পুলিশ এবং অফিসের পক্ষ থেকে দ্বৈপায়ন ভট্টাচার্যের পরিবারকে খবর দেওয়া হয়েছে। তবে এই যুবকের বাড়ি কোথায় সেটা কেউ বলতে চায়নি। দ্বৈপায়ন ভট্টাচার্য সুস্থ হয়ে উঠলে তাঁর কাছ থেকে পুলিশ জেনে নেবে আসল কারণ। তবে সন্দেহ ঘনীভূত হয়েছে একটি বিষয় নিয়ে। কেউ দ্বৈপায়ন ভট্টাচার্যকে ঠেলে ফেলে দেয়নি তো?
Ad
নিউটাউনে ঝাঁপ মেরে আত্মহত্যার চেষ্টা করলেন এক কর্মী।
রোজের ডিউটির মতোই অফিস গিয়েছিলেন আইটি কর্মী যুবক। সেখানে গিয়ে কাজও করছিলেন। কিন্তু হঠাৎই নিয়ে নিলেন ভয়ঙ্কর সিদ্ধান্ত। যা কেউ আঁচও করতে পারেননি বলে খবর। তাঁর সঙ্গে থাকা সহকর্মীরা বুঝতে পারেননি এমনটা ঘটতে চলেছে। বুধবার নিউটাউন আইটি সেক্টরের বহুতল বিল্ডিং থেকে ঝাঁপ মেরে আত্মহত্যার চেষ্টা করলেন এক কর্মী। নিউটাউনে সাত তলা থেকে ঝাঁপ দিলেন আইটি কর্মী। এখন আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে ভর্তি করা হয়েছে বেসরকারি হাসপাতালে। কেন এই মরণঝাঁপ দিলেন তিনি? সেটা এখনও স্পষ্ট নয়। সব দিক খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, ওই আইটি কর্মীর নাম দ্বৈপায়ন ভট্টাচার্য (৪০)। আজ তিনি অফিসের সাত তলা থেকে ঝাঁপ মারেন। তড়িঘড়ি তাঁকে পথ থেকে উদ্ধার করে ভর্তি করা হয় নিউটাউনের একটি বেসরকারি হাসপাতালে। তবে দ্বৈপায়ন ভট্টাচার্য মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন বলে তথ্য পেয়েছে পুলিশ। যদিও অন্য কোনও কারণে আত্মঘাতী হয়েছেন কিনা সেটা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। যদিও এখনও পর্যন্ত এই ঘটনা নিয়ে কেউ মুখ খুলতে রাজি হননি। তবে অফিসের কয়েকজন সহকর্মী এবং পথচারীদের এই বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা চলছে।
অফিস সূত্রে খবর, দ্বৈপায়ন ভট্টাচার্য অত্যন্ত মিশুকে যুবক। আর দক্ষ কর্মী। কিন্তু কিছুদিন ধরে তিনি সকলের সঙ্গে কথা বলা কমিয়ে দিয়েছিলেন। এটা ছাড়া আর কোনও কিছু লক্ষ্য করা যায়নি। আগে এই যুবক সকলের সঙ্গে অনেক কথা বলতেন। হঠাৎ কেন এমন করলেন? এই প্রশ্নের উত্তর সকলেই খুঁজছেন। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই আলোড়ন ছড়িয়ে পড়েছে। গোটা ঘটনার তদন্ত করছে পুলিশ। উপর থেকে ঝাঁপ দিলেও প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন আইটি কর্মী যুবক। তাঁকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়েছে। সেখানেই চলছে চিকিৎসা।