২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরাতে চান বিরোধী নেতা–নেত্রীরা। তাই সেই সলতে পাকাতে পাটনায় যান সমস্ত বিরোধী দলের নেতা–নেত্রীরা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে রাহুল গান্ধী সকলেই একমঞ্চে আসেন কেন্দ্রের হিটলারি শাসনের বিরুদ্ধে। এই ঘটনা পাটনায় নীতীশ কুমারের নেতৃত্বে ঘটায় চাপে পড়ে গিয়েছে বিজেপির শীর্ষ নেতারা। তাই খোদ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে বলতে হয়েছে, পাটনায় বিরোধীদের ফটোসেশন চলছে। এবার রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী টুইট করে পাটনার বৈঠককে বিরোধী শীর্ষ নেতা, নেত্রীদের সেটিং বলে খোঁচা দিয়েছেন।
তাহলে কোথাও কি চাপ অনুভব করছেন? বিজেপি শীর্ষ নেতারা এবং রাজ্য বিজেপির নেতারা কেউ প্রকাশ্যে চাপ অনুভব করার কথা স্বীকার করছেন না। কিন্তু মন্তব্য করছেন এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় সমালোচনা করছেন। সেখান থেকে ধরে নেওয়া হচ্ছে, একটা অসম্ভব বিষয়কে সামনে দেখে একটু হলেও ভাবনায় পড়েছে গেরুয়া শিবির। না হলে এই বিষয়ে পাত্তা দিচ্ছেন কেন? উঠছে প্রশ্ন। তার মধ্যে আবার শুভেন্দু অধিকারীর টুইট বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। তিনি তাঁর টুইটে তৃণমূল কংগ্রেসকে খোঁচা দিয়ে একটা দলটির ব্যাখ্যা দিয়েছেন। সেখানে তিনি লিখেছেন, টিএমসি—তৃণমূল+মার্কসবাদী+কংগ্রেস। এই তিনটি দলের যোগ ফল তৃণমূল কংগ্রেস বা টিএমসি।
আর কী লিখেছেন শুভেন্দু? এই টুইট করে তিনি সকলকেই তুলোধনা করেছেন। এদিন টুইটে তিনি লেখেন, ‘পশ্চিমবঙ্গে কংগ্রেস আর সিপিএম হল তৃণমূলের বি–টিম। আর নয়াদিল্লিতে কংগ্রেসের বি–টিম হল তৃণমূল+সিপিএম। কেরলের চিত্রটা আবার কংগ্রেস বনাম সিপিএম। গোটা বিষয়টাই দ্বিধাগ্রস্ত ব্যাপার। তাহলে কি এই দলগুলি পশ্চিমবঙ্গে নিজেদের বিরুদ্ধে বন্ধুত্বপূর্ণ ম্যাচ খেলে?’ এভাবেই সমস্ত দলকে একসারিতে বসিয়ে তোপ দেগেছেন বিরোধী দলনেতা। তবে শুভেন্দুর এই টুইট মানুষকে প্রভাবিত করার জন্য করা হয়েছে বলে মনে করেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
আরও পড়ুন: মুর্শিদাবাদে বোমা বিস্ফোরণে মৃত্যু একজনের, বীরভূমে গ্রেফতার জোট প্রার্থী–সহ ৫
বিজেপির কেমন প্রশংসা করেছেন? এখানে সব দলকেই কাঠগড়ায় তুলে বিজেপির হয়ে ঝড়ো ব্যাট ধরলেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। তিনি টুইটে লেখেন, ‘বোকা কংগ্রেস এবং সিপিএম কর্মীরা তাঁদের রক্ত দিচ্ছেন দলের জন্য, মাঠে ঘাম ঝরাচ্ছেন, যেখানে এই দলগুলির শীর্ষনেতারা পাটনায় সেটিং করছেন। এটা থেকেই প্রমাণ হয় বিজেপি একমাত্র পার্টি পশ্চিমবঙ্গে যারা তৃণমূলের দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করছে।’ পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রাক্কালে এভাবেই অন্যান্য দলকে কাঠগড়ায় দাঁড় করালেন শুভেন্দু অধিকারী।