নয়া বছরের পয়লা দিনে বিধ্বংসী আগুন লাগল কৈখালির রঙের কারখানায়। কালো ধোঁয়ায় ঢেকে গিয়েছে আশপাশের এলাকা। এখনও পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি আগুন। দমকলের ১৫ টি ইঞ্জিন আগুন নেভানোর কাজ করছে। কলকাতা বিমানবন্দরের কাছেই কারখানাটি হওয়ায় উদ্বেগ আরও বেড়েছে। ইতিমধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী (এনডিআরএফ)।শনিবার সকালের দিকে ওই কারখানা থেকে কালো ধোঁয়া বেরোতে দেখতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা। খবর দেওয়া হয় দমকলে। ঘিঞ্জি এলাকায় দমকলের গাড়ি আসতে বেশ বেগ পায়। সেই পরিস্থিতিতে আগুনের লেলিহান শিখা ছড়িয়ে পড়তে থাকে। প্রাথমিকভাবে ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছায় দমকলের দুটি ইঞ্জিন। পরে আরও একাধিক ইঞ্জিন আসে। আপাতত দমকলের ১৫ টি ইঞ্জিন আগুন নেভানোর কাজ চালাচ্ছে। কিন্তু এখনও নিয়ন্ত্রণে আসেনি আগুন। পাশের একটি হোসিয়ারি কারখানাও আগুনের গ্রাসে চলে গিয়েছে। প্রাথমিকভাবে দমকলের অনুমান, শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লেগেছে। তারপর ছড়িয়ে পড়েছে। রঙের কারখানা হওয়ায় প্রচুর পরিমাণে রাসায়নিক মজুত আছে। তার ফলে আগুন আরও দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, রঙের কারখানার মধ্যে যে রাসায়নিকের ড্রাম আছে, তা ফেটে যাওয়ার শব্দও মিলেছে। তার জেরে আগুনের তীব্রতা এতটা বেশি হয়েছে। গলগল করে বেরোচ্ছে কালো ধোঁয়া। এলাকার কারখানাগুলিতে বেআইনিভাবে রাসায়নিক রাখার অভিযোগও তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।তারইমধ্যে ঘটনাস্থলে এসেছেন রাজারহাট-গোপালপুরের বিধায়ক অদিতি মুন্সি। তিনি জানান, আপাতত আগুন কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে। তবে পুরো নিয়ন্ত্রণে আসতে আরও কিছুটা সময় লাগবে। আপাতত হতাহতের কোনও খবর মেলেনি।