স্বাভাবিকের থেকে ১১ দিন দেরিতে দক্ষিণবঙ্গে প্রবেশ করল বর্ষা। শুক্রবার আবহাওয়া দফতরের তরফে একথা ঘোষণা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দক্ষিণবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকায় বৃষ্টি হওয়ার পর বর্ষার আগমনের কথা জানাল হাওয়া অফিস।
আরও পড়ুন - রাজভবনের বদলে মমতা বা অভিষেকের বাড়ির সামনে ধরনার প্রস্তাব দিতে পারেন শুভেন্দু
পড়তে থাকুন - মন্দির অপবিত্র করার অভিযোগ, SDPO অফিসের গেট ভেঙে ভিতরে ঢুকল বিশ্ব হিন্দু পরিষদ
শুক্রবার মৌসম ভবনের তরফে জানানো হয়েছে, বৃহস্পতিবার আরও কিছুটা এগিয়েছে দক্ষিণ – পশ্চিম মৌসুমী বায়ুর বঙ্গোপসাগরীয় শাখা। পূর্ব মেদিনীপুরের উপকূল বরাবর বিস্তৃত হয়ে ভাগিরথী নদীর পূর্বাপাড়ের জেলা গুলিতে ঢুকে পড়েছে বর্ষা। বর্ষা ঢুকে পড়েছে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, নদিয়া, মুর্শিদাবাদ জেলায়। এছাড়া হাওড়া, হুগলি ও পূর্ব বর্ধমানের একাংশে বর্ষা প্রবেশ করেছে। বর্ষা ঢুকেছে কলকাতা শহরেও।
গত ৩০ মার্চ উত্তরবঙ্গে প্রবেশ করে বর্ষা। পশ্চিমা বাতাস তীব্র থাকায় তার পর থেকে ২০ দিন এক চুল নড়েনি মৌসুমী বায়ুর বঙ্গোপসাগরীয় শাখা। বুধবার কিছুটা এগিয়ে বিহারে প্রবেশ করে বর্ষা। বৃহস্পতিবার আরও কিছুটা এগিয়ে খাতায় কলমে দক্ষিণবঙ্গে ঢুকে পড়ল বর্ষা। সাধারণত ১০ জুন দক্ষিণবঙ্গে মৌসুমী বায়ু প্রবেশ করে। তার থেকে ১১ দিন দেরিতে এবার দক্ষিণবঙ্গে প্রবেশ করল বর্ষা।
পূর্বাভাস বলছে, বর্ষা ঢুকলেও এখনই নাগাড়ে বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা কম। তবে ধীরে ধীরে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বাড়বে। ৩০ – ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ঘোরাফেরা করবে দিনের তাপমাত্রা। তবে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি বজায় থাকবে।