দেশে জরুরি অবস্থা জারির ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে বিজেপির সংবিধান হত্যা দিবসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তীব্র আক্রমণ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বুধবার সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর বিশেষ সম্প্রদায়ের সদস্যরা পশ্চিমবঙ্গে জরুরি অবস্থার মতো পরিস্থিতি তৈরি করে রেখেছেন।এদিন শুভেন্দুবাবু বলেন, ‘আজকের দিনে ভারতবর্ষের গণতন্ত্র ও সংবিধান হত্যা করা হয়েছিল। বিশেষ করে আক্রমণের কেন্দ্রবিন্দু ছিল রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ, জনসংঘ, তার সাথে সংবাদমাধ্যম। এই ধ্বংসাত্মক রাজনীতির যিনি পশ্চিমবঙ্গে নেতৃত্ব দিচ্ছেন, যিনি সংবিধানের চারটে স্তম্ভের কোনওটাকেই মানেন না, সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কিন্তু ১৯৭৫ সালে জয়প্রকাশ নারায়ণের গাড়ির ওপর দাঁড়িয়ে জরুরি অবস্থার পক্ষে কী করেছিলেন তার ছবি সবার কাছে আছে। আজকে সেই সংস্কৃতিই বাংলায় চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। তাই বিধানসভায় বিরোধী বিধায়করা মার খান। বিরোধী দলনেতাকে কুৎসিত ভাষায় আক্রমণ করা হয়। শিখা চট্টোপাধ্যায়ের মতো প্রবীণ বিধায়ককে ব্যক্তিগত আক্রমণ করা হয়। অগ্নিমিত্রা পালের ব্যক্তিগত দক্ষতাকে আক্রমণ করে বলেন।’এর পর তিনি বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গেও জরুরি অবস্থার মতো অবস্থা চলছে। এখানেও সংবিধান প্রতিদিন প্রতি মুহূর্তে হত্যা হচ্ছ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ, প্রশাসন ও ক্যাডারবাহিনীর দ্বারা। তাঁর যে বিশেষ সম্প্রদায় রয়েছে তাদের দ্বারা। সেটা হরগোবিন্দ দাস, চন্দন দাসের ক্ষেত্রেও হতে পারে। সেটা অভয়ার ক্ষেত্রেও হতে পারে। একরত্তি শিশুকন্যা তামান্নার ক্ষেত্রেও হতে পারে।’