অয়ন শীলের সূত্র ধরেই একাধিক পুরসভায় নিয়োগে দুর্নীতির তথ্য ইডির হাতে এসেছে। পুরসভার চাকরি এবার নতুন নিয়মে পেতে হবে বলে জানান মেয়র ফিরহাদ হাকিম। ইডি অফিসাররা জানতে পেরেছেন—উত্তর দমদম, দক্ষিণ দমদম থেকে শুরু করে বরাহনগর, কামারহাটি, পানিহাটি, হালিশহর এবং ডায়মন্ডহারবার পৌরসভায় চাকরি বিক্রি করা হয়েছিল।
সাংবাদিক বৈঠকে মেয়র ফিরহাদ হাকিম।
শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির তদন্ত করছে ইডি–সিবিআই। ইতিমধ্যেই প্রোমোটার অয়ন শীল গ্রেফতার হয়েছেন। অভিযোগ, কলকাতা পুরসভার নিয়োগে তাঁর হাত ছিল। সুতরাং শিক্ষাক্ষেত্র থেকে পুরসভা নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে বলা হচ্ছে। আর তাতে অয়ন শীলের হাত রয়েছে বলে প্রমাণ পেয়েছেন তদন্তকারীরা। তবে একাধিক মিডলম্যানও আছে বলে তথ্য উঠে এসেছে। অয়ন শীলের অফিসে ম্যারাথন তল্লাশি করার জেরে উদ্ধার হয়েছে পুরসভায় নিয়োগ সংক্রান্ত ৪০০ বেশি ওএমআর শিট। তাই রাজ্যের ৬০ পুরসভায় পাঁচ হাজার বেআইনি নিয়োগ হয়েছে বলে অভিযোগ।
কলকাতা পুরসভা নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে, জানতেন কি পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম? অয়ন শীল সম্পর্কে তাঁর কী মত? আজ, বুধবার রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, এবার থেকে পুরসভাগুলিতে গ্রুপ–ডি নিয়োগের ক্ষেত্রে নতুন নিয়ম চালু হবে। আজ ৭০ ওয়ার্ড ভবানীপুরে যান মেয়র ফিরহাদ হাকিম। সেখানে নিকাশি ব্যবস্থা এবং নাগরিকরা আবর্জনা ঠিকভাবে ফেলছেন কিনা সেটা খতিয়ে দেখেন। তখনই তাঁকে প্রশ্ন করা হয়।
অয়ন শীলের কীর্তি সামনে এসেছে। তাই পুরসভা আলাদা করে নিয়োগ নিয়ে কি তদন্ত করছে? আর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে উত্তর দেন ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেন, ‘তদন্ত হচ্ছে। আমরা দফতরকেই দেখতে বলেছি, কী কী তথ্য পাওয়া যাচ্ছে, সবটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আমাদের কাছে যা যা কাগজপত্র আছে রেডি করে রাখতে বলেছি। আদালত তো আমাদের এখনও কিছু নির্দেশ দেয়নি। তাই আগ বাড়িয়ে কিছু করব না। সত্যি কোথাও দুর্নীতি হয়েছে কিনা, তা বিচার্য।’