আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসক খুন ও ধর্ষণের ঘটনায় রাজন্যা হালদার শর্ট ফিল্ম বানিয়ে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন। পরে দল তাঁর থেকে দূরত্ব তৈরি করেছিল। এহেন রাজন্যা এবার কসবা গণধর্ষণের সময় মুখ খুললেন। ফেসবুকে দীর্ঘ প্রায় ২৫মিনিটের লাইভ রাজন্যা এবং তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্য সহ-সভাপতি প্রান্তিক চক্রবর্তী বললেন, 'ধর্ষককে নিয়ে তর্জা নয় পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে ফায়ার করুন। অন্য রাজ্যের রেফারেন্স নয়, অপরাজিতা বিলকে কার্যকরী করুন।' (আরও পড়ুন: বিভীষিকাময় সেই সন্ধ্যার পর ফের কসবার কলেজে নির্যাতিতা, তাঁর মুখ থেকে সবটা শুনল পুলিশ)
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে হিন্দু বধূকে গণধর্ষণ, তারপর ছড়িয়ে দেওয়া হল ভিডিয়ো
রাজন্যা লাইভে বলেন, 'যে ঘটনা ঘটেছে তা রাজনীতি, ধর্ম, বর্ণ সবকিছুর ঊর্ধ্বে। যারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের যেন সর্বোচ্চ সাজা হয়। এমন সাজা হোক যাতে বাকিদের বুঝিয়ে দেওয়া যায় ভবিষ্যতে কেউ যদি এমন ঘটনা ঘটায় তাঁদেরও এমনই হাল হবে।' এদিকে 'সামাজিক ও মানুষ রাজন্যা' লাইভে আরও বলেন, 'তৃণমূলের অনেকের অন্য রাজ্যের প্রসঙ্গ টেনে এনে আনছেন, আমি এটাকে সমর্থন করতে পারছি না। একইসঙ্গে বিরোধী দলও এখানে রাজনীতি করে সেটাকে আমরা সমর্থন করি না। এটা একটা ক্রাইম। অভিযুক্ত তৃণমূলের সঙ্গে যুক্ত ছিল কি ছিল না সেটা এখানে বিচার্য নয়। একটাই কথা, সাজা চাই।' এরপর কসবা কাণ্ডের জের টেনে রাজ্যের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে নিরাপত্তা নিয়ে রাজন্যা বলেন, 'এখন যা অবস্থা তা দেখে আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম তো মনে করবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আমরা নিরাপদ নই। যখন একটা বীজ থেকে একটা গাছ জন্মাচ্ছে, তখনই যদি মনে হয় তার মধ্যে কোনও সমস্যা আছে, খারাপ কাজের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে তখনই যদি তাঁকে সাবধান করে দিতাম তাহলে হয়তো আজকে এই দিন দেখতে হত না।' এদিকে রাজন্যা আরও বলেন, 'অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যেমন বলেছেন, তেমন পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জে গুলি করা উচিত এই সব দোষীদের।' (আরও পড়ুন: মহুয়ার 'নারীবিদ্বেষী' তোপের জবাবে বিস্ফোরক কল্যাণ বললেন - 'ও তো সংসার ভেঙেছে')
আরও পড়ুন: 'কসবাকাণ্ডে মেয়েটা যদি না যেত...' বলা মদন মিত্র এবার নয়া 'চ্যালেঞ্জ' ছুড়ে দিলেন
আরও পড়ুন: কসবা গণধর্ষণকাণ্ডে মূল অভিযুক্তের মোবাইল থেকে দেড় মিনিটের ভিডিয়ো ক্লিপ উদ্ধার
উল্লেখ্য, ২৫ জুন সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে রাত ১০টা ৫০ মিনিট পর্যন্ত ২৪ বছর বয়সি আইনের ছাত্রীকে সাউথ ক্যালকাটা ল কলেজের কসবা ক্যাম্পাসে গণধর্ষণ করা হয়। তাঁকে মারধর করা হয়েছিল। অভিযুক্ত মনোজিৎ মিশ্র, জাইব আহমেদ, প্রতিম মুখোপাধ্যায়কে পুলিশ গ্রেফতার করে নিয়েছে। ধর্ষণের শিকার ছাত্রীর মেডিক্যাল রিপোর্ট ইতিমধ্যেই সামনে এসেছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, সেই ছাত্রীর গলায় কামড়ের দাগ রয়েছে। এদিকে যৌনাঙ্গ ক্ষত রয়েছে। এছাড়া শরীরের অন্যান্য জায়গায় মারধরের দাগও দেখা গিয়েছে। এই আবহে মেডিক্যাল রিপোর্টে স্পষ্ট যে যৌন নিগ্রহের শিকার হয়েছেন সেই অভিযোগকারী তরুণী।