সাধারণত অনেক সময় বড় গাড়ি অর্থাৎ বাস বা লরির একেবারে সামনে কোনও সাইকেল বা মানুষ চলে আসলে তা গাড়ির স্টিয়ারিং ধরে অনেকটাই উঁচুতে বসে থাকা চালকের পক্ষে দেখা সম্ভব হয় না। সে ক্ষেত্রে এই জায়গাকে ‘ব্লাইন্ড স্পট’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়ে থাকে। বেহালার দুর্ঘটনার ক্ষেত্রেও এই ব্লাইন্ড স্পটকে দায়ী করেছে কলকাতা পুলিশ। শুধু বেহালার দুর্ঘটনা নয়, এর আগেও বেশ কয়েকটি দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে ব্লাইন্ড স্পটকে চিহ্নিত করেছে পুলিশ। এরকম অনেক উদাহরণ রয়েছে। তাই এই সমস্যা মেটাতে উদ্যোগী হয়েছে কলকাতা ট্রাফিক পুলিশ। এর জন্য প্রত্যেকটি বাস ও ট্রাকের ডান দিকে বড় আয়না বসানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই আয়নার নাম হল ফ্রন্ট ভিউ মিরর।
আরও পড়ুন: বর্ষায় ট্রাফিক পুলিশকে অত্যাধুনিক দেড় হাজার ছাতা দেবে লালবাজার
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই আয়নার জন্য খরচ করা হচ্ছে ২০০ টাকা। তবে ব্লাইন্ড স্পটে কোনও সাইকেল আরোহী বা মানুষ বা কোন কিছু থাকলে তা সহজেই ওই আয়নার সাহায্যে দেখতে পারবেন চালক। কলকাতার প্রত্যেকটি সরকারি, বেসরকারি বাস, ট্রাক বা লরিতে ফ্রন্ট ভিউ মিরর বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে লালবাজার। এক আধিকারিক জানিয়েছেন, অনেক সময় কম খরচ করেও দুর্ঘটনা রোখা যায়। তবে সেই খরচটুকুও করতে চান না বাস মালিকরা। তাই প্রত্যেকটি বাস ও ট্রাক টার্মিনাসে যাচ্ছে পুলিশ এবং পুলিশের পক্ষ থেকেই এই ফ্রন্ট ভিউ মিরর বা আয়না জোগাড় করা হচ্ছে। এমনকী পুলিশের পক্ষ থেকে কয়েকটি গাড়িতে এই আয়না বসিয়ে দিয়ে দেখিয়ে দেওয়া হচ্ছে। গাড়ির কোন জায়গায় কীভাবে বসাতে হয় তা নিয়ে সচেতন করা হচ্ছে। পুলিশ চাইছে, কলকাতায় যাতায়াতকারী প্রত্যেকটি বড় গাড়িতে আয়না বসাতে। এর ফলে পথ দুর্ঘটনা অনেকটাই কমানো সম্ভব হবে বলে মনে করছে পুলিশ।ফ্রন্ট ভিউ আয়না লাগানোর ফলে দুর্ঘটনা অনেকটা কমবে বলে মনে করছে পুলিশ। ট্রাফিক পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, গাড়ির সামনে দিয়ে ব্যক্তি বা সাইকেল গেলে কয়েক ফুট দূরত্বে বড় গাড়ির চালকরা তা দেখতে পান না। আবার বাসের একেবারে পাশ ঘেঁষে বাইক গেলেও অনেক সময় চালকের চোখে পড়ে না। তাছাড়া যাত্রীদের ওঠানামা দেখা যাবে এই আয়নার সাহায্যে।