দানা কতটা দাপট দেখাতে পারে তা নিয়ে বুধবার থেকেই তটস্থ গোটা বাংলা। বাংলার উপকূলবর্তী এলাকাগুলির উপর বাড়তি নজর রাখা হয়েছিল। তবে ঝড়ের দাপটের তুলনায় বাংলার বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে দাপট দেখিয়েছে বৃষ্টি। টানা বৃষ্টি। প্রবল বৃষ্টি। তবে দানা আঘাত হানতে পারে এই আশঙ্কায় বাংলাকে রক্ষা করতে কন্ট্রোল রুম থেকে নজর রেখেছিলেন খোদ বাংলার মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়।
মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় জানিয়েছেন, সাইক্লোন দানার দাপটে একজনের মৃত্যু হয়েছে। সেই সঙ্গেই তিনি জানিয়েছেন, নীচু এলাকা থেকে ২.১৬ লাখ মানুষকে সরানো হয়েছে। মুখ্য়মন্ত্রী জানিয়েছেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগে একজনের মৃত্যু হয়েছে।
ওই ব্যক্তি কেবল সংক্রান্ত কিছু কাজ করছিলেন। সেই সময় বাড়িতেই মৃত্যু হয় তাঁর। এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পরে গোটা ঘটনাটা জানা যাবে।
সাংবাদিক বৈঠকে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, যদি প্রয়োজন হয় তবে আমরা পরিবারকে সহায়তা করব। তিনি জানিয়েছেন, সাইক্লোনের জেরে কিছু জেলায় ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বিশেষত কাঁচা বাড়িগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সমস্ত ডিএম, এসপি ও সংশ্লিষ্ট আধিকারিকরা তাঁদের সর্বোত্তম চেষ্টা করছেন। আমরা তাঁদের সঙ্গে সমণ্বয় রেখে কাজ করছি।
মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় জানিয়েছেন, ২.১৬ লাখ মানুষকে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা থেকে সরিয়ে ত্রাণ শিবিরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আমি বিধায়কের সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি বলছিলেন কপিল মুনির আশ্রমে কিছুটা প্রভাব পড়েছে। জল জমে গিয়েছিল। আমি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার সমস্ত বিধায়কদের সঙ্গে কথা বলেছি।
রাতভর বাংলার মুখ্য়মন্ত্রী রাজ্য সচিবালয়ে কাটান। পরিস্থিতির উপর নজর রাখেন তিনি। মুখ্য়মন্ত্রী রিভিউ মিটিংও করেছেন। ত্রাণের ক্ষেত্রে কোথাও যাতে সমস্যা না হয় সেটা দেখা হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের যাতে সবরকম সহায়তা করা হয় সেব্যাপারে তিনি নির্দেশ দেন।
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে ঘূর্ণিঝড় দানা উত্তর ওড়িশার উপকূলে ল্যান্ডফল করেছে। ১০০-১১০ কিমি প্রতি ঘণ্টা গতিবেগে হাওয়ার গতি ছিল। এদিকে গাঙ্গেয় বাংলায় ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি শুরু হয়েছিল। কলকাতা সহ বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে টানা বৃষ্টি। বিকালের দিকে বৃষ্টি কমলেও কিছু জায়গায় বিকালেও বৃষ্টি হয়। তবে আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে বৃষ্টির দাপট কিছুটা কমবে ধীরে ধীরে।
এদিকে আগামী কয়েকদিনও বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে ভারি থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলে খবর। সেক্ষেত্রে দানা চলে গেলেও বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে বৃষ্টি কিন্তু চলতেই থাকবে বিক্ষিপ্তভাবে। দেওয়ালির সময় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে উত্তরের জেলাগুলিতে।