জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনে সামিল হয়ে রাজ্য সরকারের উপর চাপ বাড়াতে একাধিক সরকারি হাসপাতালের সিনিয়র ডাক্তাররা ‘গণইস্তফা’ দিয়েছিলেন। কিন্তু তাতে কি চাপে পড়ল সরকার? এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল অনেকের মধ্যে। সেখানে আজ শনিবার ‘গণইস্তফা’ রাজ্য সরকারের কাছে কোনও গ্রাহ্য পদত্যাগ নয় বলে জানিয়ে দেওয়া হল। আজ, শনিবার সাংবাদিক বৈঠক করে বিষয়টি স্পষ্ট করে দিলেন মুখ্যমন্ত্রীর মুখ্য উপদেষ্টা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। তাতে পাল্টা চাপে পড়ে গেলেন ডাক্তাররা। কারণ কেমন করে ইস্তফা দিতে হবে সেটা বুঝিয়ে দিয়েছেন তিনি। তাতে এবার রাজ্য সরকার চাপ বাড়াল বলে মনে করা হচ্ছে।
এবার দেখার রাজ্য সরকারের এই বার্তায় সাড়া দিয়ে সিনিয়র ডাক্তাররা ইস্তফা দেন কিনা। কারণ বৈধ ইস্তফার পথ বাতলে দেওয়ার অর্থই হল, সরকারি স্তরে যেভাবে একজন ইস্তফা দেয় সেভাবে দিলে রাজ্য সরকার গ্রহণ করবে। শনিবারের সাংবাদিক বৈঠকে আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘প্রত্যেকটি ক্ষেত্রেই ‘গণইস্তফা’র কথা উল্লেখ রয়েছে। সার্ভিস রুল অনুযায়ী, ইস্তফাপত্র অবশ্যই ব্যক্তিগতভাবে দিতে হয়। না হলে সেটি পদত্যাগপত্র নয়। এই ‘গণইস্তফা’ কোনও গ্রাহ্য পদত্যাগ নয়। তাই সরকার বিভ্রান্তি দূর করতে চায়। বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষিপ্তভাবে এসব জমা পড়েছে। ইস্তফা দিতে চাইলে সেটা বৈধভাবে দিতে হবে। তখন সরকার সেটা বিবেচনা করে দেখবে।’ অর্থাৎ রাজ্য সরকার সেটা গ্রহণও করতে পারে।
আরও পড়ুন: হরিয়ানায় নতুন বিজেপি সরকার শপথ নেবে কবে? অনুষ্ঠানে আসছেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী
প্রায় দু’মাস ধরে চলছে জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলন। রাজ্য সরকার বারবার তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে বৈঠকে বসে ৯৯ শতাংশ দাবি মেনে নিয়েছিলেন। সেই মতো কাজও শুরু হয়েছিল। কিন্তু সাগর দত্ত হাসপাতালে চিকিৎসকদের নিগ্রহ করেন রোগীর পরিবারের সদস্যরা। তার প্রেক্ষিতেই আবার শুরু হয় কর্মবিরতি। সেটাকেই বাড়তি ইন্ধন জোগায় সিনিয়র ডাক্তারদের ‘গণইস্তফা’। এখন পর্যন্ত প্রায় ২০০ ‘গণইস্তফা’র চিঠি জমা পড়েছে বলে সাংবাদিক বৈঠকে জানান আলাপন। আর এই বিষয়ে মুখ্যসচিব মনোজ পন্থের বক্তব্য, ‘সংবাদমাধ্যমে দেখেছি চিকিৎসকরা গণইস্তফা দিয়েছেন। তবে আমাদের কাছে এমন কোনও কিছু এসে পৌঁছয়নি।’