আন্তর্জাতিক নারী দিবসের ঠিক আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের খাসতালুক ভবানীপুরে চাকরির খোঁজে এসে ধর্ষণের শিকার তরুণী। তরুণীর অভিযোগের ভিত্তিতে ভবানীপুরেরই বাসিন্দা ৫৯ বছর বয়সী এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। কিন্তু এই ঘটনায় প্রশ্ন উঠছে, মুখ্যমন্ত্রীর পাড়ায় যদি ধর্ষকের এত স্পর্ধা হয় তাহলে অজগাঁয়ে কী হবে?
আরও পড়ুন - মুর্শিদাবাদে ২ দিন ধরে বেগালাম চলছে হিন্দুদের মন্দির - সম্পত্তি ভাঙচুর,দাবি BJPর
পড়তে থাকুন - ভুয়ো ভোটার ধরতে বেরিয়েছিলেন দিনকয়েক আগে, সেই TMC নেতার নামই ২ জায়গার তালিকায়
অভিযোগকারিনী পুলিশকে জানিয়েছেন, তিনি দিল্লির বাসিন্দা। কলকাতার একটি পানশালায় কাজ করেন তিনি। গত ৭ মার্চ রাত ৮টা নাগাদ চাকরি দেওয়ার নাম করে তাঁকে হোটেলে ডেকে পাঠান পেশায় ব্যবসায়ী ওই প্রৌঢ়। হোটেলের ৫০৩ নম্বর ঘরে আগে থেকেই হাজির ছিলেন অভিযুক্ত। সেই ঘরেই প্রৌঢ় তাঁকে ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ। এমনকী ঘটনার কথা জানালে খুনেরও হুমকি দেন তিনি।
এই ঘটনায় ভবানীপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন নির্যাতিতা। তাঁকে শারীরিক পরীক্ষার জন্য SSKM হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ। গ্রেফতার করা হয়েছে অভিযুক্ত প্রৌঢ়কে। তিনি ভবানীপুর এলাকার বাসিন্দা বলেই জানা গিয়েছে। অভিযুক্তকে সোমবার আদালতে পেশ করেছে পুলিশ। ধর্ষণের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন প্রৌঢ়। ওদিকে তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যেতে মেডিক্যাল রিপোর্টের অপেক্ষায় রয়েছেন পুলিশ আধিকারিকরা।
আরও পড়ুন - শুভেন্দুর খাসতালুকে BJPতে ভাঙন, তৃণমূলে যোগদান করলেন হলদিয়ার বিধায়ক তাপসী মণ্ডল
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের খাসতালুকে এই ঘটনায় রাজ্যে ফের নারী নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। প্রশ্ন উঠছে, ধর্ষণের বিরুদ্ধে সম্প্রতি পুলিশের তৎপরতা সত্বেও কোথা থেকে এত সাহস পাচ্ছে অভিযুক্তরা?