পঞ্চায়েত নির্বাচন পর্বে বার বার অশান্ত হয়েছিল ভাঙড়। সেখানে দেখা গিয়েছিল গুলি–বোমার লড়াই। তারপরেও বারবার অশান্ত হয়েছে ওই এলাকা। তাই অশান্তি আটকাতে ভাঙড়কে কলকাতা পুলিশের অধীনে আনার কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই মতোই আগামী কয়েকদিনের মধ্যে কলকাতা পুলিশের অধীনে চলে আসবে ভাঙড়। ইতি মধ্যেই সেখানে এই মর্মে প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। আর এবার ভাঙড়কে মুক্ত করার ওপর জোর দিতে চায়ছে লালবাজার। কাশীপুরের চালতাবেরিয়া, চকমরিয়ার মতো একাধিক জায়গায় বোমা তৈরির কারখানা থাকার অভিযোগ উঠেছে। দায়িত্ব পাওয়ার পরেই এই সমস্ত বোমা কারখানা বন্ধ করতে পদক্ষেপ করবে লালবাজার।
আরও পড়ুন: ভাঙড়ে তৈরি হবে গোয়েন্দা কার্যালয়, মহিলা থানা, পরিকল্পনা কলকাতা পুলিশের
আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই দক্ষিণ ২৪ পরগনার এই এলাকায় তৈরি হবে কলকাতা পুলিশের ভাঙড় ডিভিশন। আটটি থানায় ১৭৫ জন করে থাকবেন পুলিশ কর্মী। সেই কাজ শুরুর আগেই লালবাজার জানিয়ে দিল, যে করেই হোক ভাঙড়কে বোমামুক্ত করতে হবে। ভাঙড় এবং কাশিপুর এলাকায় বোমাবাজিতে ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন অনেকে। লালবাজারের আধিকারিকদের দাবি, ভাঙড় এবং কাশিপুরের মতো এলাকায় বোমা তৈরির কারখানা রয়েছে। তাই দায়িত্ব নেওয়ার আগেই কোথায় কোথায় বোমা তৈরি হয় তার তালিকা প্রস্তুত করে পদক্ষেপ করতে চাইছে কলকাতা পুলিশ।
জানা গিয়েছে, কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দারা প্রতিদিন সেখানে গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করতে শুরু করেছেন। তবে এখন অবশ্য ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। তার কারণ আনুষ্ঠানিকভাবে এখনও ভাঙড় কলকাতা পুলিশের অধীনে আসেনি। সে ক্ষেত্রে ভাঙড় কলকাতা পুলিশের অধীনে আসলেই এই সমস্ত বোমা কারখানা বন্ধ করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করবে কলকাতা পুলিশ। এর পাশাপাশি ওই এলাকায় কী ধরনের অপরাধ হচ্ছে সে বিষয়গুলিও খতিয়ে দেখছেন আধিকারিকরা।