতাকে গণধোলাই মহিলাদের
পড়তে থাকুন: অপরাধীর নাম শেখ শাহজাহাঁ বলেই TMCর গুন্ডারা সন্দেশখালির বোনেদের ভয় দেখাচ্ছে: মোদী
১৯৯৩ সালের ১৬ মার্চ গভীর রাতে কলকাতার ২৬৭ নম্বর বিপিন বিহারী গঙ্গোপাধ্যায় সরণির বাড়িতে প্রবল বিস্ফোরণ হয়। বিস্ফোরণে মৃত্যু হয় ৬৯ জনের। কলকাতা পুলিশের তদন্তে উঠে আসে ওই বাড়িতে বিস্ফোরক মজুত করেছিল সাট্টা কারবারি রসিদ খান। এত পরিমাণে বিস্ফোরক মজুত ছিল যে গোটা কলকাতা শহর উড়িয়ে দেওয়া যেত। সেই ঘটনায় রশিদ খান ও তার অনুগামী খালিদকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয় আদালত।
আরও পড়ুন: এর পর লোকে বউয়ের মধ্যেও মমতার মুখ দেখতে পাবে, চাঞ্চল্যকর দাবি সুকান্ত মজুমদারের
১৯৯৩ সাল থেকেই জেল বন্দি রসিদ ও খালিদ। কয়েক বছর আগে সাজা পুনর্বিবেচনার জন্য আদালতের কাছে আর্জি জানায় রসিদ। সেই আবেদন খারিজ করে দেয় রাজ্যে সাজা পুনর্বিবেচনা কমিটি। এর পর সাজা মকুবের আবেদন জানায় খালিদ। আবেদনে সে লেখে ৩১ বছর ধরে জেলবন্দী থাকায় তার জীবনে পরিবর্তন ঘটেছে। সেই আবেদনের প্রেক্ষিতে খালিদকে মুক্তি দেওয়ার সুপারিশ করে সাজা পুনর্বিবেচনা কমিটি। এর পর ১৫ দিনের মধ্যে খালিদকে মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ দেয় হাইকোর্টের একক বেঞ্চ। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয় নিহতদের পরিবার। সেই আবেদনের প্রক্ষিতে খালিদের মুক্তিতে স্থগিতাদেশ দিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ।