পাঁচ দিন টানা চলেছে। তার পর থেকে সংখ্যা কমতে শুরু করেছিল। এসএসসি ভবন অবস্থান–ঘেরাও প্রত্যাহার করে নিলেন চাকরিহারারা। আগামী দু’দিন শহিদ মিনারের কাছে অবস্থান করা হবে। তার মধ্যে যাবতীয় নথিপত্রের কাজ শেষ না হলে বিকাশ ভবন অভিযান করা হবে বলে জানালেন চাকরিহারারা। তবে চাকরিহারারা আগামী সোমবার থেকে স্কুলে ফিরছেন বলেই খবর। আর তাই এসএসসি ভবনের সামনে থেকে অবস্থান তুলে নিচ্ছেন চাকরিহারা শিক্ষকরা।
এদিকে শনিবার এবং রবিবার শহিদ মিনারের সামনে অবস্থান হবে। সেখান থেকে এর পরের কর্মসূচির সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আংশিক দাবি পূরণ হয়েছে বলে গরমের ছুটির আগে পর্যন্ত স্কুলে যাবেন ‘যোগ্য’ শিক্ষকরা। আর ‘যোগ্য’ হয়েও যাঁদের নাম এসএসসি’র তালিকায় আসেনি তাঁদের অধিকারের লড়াইয়ের জন্য আন্দোলন জারি থাকবে বলে জানালেন চাকরিহারা শিক্ষকরা। এই বিষয়ে চাকরিহারা শিক্ষক সুমন বিশ্বাস সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাদের আন্দোলনকারী চিন্ময় মণ্ডলকে মারধর করা হয়েছে। তাই নিরাপত্তার স্বার্থে আমরা এই অবস্থান সাময়িকভাবে স্থগিত করেছি। এটা শুধুমাত্র নিরাপত্তার জন্য তুললাম।’
আরও পড়ুন: দেশজুড়ে কাশ্মীরিদের উপর আক্রমণ নেমে আসছে, পহেলগাঁও কাণ্ডের জের, আতঙ্কিত ওমর
অন্যদিকে যোগ্য শিক্ষকদের তালিকা প্রকাশের দাবি তুলে গত সোমবার থেকে এসএসসি ভবনের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেন চাকরিহারা শিক্ষকরা। কিন্তু তালিকা প্রকাশ করা হয়নি। পরে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানান, এভাবে তালিকা প্রকাশ করা সম্ভব নয়। তবে পরে কারা স্কুলে যোগ দিতে পারবেন, সেই তালিকা ডিআইদের পাঠানো হয়। আন্দোলনকারীদের দাবি ছিল, তালিকা প্রকাশ করতেই হবে। তা না হলে ধরনা চলবে। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ না থাকায় যোগ্য–অযোগ্য তালিকা প্রকাশ করেনি এসএসসি। এই পরিস্থিতিতে আজ শুক্রবার এসএসসি ভবন থেকে অবস্থান তুলে নেওয়ার কথা ঘোষণা করলেন চাকরিহারারা। এই বিষয়ে সুমনের বক্তব্য, ‘সুপ্রিম কোর্টের রায় অনুযায়ী শিক্ষকদের একদিনের জন্য হলেও স্কুলে ফেরা উচিত। আমি সোমবার স্কুলে যাব। রাজ্য সরকারের দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই চলবে। সুপ্রিম কোর্টের যে রায় সেটাকে মান্যতা দেবো’।
এছাড়া বৃহস্পতিবার রাতে এসএসসি দফতরের সামনে ‘যোগ্য’দের সঙ্গে ‘অযোগ্য’দের বচসা চরমে ওঠে। তাঁদের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। চাকরিহারা শিক্ষকদের আন্দোলন করার অন্যতম মুখ চিন্ময় মণ্ডলের কথায়, ‘আমরা অযোগ্যদের সঙ্গে হাতাহাতির ভয়ে সরে যাচ্ছি এমনটা নয়। আমরা চাই না, অযোগ্যদের সঙ্গে আমাদের কোনও ঝামেলা হোক। তাই আমরা এখান থেকে সরে যাচ্ছি। যোগ্যদের যে তালিকা স্কুলে পাঠানো হয়েছে, সেখানে যোগ্যদের অন্তত ৩০০ জনের নাম নেই। এসএসসি সংশোধন করবে বলে আমাদের মৌখিক ভাবে জানানো হয়েছে।’