গণধর্ষণের শিকার হননি আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসক। সিবিআইয়ের সূত্র উদ্ধৃত করে এমনই জানানো হয়েছে ইন্ডিয়া টুডে'র প্রতিবেদনে। ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত যা তদন্ত করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই, তাতে ইঙ্গিত মিলেছে যে তরুণী চিকিৎসকের (স্নাতকোত্তরের দ্বিতীয় বর্ষের পড়ুয়া) ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় একজনই জড়িত ছিল। তরুণী চিকিৎসকের উপরে অত্যাচার চালিয়েছিল সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়। ফরেন্সিক পরীক্ষার রিপোর্টেও সেরকম ইঙ্গিত মিলেছে। তরুণী চিকিৎসককে গণধর্ষণ করা হয়েছে বলে যে অভিযোগ উঠেছিল, সেরকম কোনও প্রমাণ মেলেনি ডিএনএ রিপোর্টেও। যদিও পুরো ঘটনায় আরও অন্য কেউ জড়িত ছিল কিনা, তা নিয়ে এখনও সিবিআইয়ের তদন্ত শেষ হয়নি। আরও তদন্ত চলবে। চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়ার জন্য স্বাধীন বিশেষজ্ঞদের কাছে সিবিআই ফরেন্সিক রিপোর্ট পাঠাবে বলে ওই প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
‘সব পালটে দেওয়া হয়েছে’, সুপ্রিম কোর্টে বলল CBI
যদিও সরকারিভাবে আপাতত সিবিআইয়ের তরফে কিছু জানানো হয়নি। বৃহস্পতিবার আরজি কর মামলা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে ‘স্টেটাস রিপোর্ট’ জমা দিয়েছে সিবিআই। শুনানির সময় সিবিআইয়ের আইনজীবী তথা সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা জানান, আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ এবং খুনের পাঁচদিন পরে ঘটনার তদন্তভার হাতে পেয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ততদিনে সব পালটে দেওয়া হয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টের প্রশ্নে বিড়ম্বনায় রাজ্য
তবে যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছে রাজ্য সরকার। আইনজীবী কপিল সিব্বলের দাবি, সবকিছুর ভিডিয়োগ্রাফি করা হয়েছে। যিনি বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের প্রশ্নের মুখে অস্বস্তিতে পড়ে যান। ভারতের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির বেঞ্চের অন্যতম সদস্য বিচারপতি জেবি পাদ্রিওয়ালা প্রশ্ন করেন, কখন অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করা হয়েছিল? ময়নাতদন্তের আগে অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু হয়েছিল কীভাবে?
'৩০ বছরের অভিজ্ঞতায় এরকম তদন্ত দেখিনি'
সেই প্রশ্নের প্রেক্ষিতে সিব্বল যে জবাব দেন, তাতে খুব একটা সন্তুষ্ট হয়নি সুপ্রিম কোর্ট। বিচারপতি পাদ্রিওয়ালা বলেন, 'আপনার রাজ্য যে পুরো প্রক্রিয়া অনুসরণ করেছে, যা আমার ৩০ বছরের অভিজ্ঞতায় দেখিনি।' সেইসঙ্গে অ্যাসিসট্যান্ট সুপারের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি পাদ্রিওয়ালা। তরুণী চিকিৎসকের দেহ উদ্ধারের পরে পুলিশের তরফে যে প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়, তা নিয়ে প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়েরও প্রশ্নের মুখে পড়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার।