
Betvisa
6.88% Weekly Cashback on 2025 IPL Sports
নাবালক ছাত্রের মৃত্যু হয়েছিল। অসুস্থতার জেরে মৃত্যু বলে জানিয়েছিল সরকারি হাসপাতাল। ফলে পরের পদক্ষেপ হিসাবে দেহ দাহ করার উদ্যোগ নেয় পরিবার। নাবালক ছাত্রের দেহ নিয়ে আসা হয় কেওড়াতলা শ্মশানে। কিন্তু সেখানে এই দেহ দেখে এক আত্মীয়ের সন্দেহ হয়। সেই সন্দেহ প্রকাশ করে বাড়ির সদস্যদের অভিযোগ ওঠে। আর সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই শ্মশান থেকে দেহ মর্গে পাঠাল দক্ষিণ কলকাতার নেতাজিনগর থানার পুলিশ। ময়নাতদন্তেই উঠে আসবে মৃত্যুর আসল কারণ।
ঠিক কী ঘটেছে নাকতলায়? স্থানীয় সূত্রে খবর, শুক্রবার মৃত্যু হয় নাকতলার ১৭ বছরের স্নেহাংশু সেনগুপ্তর। ১১ মে অসুস্থ হয়ে পড়ায় স্নেহাংশুকে এমআর বাঙুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় ২০ মে তাকে স্থানান্তরিত করা হয় চিত্তরঞ্জন হাসপাতালে। তারপর মৃত্যু হয় স্নেহাংশুর। শ্মশানে পিসতুতো দিদি ইন্দ্রাণী গুপ্ত মুখোপাধ্যায়ের অভিযোগ, এই দেহ দেখে মনে হচ্ছে মৃত্যু স্বাভাবিক নয়। এই অভিযোগ তুলতেই নেতাজিনগর থানা দেহ শ্মশান থেকে পাঠানো হয় মর্গে। আজ, শনিবার ময়নাতদন্ত হবে।
তারপর কী ঘটল শ্মশানে? নাবালকের মৃত্যু স্বাভাবিক নয়। নেপথ্যে রহস্য আছে। এই তথ্য সামনে আসতেই পদক্ষেপ করে পরিবার। থানায় অভিযোগ দায়ের করে পরিবারই। কেওড়াতলা শ্মশান কর্তৃপক্ষ জানান, দেহটি তাঁরা দাহ করতে রাজি নয়। তারপর বিষয়টি দক্ষিণ কলকাতার টালিগঞ্জ থানাকে জানানো হয়। স্নেহাংশুর স্নায়ুজনিত রোগ ছিল। কিন্তু কোনও ওষুধ খেত না। তা থেকেই বাড়াবাড়ি হয়েছিল বলে মনে করা হচ্ছে। এখন দেখার ময়নাতদন্তে কি বেরিয়ে আসে।
পরিবার থেকে কী তথ্য মিলছে? পরিবার সূত্রে খবর, মৃত স্নেহাংশুর বাবা শিশির কুমার সেনগুপ্ত দ্বিতীয় বিয়ে করেছিলেন। শিশিরবাবুর দ্বিতীয় স্ত্রী রূপশ্রী সেনগুপ্ত। প্রথম স্ত্রী ২০১৪ সালে মারা যান। স্নেহাংশুর মা মারার যাওয়ার পর দু’বছরের জন্য দুই ভাই–বোন পিসির বাড়িতে থাকত। শিশিরবাবু দ্বিতীয় বিয়ে করার পর তাদের নিয়ে আসে। এখানে কী কিছু লুকানো আছে? উঠছে প্রশ্ন।
6.88% Weekly Cashback on 2025 IPL Sports